নিউইয়র্ক ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য আমদানির তোড়জোড়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৫ বার পঠিত

বাজার সহনীয় করতে ভারত-রাশিয়ার পর এবার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের দিকেও নজর দিয়েছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব পণ্য আনার কাজে গতি বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে মিয়ানমারের খসড়া সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা করে, বাংলাদেশও নিজেদের খসড়া সমঝোতা স্মারক তৈরি করেছে। এখন দেশটির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।

জানা যায়, বর্তমানে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার কাজ বাজার সহনীয় রাখা। জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ভোক্তার ভোগান্তি কমানো। এ জন্য নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েই এদিকে নজর দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বাজারে জিনিসপত্রের দামের উত্তাপ কমাতে। রমজান ঘিরেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাস্তবে বাজারে এর সুফল সামান্য হলেও পেতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়টি। সম্প্রতি ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে কয়েকটি পণ্যের। ভারত থেকে পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের আমদানি সহজ করতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্য রাশিয়ার সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে নিত্যপণ্য আমদানির জন্য। সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশনের মধ্যে।

এখন তারই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য আমদানির ব্যাপারে তৎপর হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা শীর্ষ বৈঠকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছিলেন ভারত এবং রাশিয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও নিত্যপণ্য আমদানি করা হবে। ওই সময় তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য আমরা যেন বর্ডার থেকে নদীপথে আনতে পারি, সে ধরনের একটি এমওইউ ড্রাফট আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সে দেশের সরকার। প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের সারমর্ম নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ায় চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও আদা আমদানি সহজ হবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি শাখার দায়িত্বশীল অতিরিক্ত সচিব রেজওয়ানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। যত দ্রুত সম্ভব এমওইউ সই করার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটি উভয় দেশের বিষয়। আমরা আমাদের কাজ এগিয়ে রাখছি ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

তথ্য বলছে, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর বাইরে মাছ, কাঠ, আচার, মসলা, নারকেল, ইলেকট্রিকসহ নানা পণ্য দেশে আসে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য আমদানির তোড়জোড়

প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

বাজার সহনীয় করতে ভারত-রাশিয়ার পর এবার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের দিকেও নজর দিয়েছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব পণ্য আনার কাজে গতি বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে মিয়ানমারের খসড়া সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা করে, বাংলাদেশও নিজেদের খসড়া সমঝোতা স্মারক তৈরি করেছে। এখন দেশটির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।

জানা যায়, বর্তমানে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার কাজ বাজার সহনীয় রাখা। জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ভোক্তার ভোগান্তি কমানো। এ জন্য নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েই এদিকে নজর দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বাজারে জিনিসপত্রের দামের উত্তাপ কমাতে। রমজান ঘিরেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাস্তবে বাজারে এর সুফল সামান্য হলেও পেতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়টি। সম্প্রতি ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে কয়েকটি পণ্যের। ভারত থেকে পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের আমদানি সহজ করতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্য রাশিয়ার সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে নিত্যপণ্য আমদানির জন্য। সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশনের মধ্যে।

এখন তারই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য আমদানির ব্যাপারে তৎপর হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা শীর্ষ বৈঠকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছিলেন ভারত এবং রাশিয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও নিত্যপণ্য আমদানি করা হবে। ওই সময় তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য আমরা যেন বর্ডার থেকে নদীপথে আনতে পারি, সে ধরনের একটি এমওইউ ড্রাফট আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সে দেশের সরকার। প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের সারমর্ম নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ায় চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও আদা আমদানি সহজ হবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি শাখার দায়িত্বশীল অতিরিক্ত সচিব রেজওয়ানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। যত দ্রুত সম্ভব এমওইউ সই করার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটি উভয় দেশের বিষয়। আমরা আমাদের কাজ এগিয়ে রাখছি ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

তথ্য বলছে, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর বাইরে মাছ, কাঠ, আচার, মসলা, নারকেল, ইলেকট্রিকসহ নানা পণ্য দেশে আসে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।