নিউইয়র্ক ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বৈশ্বিক ইউএভি বাজারের ৬৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ তুরস্কের হাতে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৫ বার পঠিত

তুর্কি ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বায়কারের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সেলচুক বায়রাকতার বলেছেন, তুরস্ক বর্তমানে যুদ্ধে ব্যবহৃত চালকবিহীন আকাশযান বা আনম্যানড কমব্যাট এয়ারক্রাফটের (ইউএভি) বৈশ্বিক বাজারের ৬৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্প্রতি তুরস্কে ‘টেক-অফ ইস্তানবুল’ নামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

বায়কারের তৈরি বায়রাকতার টিবি২ বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ইউএভি। এটি ২০১৪ সালে প্রথম ওড়ে। এরপর ২০১৯ সালে কোম্পানিটির আরেক ইউএভি একিনসি বাজারে আসে।

বায়রাকতার বলেন, ‘‌আকিনসি এরই মধ্যে ১০টি দেশে রফতানি করা হয়েছে। অন্যদিকে বায়রাকতার টিবি২ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রফতানি হওয়া ইউসিএভি।’ তিনি বলেন, ‘‌বায়কার একাই ইউএভি বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম ইউএভি কোম্পানি।’ তিনি বলেন, ‘‌২০০৪ সালে বায়কার তুরস্কের প্রথম রোবোটিক গাইডেন্স সিস্টেম ও প্রথম মিনি ইউএভি তৈরি করেছিল। সে সময় এ প্রযুক্তি বিশ্বে এত পরিচিত ছিল না।’

বায়রাকতার আরো বলেন, ‘‌তুরস্কের প্রথম আনম্যানড কমব্যাট এয়ারক্রাফট কিজিলেলমা ২০২২ সালের বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বায়কার। কিন্তু প্রতিশ্রুত সময়ের এক বছর আগেই তা প্রথম উড্ডয়ন করে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে বায়রাকতার টিবি৩-এর প্রথম উড়েছিল।

বায়রাকতার টিবি৩ বিশ্বের প্রথম যুদ্ধ ইউএভি প্লাটফর্ম, যা স্বল্পদৈর্ঘ্যের রানওয়েবিশিষ্ট জাহাজ থেকে ওঠানামা করতে পারে। গত মাসে এর প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এরই মধ্যে বায়রাকতার টিবি৩-এর ব্যাপক উৎপাদনও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বায়রাকতার বলেন, ‘‌বায়কার তিন বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম ড্রোন কোম্পানি হিসেবে অবস্থান করছে। এটি এখন নিকটতম আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকেও তিন গুণ বড়। বায়কার ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত, গতকালের বা আজকের জন্য নয়।’

টেক অব ইস্তানবুল ২০১৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, বৈশ্বিক প্রযুক্তি নেতাদের এবং সফল স্টার্টআপদের ইস্তানবুলে একত্রিত করেছে। সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানটি বুধ-বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত হয়।

সপ্তম টেক অব সামিটে ২৫টি দেশ থেকে বিনিয়োগকারী ও ২৩টি দেশের প্রযুক্তি স্টার্টআপ উপস্থিত ছিল। স্টার্টআপ ও করপোরেট কোম্পানিগুলো দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সভা করেছে, যা দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।

২০১৮ সাল থেকে ৪০০ জনের বেশি মেন্টর, বিনিয়োগকারী ও ১৬৬ জন বক্তা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আয়োজকরা বলছেন, টেক-অফ ইস্তানবুল সেই সব মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি করে, যারা তাদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় এবং বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনুপ্রেরণা খুঁজছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বৈশ্বিক ইউএভি বাজারের ৬৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ তুরস্কের হাতে

প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

তুর্কি ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বায়কারের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সেলচুক বায়রাকতার বলেছেন, তুরস্ক বর্তমানে যুদ্ধে ব্যবহৃত চালকবিহীন আকাশযান বা আনম্যানড কমব্যাট এয়ারক্রাফটের (ইউএভি) বৈশ্বিক বাজারের ৬৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্প্রতি তুরস্কে ‘টেক-অফ ইস্তানবুল’ নামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

বায়কারের তৈরি বায়রাকতার টিবি২ বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ইউএভি। এটি ২০১৪ সালে প্রথম ওড়ে। এরপর ২০১৯ সালে কোম্পানিটির আরেক ইউএভি একিনসি বাজারে আসে।

বায়রাকতার বলেন, ‘‌আকিনসি এরই মধ্যে ১০টি দেশে রফতানি করা হয়েছে। অন্যদিকে বায়রাকতার টিবি২ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রফতানি হওয়া ইউসিএভি।’ তিনি বলেন, ‘‌বায়কার একাই ইউএভি বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম ইউএভি কোম্পানি।’ তিনি বলেন, ‘‌২০০৪ সালে বায়কার তুরস্কের প্রথম রোবোটিক গাইডেন্স সিস্টেম ও প্রথম মিনি ইউএভি তৈরি করেছিল। সে সময় এ প্রযুক্তি বিশ্বে এত পরিচিত ছিল না।’

বায়রাকতার আরো বলেন, ‘‌তুরস্কের প্রথম আনম্যানড কমব্যাট এয়ারক্রাফট কিজিলেলমা ২০২২ সালের বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বায়কার। কিন্তু প্রতিশ্রুত সময়ের এক বছর আগেই তা প্রথম উড্ডয়ন করে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে বায়রাকতার টিবি৩-এর প্রথম উড়েছিল।

বায়রাকতার টিবি৩ বিশ্বের প্রথম যুদ্ধ ইউএভি প্লাটফর্ম, যা স্বল্পদৈর্ঘ্যের রানওয়েবিশিষ্ট জাহাজ থেকে ওঠানামা করতে পারে। গত মাসে এর প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এরই মধ্যে বায়রাকতার টিবি৩-এর ব্যাপক উৎপাদনও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বায়রাকতার বলেন, ‘‌বায়কার তিন বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম ড্রোন কোম্পানি হিসেবে অবস্থান করছে। এটি এখন নিকটতম আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকেও তিন গুণ বড়। বায়কার ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত, গতকালের বা আজকের জন্য নয়।’

টেক অব ইস্তানবুল ২০১৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, বৈশ্বিক প্রযুক্তি নেতাদের এবং সফল স্টার্টআপদের ইস্তানবুলে একত্রিত করেছে। সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানটি বুধ-বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত হয়।

সপ্তম টেক অব সামিটে ২৫টি দেশ থেকে বিনিয়োগকারী ও ২৩টি দেশের প্রযুক্তি স্টার্টআপ উপস্থিত ছিল। স্টার্টআপ ও করপোরেট কোম্পানিগুলো দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সভা করেছে, যা দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।

২০১৮ সাল থেকে ৪০০ জনের বেশি মেন্টর, বিনিয়োগকারী ও ১৬৬ জন বক্তা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আয়োজকরা বলছেন, টেক-অফ ইস্তানবুল সেই সব মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি করে, যারা তাদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় এবং বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনুপ্রেরণা খুঁজছে।