চার মাসের মধ্যে প্রথমবার উৎপাদন কমেছে চীনে

- প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৬১ বার পঠিত
চীনে চলতি মাসে শিল্পোৎপাদন কমে গেছে। চান্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে দেশটির শ্রমিকরা কারখানা ছেড়ে নিজ শহরে ফিরে গেছেন। এতে চার মাসের মধ্যে প্রথমবার উৎপাদন কমেছে। খবর রয়টার্স।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জানুয়ারিতে পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) ৪৯ দশমিক ১-এ নেমে গেছে। ডিসেম্বরে সূচকটি ৫০ দশমিক ১-এ অবস্থান করছিল। অথনীতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পিএমআই সূচক কারখানার ব্যবস্থাপকদের ওপর করা সমীক্ষার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে নতুন কার্যাদেশ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান, সরবরাহের গতি ও মজুদের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে এটি ওঠানামা করে। পিএমআই সূচক ৫০-এর ওপরে থাকলে অর্থনীতির প্রসারণ এবং ৫০-এর নিচে নামলে সংকোচন বোঝায়। চলতি মাসে চীনের নির্মাণ ও পরিষেবা খাতের পিএমআই কমে ৫০ দশমিক ২-এ নেমেছে। আগের মাসে সূচকটি ছিল ৫২ দশমিক ২।
জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ পরিসংখ্যানবিদ ঝাও ছিংহে বলেন, ‘কারখানার উৎপাদন কমার অন্যতম কারণ চান্দ্র নববর্ষের ছুটি। এ বছর এটি “সাপের বছর’’ হিসেবে পালিত হবে। সরকারি ছুটি গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে, যা আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষ শহর ছেড়ে তাদের নিজ গ্রাম বা শহরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে যাচ্ছে। সাধারণত এ ছুটি বছরের শুরুতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে।’ সরকারি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত বছর চীনের অর্থনীতির আকার বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। শক্তিশালী রফতানি ও সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির কারণে এ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের বিশ্লেষক জিচুন হুয়াং বলেন, ‘জানুয়ারিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা কমলেও সরকারি উদ্যোগের কারণে আগামী মাসগুলোয় এটি আবার গতি ফিরে পেতে পারে।”তবে পিএমআই কমায় নীতিনির্ধারকদের জন্য স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা কঠিন হতে পারে।’ নির্মাণ খাতের পিএমআই কমা হতাশাজনক উল্লেখ করে হুয়াং বলেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়া সত্ত্বেও নির্মাণ খাতের ওপর চাপ কমানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। এটি বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে চীনের রফতানির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।