নিউইয়র্ক ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মজুদবিরোধী অভিযানে কমেছে চালের দাম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : নিয়মিত মজুদবিরোধী অভিযানে প্রভাব পড়েছে নওগাঁর মোকামে। এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে ধানের দাম মণপ্রতি কমেছে ৪০ টাকা। এতে খুচরা বাজারেও কেজিপ্রতি চালের দাম কমেছে দুই থেকে তিন টাকা।তবে, বাজার নিয়ন্ত্রণে চাষিদের কাছ থেকে উৎপাদনের এক চতুর্থাংশ ধান কেনার কথা বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এতে কর্পোরেট ব্যবসায়ী ও মিলারদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।

ধান-চালের বাজারে নৈরাজ্য বন্ধে নওগাঁয় নিয়মিত মিল গুদামে মজুদবিরোধী অভিযান চলছে। অভিযুক্তদের জরিমানার পাশাপাশি গুদাম বন্ধ ও অনেককে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযানের কারণে নওগাঁর বিভিন্ন মোকামে এক মণ ধানের দাম কমেছে ৪০ টাকা। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এক কেজিতে চালের দাম কমেছে দুই থেকে তিন টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, নির্বাচনের আগে আগে ধানের দাম বৃদ্ধি পায়। এরপর সরকার অভিযান শুরু করলে আবার তা কমে আসে। গত কয়েক বছর ধরে খাদ্য বিভাগের ধান সংগ্রহে ব্যর্থতার সুযোগ সিণ্ডিকেট নিচ্ছে জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা ধান সংগ্রহে সহজ নীতিমালা তৈরির দাবি তুলছেন। পাশাপাশি অবৈধ মজুদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রশাসনিক নজরদারির দাবিও জানান তারা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের ফরহাদ হোসেন বলেন, ধান সংগ্রহের নীতিমালা সহজ করা হলে কৃষকরা সরকারী গুদামে ধান দিতে উৎসাহিত হবে। ফলে সিণ্ডিকেট দুর্বল হবে। এদিকে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদিত ধানের এক চতুর্থাংশ কিনলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

নওগাঁর ধান-চাল বিশ্লেষক জয়নাল আবেদিন মুকুল বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীদের সিণ্ডিকেট, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণে অবহেলা, এর সঙ্গে সরকারের ধান সংগ্রহের যে নীতিমালার কারণে বাজারে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।

গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন মিলগুদামে অর্ধশতাধিক অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। ৩০ টাকা দরে সাত হাজার ৬১৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সরকারিভাবে মাত্র ৪০৫ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ হয়েছে। সূত্র : ৭১টিভি

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মজুদবিরোধী অভিযানে কমেছে চালের দাম

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : নিয়মিত মজুদবিরোধী অভিযানে প্রভাব পড়েছে নওগাঁর মোকামে। এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে ধানের দাম মণপ্রতি কমেছে ৪০ টাকা। এতে খুচরা বাজারেও কেজিপ্রতি চালের দাম কমেছে দুই থেকে তিন টাকা।তবে, বাজার নিয়ন্ত্রণে চাষিদের কাছ থেকে উৎপাদনের এক চতুর্থাংশ ধান কেনার কথা বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এতে কর্পোরেট ব্যবসায়ী ও মিলারদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।

ধান-চালের বাজারে নৈরাজ্য বন্ধে নওগাঁয় নিয়মিত মিল গুদামে মজুদবিরোধী অভিযান চলছে। অভিযুক্তদের জরিমানার পাশাপাশি গুদাম বন্ধ ও অনেককে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযানের কারণে নওগাঁর বিভিন্ন মোকামে এক মণ ধানের দাম কমেছে ৪০ টাকা। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এক কেজিতে চালের দাম কমেছে দুই থেকে তিন টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, নির্বাচনের আগে আগে ধানের দাম বৃদ্ধি পায়। এরপর সরকার অভিযান শুরু করলে আবার তা কমে আসে। গত কয়েক বছর ধরে খাদ্য বিভাগের ধান সংগ্রহে ব্যর্থতার সুযোগ সিণ্ডিকেট নিচ্ছে জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা ধান সংগ্রহে সহজ নীতিমালা তৈরির দাবি তুলছেন। পাশাপাশি অবৈধ মজুদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রশাসনিক নজরদারির দাবিও জানান তারা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের ফরহাদ হোসেন বলেন, ধান সংগ্রহের নীতিমালা সহজ করা হলে কৃষকরা সরকারী গুদামে ধান দিতে উৎসাহিত হবে। ফলে সিণ্ডিকেট দুর্বল হবে। এদিকে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদিত ধানের এক চতুর্থাংশ কিনলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

নওগাঁর ধান-চাল বিশ্লেষক জয়নাল আবেদিন মুকুল বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীদের সিণ্ডিকেট, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণে অবহেলা, এর সঙ্গে সরকারের ধান সংগ্রহের যে নীতিমালার কারণে বাজারে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।

গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন মিলগুদামে অর্ধশতাধিক অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। ৩০ টাকা দরে সাত হাজার ৬১৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সরকারিভাবে মাত্র ৪০৫ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ হয়েছে। সূত্র : ৭১টিভি

হককথা/নাছরিন