যুক্তরাষ্ট্রের ডলার বিশ্ববাজারে এখন আরও শক্তিশালী
- প্রকাশের সময় : ১০:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৬১ বার পঠিত
আট সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে বলে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেটি ঘটবে না বলে ধারণা করে বিশ্ব আর্থিক বাজারে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। সুদের উঁচু হার সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভালো করছে, আর সে কারণে সুদের হার এখনই কমানোর বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার আর্থিক বাজারে জাপানি ইয়েন এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ডলারের দাম পড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে এই পতন দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। একইভাবে এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমেছে ইউরোর দাম। প্রতি ইউরোর বিপরীতে এখন পাওয়া যাচ্ছে ১ দশমিক শূন্য ৭ ডলার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে, প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচকের মান ১০৪ দশমিক ১৮-এ উঠেছে, যা ডিসেম্বরের পরে সর্বোচ্চ।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বাজারে যে প্রত্যাশা ছিল, কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক ভালো হওয়ার কারণে সুদের হার কমানো নিয়ে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে। গত সপ্তাহে জেরোম পাওয়েল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে বলেছিলেন যে সম্ভবত মার্চে সুদের হার কমানো হবে না।
পিপারস্টোনের গবেষণা বিভাগের প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন বলেন, ফেডের ওপেন মার্কেট কমিটির পর সাংবাদিক সম্মেলনে জে পাওয়েল যা বলেছেন এবং এরপর অকৃষি খাতের শক্তিশালী কর্মসংস্থানের প্রতিবেদন—এই দুটি বিষয় সত্যিকার অর্থে মার্চে সুদের হার কমানোর রাস্তা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে।
রোববার রাতে প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে জেরোম পাওয়েল বলেছেন যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান সুদের হার কখন কমানো হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘দূরদর্শী’ হতে পারে। অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি যে কমে আসবে, সে ব্যাপারে আস্থাবান হতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।
আর্থিক বাজারে জাপানি ইয়েনের দাম শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের পতন হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ। দাম কমেছে পাউন্ড স্টার্লিংয়েরও। ১৭ জানুয়ারির পর ব্রিটিশ মুদ্রার দাম এখন সবচেয়ে কম। কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা–বিশেষজ্ঞ ক্যারল কং বলেন, ডলারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি সম্ভবত টেকসই হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার আরও বেশি সময় উচ্চপর্যায়ে থাকবে, এই প্রত্যাশায় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিলের সুদের হারও বেড়ে গেছে। দুই বছর মেয়াদি বিলের আয় বেড়ে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশে উঠেছে। আর ১০ বছর মেয়াদি বিলের সুদের হার বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
অন্যদিকে চীনে শেয়ারের দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে যাওয়ার পর দেশটির পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাজারের অস্বাভাবিক ওঠানামা বন্ধ করতে অঙ্গীকার করছে। তবে তারা নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ ঘোষণা করেনি। তবে এই পদক্ষেপ ইউয়ানের জন্য কোনো সুবিধা বয়ে আনেনি। ডলার শক্তিশালী হওয়ার কারণে ইউয়ানের দাম সামান্য কমে গেছে। সূত্র : প্রথম আলো।