অভিবাসন ইস্যুতে জার্মানির উপর ক্ষুব্ধ ইটালি
- প্রকাশের সময় : ০৭:২০:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৩৪ বার পঠিত
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ভূমধ্যসাগরে বিপদে পড়া অভিবাসীদের সহায়তা করা সংস্থাগুলোকে জার্মানির অর্থায়ন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ইটালি৷ বার্লিনের এমন পদক্ষেপ রোমের জন্য ‘ক্ষতিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷
লিবিয়া, টিউনিশিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অভিবাসীদের আগমন ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায় ইটালি৷ এক্ষেত্রে অভিবাসীদের সহায়তা করা সংস্থাগুলোকে বাধা বলে মনে করে আসছে ক্ষমতাসীন ডানপন্থি সরকার৷ তাদেরকে অর্থায়নে নেয়া একটি প্রকল্প নিয়ে বার্লিনের উপরও নাখোশ রোম৷ এর মাধ্যমে জার্মানি ইটালির জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রোসেট্টো৷ ইটালির মাটিতে অভিবাসীদের দেখভালের জন্য অর্থায়নকে রোম অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ হিসেবেও বিবেচনা করছে৷
দেশটির দৈনিক লা স্টাম্পাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মানবপাচারকারীদের ঠেকাতে তার সরকার বদ্ধপরিকর৷ তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের ‘আন্তর্জাতিক অপরাধী’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন৷
তিনি বলেন. ‘‘বার্লিন এটি না বোঝার ভান করছে৷ তারা একটি দেশের জন্য এমন সমস্যা তৈরি করছে যে আসলে তাদের বন্ধু হওয়া উচিত ৷”
অভিবাসন নিয়ে তথ্যচিত্র- ভূ’মৃত্যু’সাগরের ওপারে
তবে জার্মানি এই বিষয়ে আগেই তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, সমুদ্র থেকে মানুষকে উদ্ধার করাকে ‘আইনি, মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব’ বলে মনে করে বার্লিন৷
অভিবাসীদের সহায়তার বিষয়ে শুক্রবার জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন এই বিষয়ক প্রকল্পে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত দেশটির পার্লামেন্টের৷ এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তিতে চার লাখ থেকে আট লাখ ইউরো ছাড় করা হবে৷ ভূমিতে অভিবাসীদের দেখভাল করা এবং সমুদ্র থেকে তাদের উদ্ধারে এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷
যে সংগঠনগুলো এই টাকা পেতে যাচ্ছে তার একটি ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের সহায়তাকারী সংস্থা এসওএস হিউম্যানিটি৷ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা জার্মান সরকারের কাছ থেকে সাত লাখ ৯০ হাজার ইউরোপ পেতে যাচ্ছে৷
ইটালির সরকারের হিসাবে নৌকায় করে চলতি বছর এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩২ হাজার জন ইটালি পৌঁছেছেন, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ হাজার৷
অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা ইটালির সরকার চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য তারা আটককেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশপাশি বন্দি রাখার সময়সীমা বাড়াবে৷
সুরক্ষা প্রাপ্তির আবেদনের প্রক্রিয়া চলাকালে অর্থের বিনিময়ে অভিবাসীরা বন্দিদশা এড়াতে পারবেন এমন একটি নিয়মও আরোপ করা হয়েছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করছে৷ সূত্র : ডিপিএ, রয়টার্স