চলতি বছর রেকর্ড শস্য উৎপাদন চীনে
- প্রকাশের সময় : ০২:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৩ বার পঠিত
খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে শস্য উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে চীন। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশটি চলতি বছর রেকর্ড শস্য উৎপাদন করেছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। খবর রয়টার্স ও হেলেনিক শিপিং নিউজ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য আমদানিকারক দেশ চীন। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক ওয়ে ফেংহুয়া জানান, চলতি বছর চীনে মোট শস্য উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টন। উৎপাদন বৃদ্ধির পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে ধান, গম ও ভুট্টার ঊর্ধ্বমুখী ফলন। চীন গত বছর মোট ৬৯ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টন শস্য উৎপাদন করে। এ হিসাবে চলতি বছর তা বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
ফেংহুয়া বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকূল প্রভাবের মধ্যেও চলতি বছর চীনে শস্য উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিজমি সুরক্ষার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপে ফলন বেড়েছে।’
জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যানুযায়ী, চীনে চলতি বছর চাল উৎপাদন বেড়ে ২০ কোটি ৭৫ লাখ টনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এ সময় দেশটিতে গম উৎপাদন বেড়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১ লাখ টনে। চীনে চলতি বছর ভুট্টা উৎপাদন বেড়েছে গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ। মোট উৎপাদন হয়েছে ২৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার টন। একই সময় সয়াবিন দশমিক ৯ শতাংশ কমে ২ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টনে নেমেছে।
বিবৃতিতে ফেংহুয়া আরো বলেন, ‘চীনে পরপর পাঁচ বছর ধরে শস্য চাষের জন্য আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। চলতি বছর এটি বেড়েছে আগের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ। এ সময় মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ২৯ কোটি ৪৯ লাখ একর (১১ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর)।
চলতি বছর চীনে ধান আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বেড়েছে। এ সময় মোট ৮ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার একর (২ কোটি ৯০ লাখ হেক্টর) জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এ সময় ভুট্টার আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১১ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার একরে (৪ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর) পৌঁছেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো আরো জানায়, চীনে সয়াবিন ও গম আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ ও দশমিক ২ শতাংশ।
চীন অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। সম্প্রতি দেশটি কৃষি যন্ত্রপাতি ও বীজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। চীনের কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশটি সয়াবিন ও ভুট্টায় আমদানিনির্ভর রয়ে গেছে।