অস্ট্রেলিয়ার শস্য উৎপাদনে ইতিবাচক পূর্বাভাস

- প্রকাশের সময় : ০৫:২২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৬০ বার পঠিত
প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় শস্য উৎপাদন বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়। সংস্থাটি জানায়, এ বছর দেশটি ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গম উৎপাদন করবে। এ সময় ক্যানোলা উৎপাদনের দিক থেকে পঞ্চম শীর্ষস্থান দখল করতে পারে দেশটি। খবর ওয়ার্ল্ড-গ্রেইন ডটকম।
এফএএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে অস্ট্রেলিয়ায় ৩ কোটি ২০ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা আগের ১০ বছরের গড় উৎপাদনের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বেশির ভাগ গম উৎপাদন হয়। সেখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে চাষীরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। তা সত্ত্বেও দেশটিতে রেকর্ড উৎপাদন হতে যাচ্ছে। এছাড়া চলতি বছর গম রফতানি ২ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ২০২৩-২৪ বিপণন বর্ষের তুলনায় ৪২ লাখ টন বা ২৬ শতাংশ বেশি। এফএএস জানিয়েছে, উৎপাদন ৬০ লাখ টন বাড়ার সম্ভাবনায় রফতানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এদিকে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে যব উৎপাদন ১ কোটি ১৭ লাখ টনে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৬ শতাংশ বৃদ্ধি ও একই হারে ফলন বাড়ার কারণে এটি সম্ভব হবে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কৃষকরা মল্ট গ্রেড থেকে সরে গিয়ে উচ্চফলনশীল ফিড গ্রেডের যব চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন। ফলে উৎপাদন বাড়ছে।
তবে উৎপাদন বাড়লেও রফতানি ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে ২৩ শতাংশ কমে ৫৫ লাখ টনে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এফএএস জানায়, যব রফতানি কম হওয়ার মূল কারণ নিম্নমুখী প্রাথমিক মজুদ। এর আগে চীন ২০২৩-২৪ বিপণন বর্ষে বাণিজ্য শুল্ক প্রত্যাহারের পর রফতানি ব্যাপক বেড়ে গিয়েছিল। ফলে মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। তাই অতিরিক্ত সরবরাহের সুযোগ নেই।