নিউইয়র্ক ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রোজায় শুল্ক কমিয়ে আমদানি করা ৪ পণ্যের সুফল কী পাওয়া যাবে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৫ বার পঠিত

আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, চালাচ্ছে অভিযান। এতে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের আমদানি শুল্কও কমিয়েছে সরকার। তবে এর প্রভাব বাজারে তেমন পড়বে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এই প্রজ্ঞাপন জারির পর রাজধানীর পাইকারি বাজারে পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দাম উল্টো মণপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, শুল্ক কমানোর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ, খেজুরে ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। চাল আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ। আর অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক টনপ্রতি তিন হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার এবং পরিশোধিত চিনির শুল্ক ছয় হাজার থেকে কমিয়ে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দাম মণপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম জানান, যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে বাজারে প্রভাব পড়েনি। বরং পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেজুরে যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ, খেজুরে শুল্কায়ন হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। কেনা দামে শুল্কায়ন করা গেলে ভোক্তার কিছুটা সুবিধা হতো।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকার পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। পণ্যমূল্য ভোক্তাদের নাগালে রাখতে আমদানি শুল্ক কমানো তারই প্রতিচ্ছবি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এবার একটু আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, আগে যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরও দাম কমেনি, সেটা আর হবে না। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে আমদানিকারক এবং উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই শুল্কের প্রভাব যেন শিগগিরই বাজারে পড়ে, সেটা নিশ্চিত করা হবে। আমদানিকারকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরে থাকা পণ্য দ্রুত খালাস করে বাজারজাত শুরু করুন, যেন শুল্ক কমানোর সুবিধা সাধারণ ভোক্তা পায়। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রোজায় শুল্ক কমিয়ে আমদানি করা ৪ পণ্যের সুফল কী পাওয়া যাবে

প্রকাশের সময় : ১১:০৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, চালাচ্ছে অভিযান। এতে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের আমদানি শুল্কও কমিয়েছে সরকার। তবে এর প্রভাব বাজারে তেমন পড়বে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এই প্রজ্ঞাপন জারির পর রাজধানীর পাইকারি বাজারে পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দাম উল্টো মণপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, শুল্ক কমানোর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ, খেজুরে ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। চাল আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ। আর অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক টনপ্রতি তিন হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার এবং পরিশোধিত চিনির শুল্ক ছয় হাজার থেকে কমিয়ে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দাম মণপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম জানান, যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে বাজারে প্রভাব পড়েনি। বরং পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেজুরে যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ, খেজুরে শুল্কায়ন হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। কেনা দামে শুল্কায়ন করা গেলে ভোক্তার কিছুটা সুবিধা হতো।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকার পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। পণ্যমূল্য ভোক্তাদের নাগালে রাখতে আমদানি শুল্ক কমানো তারই প্রতিচ্ছবি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এবার একটু আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, আগে যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরও দাম কমেনি, সেটা আর হবে না। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে আমদানিকারক এবং উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই শুল্কের প্রভাব যেন শিগগিরই বাজারে পড়ে, সেটা নিশ্চিত করা হবে। আমদানিকারকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরে থাকা পণ্য দ্রুত খালাস করে বাজারজাত শুরু করুন, যেন শুল্ক কমানোর সুবিধা সাধারণ ভোক্তা পায়। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ।