নিউইয়র্ক ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এবার বাংলাদেশকে তিন বিষয়ে জোর দিতে বলল আইএমএফ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৯ বার পঠিত

ঋণ ছাড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু পরামর্শ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এবার বাংলাদেশকে তিন বিষয়ে জোর দিতে বলেছে সংস্থাটি। বিষয়গুলো হচ্ছে- কর রাজস্ব বৃদ্ধি এবং কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় কমানো, মূল্যস্ফীতি কমানোসহ মুদ্রানীতি কাঠামোর আধুনিকীকরণ করা এবং ব্যাংক খাতে তদারকি বৃদ্ধিসহ আর্থিক খাতে সংস্কার আনা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ এ কথা বলেছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।

বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।এ উপলক্ষে আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগ আজ সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

এ সময় আইএমএফ বলেছে, সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি কঠোর করেছে, মুদ্রা বিনিময় হার নমনীয় করার অনুমতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা সন্তোষজনকই এবং আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির বেশির ভাগ লক্ষ্যমাত্রা ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ পূরণ করেছে।

ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গভীর করার পরামর্শ দেন রাহুল আনন্দ। বাংলাদেশ গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল বাংলাদেশ, সংস্থাটি তা অনুমোদন করেছে। চলতি ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন করে। আইএমএফ বলেছে, ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এখন তা ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার থাকলেই হবে।

রিজার্ভে যুক্ত হলো আইএমএফের ঋণ
এদিকে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ। এই অর্থের পরিমাণ ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে অনুমোদিত ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রিজার্ভের সাথে যুক্ত হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ অন্যান্য ঋণের আরও ৬২ কোটি ডলার যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসে রিজার্ভে যুক্ত হবে ১৩১ কোটি ডলার। আর্থিক সংকটের সময়ে এটা আমাদের স্বস্তির খবর। সূত্র : কালবেলা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এবার বাংলাদেশকে তিন বিষয়ে জোর দিতে বলল আইএমএফ

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ঋণ ছাড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু পরামর্শ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এবার বাংলাদেশকে তিন বিষয়ে জোর দিতে বলেছে সংস্থাটি। বিষয়গুলো হচ্ছে- কর রাজস্ব বৃদ্ধি এবং কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় কমানো, মূল্যস্ফীতি কমানোসহ মুদ্রানীতি কাঠামোর আধুনিকীকরণ করা এবং ব্যাংক খাতে তদারকি বৃদ্ধিসহ আর্থিক খাতে সংস্কার আনা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ এ কথা বলেছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।

বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।এ উপলক্ষে আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগ আজ সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

এ সময় আইএমএফ বলেছে, সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি কঠোর করেছে, মুদ্রা বিনিময় হার নমনীয় করার অনুমতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা সন্তোষজনকই এবং আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির বেশির ভাগ লক্ষ্যমাত্রা ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ পূরণ করেছে।

ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গভীর করার পরামর্শ দেন রাহুল আনন্দ। বাংলাদেশ গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল বাংলাদেশ, সংস্থাটি তা অনুমোদন করেছে। চলতি ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন করে। আইএমএফ বলেছে, ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এখন তা ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার থাকলেই হবে।

রিজার্ভে যুক্ত হলো আইএমএফের ঋণ
এদিকে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ। এই অর্থের পরিমাণ ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে অনুমোদিত ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রিজার্ভের সাথে যুক্ত হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ অন্যান্য ঋণের আরও ৬২ কোটি ডলার যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসে রিজার্ভে যুক্ত হবে ১৩১ কোটি ডলার। আর্থিক সংকটের সময়ে এটা আমাদের স্বস্তির খবর। সূত্র : কালবেলা।