নিউইয়র্ক ০১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক বছরে ব্যাংকে নারীকর্মী বেড়েছে ১,৪০৭ জন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ১৩৬ বার পঠিত

ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সাল শেষে দেশের ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৩৪৬ জনে। যেখানে ২০২২ সাল শেষে এ সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৯৩৯ জন। এক বছরে নারী কর্মী বেড়েছে ১ হাজার ৪০৭ জন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সামষ্টিকভাবে নারী কর্মকর্তা বাড়লেও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নারী কর্মকর্তার হার কমেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নারী পরিচালকের উপস্থিতির হার ছিল ১৩.৫১ শতাংশ। যেখানে এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সাল শেষে তা ছিল ১৪.২২ শতাংশ।

গত বছর শেষে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের বোর্ডে নারী পরিচালকদের হার ছিল ৮ শতাংশ, তবে এ সময়ে বিশেষায়িত ব্যাংকের বোর্ডে নারীদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে নারী পরিচালকদের হার ছিল ১৪.১৬ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংকের পর্ষদে ছিল ১৭.৫৪ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের বোর্ডে নারীদের উপস্থিতি ছিল ১০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংকের বোর্ডে ৪ শতাংশ, বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে ১৪.৭১ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংকের পর্ষদে নারীদের উপস্থিতি ছিল ১৮.৬০ শতাংশ। সেই হিসাবে ব্যাংক খাতে নারীদের কর্মসংস্থান বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে পুরুষের তুলনায় নারী কর্মকর্তার হার ১৬.৩৭ শতাংশ।

দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২ হাজার ২৪৮ জন নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, যা মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১৬.৩২ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮ হাজার ২০৬ জন নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে, যা মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১৬.৩১ শতাংশ।

অন্যদিকে ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে সবচেয়ে কম সংখ্যক (৯৮১ জন) নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর হার সবচেয়ে বেশি, ২৪.১৮ শতাংশ।ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বাড়লেও তা মোট জনবলের বিপরীতে এখনো বেশ কম। তিন বছর ধরে তো এই খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ১৬ শতাংশেই আটকে আছে। বাকিরা পুরুষ কর্মী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের শেষে ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৩৪৬। এর বিপরীতে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৫০। অর্থাৎ ব্যাংক খাতে মোট কর্মীর মধ্যে এখন ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ নারী, যা ২০২২ সালের শেষে ছিল ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর ২০২১ সালের শেষে সংখ্যাটি ছিল ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সে হিসাবে গত তিন বছরে নারী কর্মীর সংখ্যা শতকরা হিসাবে খুব বেশি নড়চড় করেনি। তবে সংখ্যা বিবেচনায় মোট নারী কর্মীর সংখ্যা ২০২১ সালের ৩০ হাজার ১৪১ জন থেকে ২০২৩ সালের শেষে এসে ৩ হাজার ২০৫ জন বেড়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নারীদের নিয়োগ বেশ বাড়ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ৩৬তম, ৩৭তম ও ৩৮তম সাধারণ বিসিএসে নারীদের নিয়োগের গড় হার ছিল ২৬ শতাংশের মতো। পরের ৩৯তম ও ৪১তম বিশেষ বিসিএসে যা বেড়ে গড়ে ৪৮ শতাংশে উঠেছে। এই পাঁচ বিসিএসে মোট ৬ হাজার ৫৬৬ জন নারী নিয়োগ পেয়েছেন। একই সময়ে পুরুষ নিয়োগ পেয়েছেন ৯ হাজার ৮০৪ জন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, এখন ব্যাংক খাতের প্রারম্ভিক পর্যায়ে কাজ করছেন, এমন নারীর সংখ্যা ১৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। মধ্যবর্তী পর্যায়ে যা ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর ব্যাংকের উচ্চস্তরে নারী কর্মীর অংশগ্রহণ ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ব্যাংকে তিন স্তরে নারী কর্মীর অংশগ্রহণে এই সংখ্যা গত তিন বছরে যৎসামান্য বেড়েছে।

এদিকে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও নারী কর্মীর সংখ্যা বেশ কম। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট জনবলের ১৭ শতাংশ নারী। বাকি ৮৩ শতাংশই পুরুষ। এই খাতের প্রাথমিক, মধ্যবর্তী ও উচ্চ স্তরে ব্যাংকের মতোই নারী কর্মীর সংখ্যা কম। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বোর্ডেও নারীর অংশগ্রহণ ব্যাংকের আশপাশে রয়েছে। তবে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হার বেশি। ২০২৩ সালের শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়া, মানে চাকরি বদল করা নারীর হার দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ।সূত্র : দৈনিক বাংলা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এক বছরে ব্যাংকে নারীকর্মী বেড়েছে ১,৪০৭ জন

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সাল শেষে দেশের ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৩৪৬ জনে। যেখানে ২০২২ সাল শেষে এ সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৯৩৯ জন। এক বছরে নারী কর্মী বেড়েছে ১ হাজার ৪০৭ জন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সামষ্টিকভাবে নারী কর্মকর্তা বাড়লেও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নারী কর্মকর্তার হার কমেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নারী পরিচালকের উপস্থিতির হার ছিল ১৩.৫১ শতাংশ। যেখানে এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সাল শেষে তা ছিল ১৪.২২ শতাংশ।

গত বছর শেষে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের বোর্ডে নারী পরিচালকদের হার ছিল ৮ শতাংশ, তবে এ সময়ে বিশেষায়িত ব্যাংকের বোর্ডে নারীদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে নারী পরিচালকদের হার ছিল ১৪.১৬ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংকের পর্ষদে ছিল ১৭.৫৪ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের বোর্ডে নারীদের উপস্থিতি ছিল ১০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংকের বোর্ডে ৪ শতাংশ, বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে ১৪.৭১ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংকের পর্ষদে নারীদের উপস্থিতি ছিল ১৮.৬০ শতাংশ। সেই হিসাবে ব্যাংক খাতে নারীদের কর্মসংস্থান বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে পুরুষের তুলনায় নারী কর্মকর্তার হার ১৬.৩৭ শতাংশ।

দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২ হাজার ২৪৮ জন নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, যা মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১৬.৩২ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮ হাজার ২০৬ জন নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে, যা মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১৬.৩১ শতাংশ।

অন্যদিকে ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে সবচেয়ে কম সংখ্যক (৯৮১ জন) নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর হার সবচেয়ে বেশি, ২৪.১৮ শতাংশ।ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বাড়লেও তা মোট জনবলের বিপরীতে এখনো বেশ কম। তিন বছর ধরে তো এই খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ১৬ শতাংশেই আটকে আছে। বাকিরা পুরুষ কর্মী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের শেষে ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৩৪৬। এর বিপরীতে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৫০। অর্থাৎ ব্যাংক খাতে মোট কর্মীর মধ্যে এখন ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ নারী, যা ২০২২ সালের শেষে ছিল ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর ২০২১ সালের শেষে সংখ্যাটি ছিল ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সে হিসাবে গত তিন বছরে নারী কর্মীর সংখ্যা শতকরা হিসাবে খুব বেশি নড়চড় করেনি। তবে সংখ্যা বিবেচনায় মোট নারী কর্মীর সংখ্যা ২০২১ সালের ৩০ হাজার ১৪১ জন থেকে ২০২৩ সালের শেষে এসে ৩ হাজার ২০৫ জন বেড়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নারীদের নিয়োগ বেশ বাড়ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ৩৬তম, ৩৭তম ও ৩৮তম সাধারণ বিসিএসে নারীদের নিয়োগের গড় হার ছিল ২৬ শতাংশের মতো। পরের ৩৯তম ও ৪১তম বিশেষ বিসিএসে যা বেড়ে গড়ে ৪৮ শতাংশে উঠেছে। এই পাঁচ বিসিএসে মোট ৬ হাজার ৫৬৬ জন নারী নিয়োগ পেয়েছেন। একই সময়ে পুরুষ নিয়োগ পেয়েছেন ৯ হাজার ৮০৪ জন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, এখন ব্যাংক খাতের প্রারম্ভিক পর্যায়ে কাজ করছেন, এমন নারীর সংখ্যা ১৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। মধ্যবর্তী পর্যায়ে যা ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর ব্যাংকের উচ্চস্তরে নারী কর্মীর অংশগ্রহণ ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ব্যাংকে তিন স্তরে নারী কর্মীর অংশগ্রহণে এই সংখ্যা গত তিন বছরে যৎসামান্য বেড়েছে।

এদিকে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও নারী কর্মীর সংখ্যা বেশ কম। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট জনবলের ১৭ শতাংশ নারী। বাকি ৮৩ শতাংশই পুরুষ। এই খাতের প্রাথমিক, মধ্যবর্তী ও উচ্চ স্তরে ব্যাংকের মতোই নারী কর্মীর সংখ্যা কম। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বোর্ডেও নারীর অংশগ্রহণ ব্যাংকের আশপাশে রয়েছে। তবে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হার বেশি। ২০২৩ সালের শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়া, মানে চাকরি বদল করা নারীর হার দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ।সূত্র : দৈনিক বাংলা

হককথা/নাছরিন