নিউইয়র্ক ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অ্যাপের পরামর্শে হত্যা মামলার আসামিকে জামিন দেননি বিচারক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০০:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭২ বার পঠিত

প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় শহর চণ্ডীগড়ের আদালত। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো হত্যা মামলার আসামি। তিনি আদালতের কাছে জামিন আবেদন করেছেন। কিন্তু বিচারক রায় ঘোষণায় আগে খোলেন চ্যাটজিপিটি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) চালিত অ্যাপটিকে জিজ্ঞাসা করেন, আসামিকে জামিন দেওয়া যায় কিনা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারক অনুপ চিটকারা সোমবার এ কাণ্ড ঘটান। আসামি ছিলেন জাসবিন্দর সিং। ২০২০ সালে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। বিচার চলাকালে কারাবাস থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন জাসবিন্দর। চ্যাটজিপিটি হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গঠন করা হয়। এটি একটি বড় ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, যাকে অসংখ্য ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। ফলে কোনও ডিভাইসের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মানুষের মতো করে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে; অর্থাৎ মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারে।

আরোও পড়ুন । ট্রাম্প ভোটে দাঁড়াতে পারবেন?

চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ‘যদি আততায়ীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক অপরাধের অভিযোগ থাকে, তবে তিনি সম্প্রদায়ের জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিচারক জামিন মঞ্জুর না-ও করতে পারেন। আর তা না হলে আসামি যেন পরবর্তীতে আদালতে উপস্থিত হন এবং জননিরাপত্তার জন্য কোনও ঝুঁকি সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করার জন্য জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কঠিন শর্ত দিতে পারেন।’ বিচারক চিটকারা সিদ্ধান্ত নেন, খুন করার আগে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করেছিলেন আসামি। তাই তার জামিনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। ভারতের আদালতগুলো মামলাজটের জন্য কুখ্যাত। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত দুই বছরে ভারতীয় আদালতে প্রতি মিনিটে ২৩টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডাটা গ্রিড অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশের হাইকোর্টে প্রায় ৬০ মিলিয়ন মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

কিছু আইন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বৈষম্যমূলক রায় এড়াতে চ্যাটজিপিটি আদালতের ভবিষ্যৎ হতে পারে। গত মাসে কলম্বিয়া ইতিহাস তৈরি করেছিল। ওই মাসে একজন বিচারক এআই টুল ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেন যে একজন অটিস্টিক নাবালক চিকিৎসা পাওয়ার দাবিদার কিনা। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ তার বক্তৃতার জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন। চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেসম্যান জেক অচিনক্লসও এমনটা করেছিলেন। চণ্ডীগড়ের বিচারক চিটকারা পরে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত খুন করেছেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেনি। আমি কেবল তার জামিনের সিদ্ধান্ত নিতে এটি ব্যবহার করছিলাম।’ সূত্র : ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অ্যাপের পরামর্শে হত্যা মামলার আসামিকে জামিন দেননি বিচারক

প্রকাশের সময় : ০১:০০:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় শহর চণ্ডীগড়ের আদালত। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো হত্যা মামলার আসামি। তিনি আদালতের কাছে জামিন আবেদন করেছেন। কিন্তু বিচারক রায় ঘোষণায় আগে খোলেন চ্যাটজিপিটি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) চালিত অ্যাপটিকে জিজ্ঞাসা করেন, আসামিকে জামিন দেওয়া যায় কিনা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারক অনুপ চিটকারা সোমবার এ কাণ্ড ঘটান। আসামি ছিলেন জাসবিন্দর সিং। ২০২০ সালে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। বিচার চলাকালে কারাবাস থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন জাসবিন্দর। চ্যাটজিপিটি হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গঠন করা হয়। এটি একটি বড় ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, যাকে অসংখ্য ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। ফলে কোনও ডিভাইসের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মানুষের মতো করে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে; অর্থাৎ মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারে।

আরোও পড়ুন । ট্রাম্প ভোটে দাঁড়াতে পারবেন?

চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ‘যদি আততায়ীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক অপরাধের অভিযোগ থাকে, তবে তিনি সম্প্রদায়ের জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিচারক জামিন মঞ্জুর না-ও করতে পারেন। আর তা না হলে আসামি যেন পরবর্তীতে আদালতে উপস্থিত হন এবং জননিরাপত্তার জন্য কোনও ঝুঁকি সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করার জন্য জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কঠিন শর্ত দিতে পারেন।’ বিচারক চিটকারা সিদ্ধান্ত নেন, খুন করার আগে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করেছিলেন আসামি। তাই তার জামিনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। ভারতের আদালতগুলো মামলাজটের জন্য কুখ্যাত। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত দুই বছরে ভারতীয় আদালতে প্রতি মিনিটে ২৩টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডাটা গ্রিড অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশের হাইকোর্টে প্রায় ৬০ মিলিয়ন মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

কিছু আইন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বৈষম্যমূলক রায় এড়াতে চ্যাটজিপিটি আদালতের ভবিষ্যৎ হতে পারে। গত মাসে কলম্বিয়া ইতিহাস তৈরি করেছিল। ওই মাসে একজন বিচারক এআই টুল ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেন যে একজন অটিস্টিক নাবালক চিকিৎসা পাওয়ার দাবিদার কিনা। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ তার বক্তৃতার জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন। চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেসম্যান জেক অচিনক্লসও এমনটা করেছিলেন। চণ্ডীগড়ের বিচারক চিটকারা পরে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত খুন করেছেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেনি। আমি কেবল তার জামিনের সিদ্ধান্ত নিতে এটি ব্যবহার করছিলাম।’ সূত্র : ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ

বেলী / হককথা