নিউইয়র্ক ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আইএমএফের হিসাবে দেশের রিজার্ভ কত, জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
  • / ৯৮ বার পঠিত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে। বিদেশি কারেন্সিতে গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে উঠেছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার বাইরে আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ সাপ্তাহিক  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ১ সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থনীতির স্পর্শকাতর সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এসময়ে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়েছে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার যুক্তরাষ্ট্রের ডলার।

প্রতিদিনই রিজার্ভ কমে বা বাড়ে। সরকারের জ্বালানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে পণ্যের আমদানি মূল্য, বিদেশি ঋণ বা ঋণের সুদ বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হয়। ফলে রিজার্ভ ক্ষয় হয়। আবার বিদেশি ঋণ কিংবা ঋণের সুদ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কেনা হয়। ফলে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হয়।

সেই অনুযায়ী সদ্য সমাপ্ত মাসের পাঁচ সপ্তাহে (১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে রিজার্ভ ৫বার কমলো ও বাড়লো। আলোচ্য সপ্তাহে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক দায় পরিশোধ করা হয়নি। ফলে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ বেড়েছে।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আইএমএফের হিসাবে দেশের রিজার্ভ কত, জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশের সময় : ০২:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে। বিদেশি কারেন্সিতে গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে উঠেছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার বাইরে আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ সাপ্তাহিক  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ১ সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থনীতির স্পর্শকাতর সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এসময়ে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়েছে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার যুক্তরাষ্ট্রের ডলার।

প্রতিদিনই রিজার্ভ কমে বা বাড়ে। সরকারের জ্বালানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে পণ্যের আমদানি মূল্য, বিদেশি ঋণ বা ঋণের সুদ বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হয়। ফলে রিজার্ভ ক্ষয় হয়। আবার বিদেশি ঋণ কিংবা ঋণের সুদ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কেনা হয়। ফলে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হয়।

সেই অনুযায়ী সদ্য সমাপ্ত মাসের পাঁচ সপ্তাহে (১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে রিজার্ভ ৫বার কমলো ও বাড়লো। আলোচ্য সপ্তাহে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক দায় পরিশোধ করা হয়নি। ফলে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ বেড়েছে।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল।