নিউইয়র্ক ০৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চীনকে কোণঠাসা করতে ভিয়েতনামের চিপল্পশি বিকাশে অর্থ ঢালবে যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৪৭ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমল থেকেই চীনের সঙ্গে এক ধরনের বাণিজ্যিক যুদ্ধ শুরু হয়। সেই যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় টানাপোড়েন শুরু হয় কম্পিউটার সামগ্রীর জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ নিয়েও। চিপ খাতে চীননির্ভরতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র এবার চীনেরই প্রতিবেশী দেশ ভিয়েতনামের দিকে নজর দিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালার।

জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম সফররত বিশেষ যুক্তরাষ্ট্রের দূত জোসে ফের্নান্দেজ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টের আওতায় ভিয়েতনামের চিপশিল্প বিকাশে বিনিয়োগ করবে তাঁর দেশ। তিনি বলেছেন, এই খাতে চীননির্ভরতা কমাতেই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিক্কেই এশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফের্নান্দেজ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টের আওতায় সহায়তা দেওয়ার জন্য সাতটি দেশকে টার্গেট করছে। এসব দেশকে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিষয়ে প্রশিক্ষণ, সাইবার নিরাপত্তা ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি উন্নতির জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। এসব দেশের মধ্যে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য। কমিউনিস্ট ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা দেশটিকে বাজার অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছেন। মূলত বিশ্ববাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর শুল্ক কম আরোপ করা হয় সে লক্ষ্যেই এই দেনদরবার।

ফের্নান্দেজ বলেছেন, ওপরের বিষয়টি ছাড়াও তিনি ভিয়েতনামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি নিয়েও। এ ছাড়া ভিয়েতনামের চিপ কোম্পানিগুলো যেগুলোতে ক্লিন এনার্জি বা পরিষ্কার জ্বালানি ব্যবহার করা হয়—যুক্তরাষ্ট্রের ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ছাড়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই অর্থ বরাদ্দ করবে।

নিক্কেই এশিয়াকে ফের্নান্দেজ বলেন, ‘আমরা এমন কয়েকটি দেশের তালিকা করেছি যেগুলো আমাদের সমর্থন পেলে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে উপকৃত হবে বলে সম্ভাবনা আছে। এই তালিকায় ভিয়েতনাম আমাদের প্রথম পছন্দ।’ তিনি জানান, ভিয়েতনাম ইলেকট্রনিকস, পোশাক ও খাদ্যের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্লাই চেইন চীন থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার একটি মূল পয়েন্ট হতে পারে এই দেশ। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চীনকে কোণঠাসা করতে ভিয়েতনামের চিপল্পশি বিকাশে অর্থ ঢালবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমল থেকেই চীনের সঙ্গে এক ধরনের বাণিজ্যিক যুদ্ধ শুরু হয়। সেই যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় টানাপোড়েন শুরু হয় কম্পিউটার সামগ্রীর জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ নিয়েও। চিপ খাতে চীননির্ভরতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র এবার চীনেরই প্রতিবেশী দেশ ভিয়েতনামের দিকে নজর দিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালার।

জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম সফররত বিশেষ যুক্তরাষ্ট্রের দূত জোসে ফের্নান্দেজ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টের আওতায় ভিয়েতনামের চিপশিল্প বিকাশে বিনিয়োগ করবে তাঁর দেশ। তিনি বলেছেন, এই খাতে চীননির্ভরতা কমাতেই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিক্কেই এশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফের্নান্দেজ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টের আওতায় সহায়তা দেওয়ার জন্য সাতটি দেশকে টার্গেট করছে। এসব দেশকে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিষয়ে প্রশিক্ষণ, সাইবার নিরাপত্তা ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি উন্নতির জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। এসব দেশের মধ্যে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য। কমিউনিস্ট ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা দেশটিকে বাজার অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছেন। মূলত বিশ্ববাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর শুল্ক কম আরোপ করা হয় সে লক্ষ্যেই এই দেনদরবার।

ফের্নান্দেজ বলেছেন, ওপরের বিষয়টি ছাড়াও তিনি ভিয়েতনামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি নিয়েও। এ ছাড়া ভিয়েতনামের চিপ কোম্পানিগুলো যেগুলোতে ক্লিন এনার্জি বা পরিষ্কার জ্বালানি ব্যবহার করা হয়—যুক্তরাষ্ট্রের ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ছাড়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই অর্থ বরাদ্দ করবে।

নিক্কেই এশিয়াকে ফের্নান্দেজ বলেন, ‘আমরা এমন কয়েকটি দেশের তালিকা করেছি যেগুলো আমাদের সমর্থন পেলে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে উপকৃত হবে বলে সম্ভাবনা আছে। এই তালিকায় ভিয়েতনাম আমাদের প্রথম পছন্দ।’ তিনি জানান, ভিয়েতনাম ইলেকট্রনিকস, পোশাক ও খাদ্যের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্লাই চেইন চীন থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার একটি মূল পয়েন্ট হতে পারে এই দেশ। সূত্র : আজকের পত্রিকা।