নিউইয়র্ক ০২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অ্যাসাঞ্জের পক্ষে দাঁড়াতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানালেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • / ২৯ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আটকে রাখার তীব্র সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে যা করা হচ্ছে তাকে তিনি গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে বৃটেনের কারাগারে বন্দি আছেন তিনি। তবে তাকে আরও কঠিন শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ।

কিন্তু বারবার তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন তিনি শেষ বারের মতো বৃটিশ হাই কোর্টে আবেদন করতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে শনিবার একটি টুইট করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা। এতে তিনি বলেন, সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ নিয়ে আমি আতঙ্কিত। অ্যাসাঞ্জ যা করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক দেশের বিরুদ্ধে আরেক দেশের অবৈধ পদক্ষেপকে তিনি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন।

এখন আমাদের সকলের উচিত তার সঙ্গে দাঁড়ানো। অ্যাসাঞ্জকে এভাবে দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রাখা গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। এর আগে গত মাসে লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন লুলা। সেসময়ও তিনি অ্যাসাঞ্জকে আটক করে রাখার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। এই ঘটনাকে বিব্রতকর বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দী অ্যাসাঞ্জ। সম্প্রতি রাজা চার্লসকে কারাগারে সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন অ্যাসাঞ্জ।

আরোও পড়ুন। জাপানে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

গ্রেপ্তারের আগেও বহু বছর ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন প্রায় এক দশক। ২০১৯ সালে তার অ্যাসাইলাম স্ট্যাটাস বাতিল করার পর বৃটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই একইদিনে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা দায়ের করে। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলে তার ১৭৫ বছর কারাদণ্ড হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অ্যাসাঞ্জকে শাস্তি দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো।সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অ্যাসাঞ্জের পক্ষে দাঁড়াতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানালেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আটকে রাখার তীব্র সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে যা করা হচ্ছে তাকে তিনি গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে বৃটেনের কারাগারে বন্দি আছেন তিনি। তবে তাকে আরও কঠিন শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ।

কিন্তু বারবার তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন তিনি শেষ বারের মতো বৃটিশ হাই কোর্টে আবেদন করতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে শনিবার একটি টুইট করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা। এতে তিনি বলেন, সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ নিয়ে আমি আতঙ্কিত। অ্যাসাঞ্জ যা করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক দেশের বিরুদ্ধে আরেক দেশের অবৈধ পদক্ষেপকে তিনি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন।

এখন আমাদের সকলের উচিত তার সঙ্গে দাঁড়ানো। অ্যাসাঞ্জকে এভাবে দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রাখা গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। এর আগে গত মাসে লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন লুলা। সেসময়ও তিনি অ্যাসাঞ্জকে আটক করে রাখার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। এই ঘটনাকে বিব্রতকর বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দী অ্যাসাঞ্জ। সম্প্রতি রাজা চার্লসকে কারাগারে সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন অ্যাসাঞ্জ।

আরোও পড়ুন। জাপানে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

গ্রেপ্তারের আগেও বহু বছর ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন প্রায় এক দশক। ২০১৯ সালে তার অ্যাসাইলাম স্ট্যাটাস বাতিল করার পর বৃটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই একইদিনে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা দায়ের করে। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলে তার ১৭৫ বছর কারাদণ্ড হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অ্যাসাঞ্জকে শাস্তি দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো।সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা