ভিয়েতনামের কফি রফতানি কমেছে ১৭.২%

- প্রকাশের সময় : ০৪:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৬৮ বার পঠিত
ভিয়েতনামের কফি রফতানি ২০২৪ সালে আগের বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। এ সময় দেশটির মোট রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪০ হাজার টন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভিয়েতনামের জেনারেল স্ট্যাটিসটিকস অফিস। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
গত বছর ভিয়েতনামের কফি রফতানি কমলেও তা থেকে রাজস্ব আয় বেড়েছে। জেনারেল স্ট্যাটিসটিকস অফিস জানায়, এ সময় রাজস্ব আয় আগের বছরের তুলনায় ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৫৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। সংস্থাটি আরো জানায়, ডিসেম্বরে ভিয়েতনাম মোট ১ লাখ ২৬ হাজার টন কফি রফতানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ কম।
এদিকে গত সপ্তাহে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় স্থিতিশীল ছিল কফির বাণিজ্যিক কার্যক্রম। ব্যবসায়ীরা জানান, ভিয়েতনামের কফি উৎপাদনকারী অঞ্চলে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে জমি থেকে ফসল সংগ্রহে দেরি হচ্ছে। এ কারণে ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থিতিশীল ছিল। ভিয়েতনামের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী অঞ্চল সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডসের কৃষকরা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কফি ১ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ ডংয়ে (৪ ডলার ৬৬ সেন্ট থেকে ৪ ডলার ৬৯ সেন্ট) বিক্রি করেছেন, যা এর আগে ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ ডং।
এ অঞ্চলের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত বীজের মানে প্রভাব ফেলছে। কারণ বৃষ্টিপাতে কফি বিন ঠিকমতো শুকানো ও সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া ২০ শতাংশ ফসল এখনো জমি থেকে সংগ্রহ করা যায়নি।’ এছাড়া গত সপ্তাহে প্রতি টন রোবাস্তা কফির দাম আগের তুলনায় ৪৬ ডলার বা ১ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৮৭৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
ভিয়েতনামের মার্চেন্টাইল এক্সচেঞ্জের ডেপুটি হেড এনগুয়েন এনগোক কুইন বলেন, ‘কৃষকরা সাধারণত নতুন বছরের ছুটির আগে বেশি কফি বিন বিক্রি করেন। চলতি বছর আর্থিক চাপ আগের বছরের মতো তীব্র নয়। রফতানির পরিমাণ জানুয়ারির প্রথমার্ধে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় বাণিজ্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরে দেশটির সুমাত্রা রোবাস্তা কফি বিন রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৭৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে ২২ হাজার ৮৮০ দশমিক ৯১ টনে পৌঁছেছে।