স্বস্তি নেই বাজারে, বেড়েছে ডিম-পেঁয়াজের দাম
- প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১১৭ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : রাজধানীর বাজারে আবারও অস্বস্তি। নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে কমছে না। এখনও অনেক পাড়া-মহল্লায় মুড়িকাটার কেজি ১শ’ টাকা। ঢাকার কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০ টাকার আশপাশে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। সাদা রঙের ডিমের দাম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ডজন। গত সপ্তাহের তুলনায় বাদামি ডিমের দাম ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সাদা রঙের ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে মানভেদে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
মালিবাগ বাজারের এক ডিম বিক্রেতা বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে ডিম কম আসছে। ফলে ডিমের দাম বেড়েছে।
অস্বস্তি মাঝে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার ও সোনালি উভয় মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যা ছিলো ১৯০ থেকে ২০০। আর গত সপ্তাহে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজির সোনালি মুরগির দাম এই সপ্তাহে নেমে এসেছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দাম চাওয়া হয়েছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রায় অপরিবর্তিত আছে মাছের দাম। মাঝারি আকারের চাষের রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আকারভেদে তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে নতুন রসুনের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিলো ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে পুরনো দেশি রসুন কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে দেশি নতুন রসুন কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি কেজি ১৪৮ টাকা ও খোলা চিনি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে রাজধানীর শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আমদানিকারক মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজ ঠিকমতো তুলছিলেন না। এতে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়। মূলত এ কারণেই দাম বেড়েছে। বাড়তি দামের আশায় কৃষকরা এখন আবার পেঁয়াজ তুলে বাজারজাত করছেন। এতে দাম কিছুটা কমতির দিকে। সাধারণত বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেই দাম কম থাকে।
এদিকে, বাজারে এখনও সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এর পরও সব ধরনের শাক-সবজির দাম চড়া। রাজধানীর খুচরা বাজারে ভালো মানের বেগুন ৮০ টাকা কেজির নিচে কেনা যাচ্ছে না। মুলা ও পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন মানভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, শিম মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৫০ টাকা, লম্বা লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও আলু কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল
হককথা/নাছরিন