নিউইয়র্ক ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
মাথাপিছু জিডিপি

দরিদ্রতম যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের চেয়েও পিছিয়ে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতিগুলো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৩ বার পঠিত

জার্মানি বাদ দিয়ে হিসাব করলে মাথাপিছু জিডিপির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্রতম রাজ্য মিসিসিপির থেকেও পিছিয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতি। অবশ্য জার্মানি যে বড় ব্যবধানে এগিয়ে, তাও নয়। শুধু মিসিসিপির সঙ্গে ১ হাজার ৫০০ ইউরোর মাথাপিছু জিডিপির পার্থক্য নিয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর তালিকার বাইরে আছে দেশটি। খবর ইউরোনিউজ।

অর্থনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে তুলনায় কিছু বিষয় সামনে রাখেন বিশ্লেষকরা। উন্নত অর্থনৈতিক কাঠামো, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও হালনাগাদ ব্যবসায়িক সংস্কৃতির কারণে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে কভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধার অনেক সহজ হয়েছে। অন্যদিকে কঠোর নীতি, উচ্চ করহার, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নিম্নমুখী জন্মহারের পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপ। এছাড়া ব্রেক্সিট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ইউরোপের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করে তুলেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) সমন্বয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি লুক্সেমবার্গ ও আয়ারল্যান্ড বাদে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সব দেশকেই ছাড়িয়ে গেছে। এ তুলনায় ব্যবহৃত হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গ্লোবাল আউটলুক প্রতিবেদনে সংকলিত ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশভিত্তিক জিডিপির তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটির ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিসের (বিইএ) মৌসুমভিত্তিক সমন্বিত প্রতিবেদনে। সঙ্গে যোগ করা হয়েছে জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনশুমারি ব্যুরোর দেয়া পূর্বাভাস।

২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি ছিল মিসিসিপিতে সর্বনিম্ন ৪৯ হাজার ৭৮০ ইউরো বা ৫৩ হাজার ৮৭২ ডলার, সর্বোচ্চ ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৩ ইউরো বা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৭ ডলার। তালিকার নিচের দিকে থাকা মিসিসিপির পর ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৫৬ হাজার ৫৫৪ ইউরো, আরকানসাসে ৫৬ হাজার ৯১৭, আলাবামায় ৫৮ হাজার ৬১ ও সাউথ ক্যারোলাইনায় ৫৯ হাজার ৩৭৫ ইউরো। শীর্ষ পাঁচ অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার পর নিউইয়র্কে মাথাপিছু জিডিপি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৮৫ ইউরো, ম্যাসাচুসেটসে ১ লাখ ১ হাজার ৬৬৬, ওয়াশিংটনে ৯৯ হাজার ৮৪৪ ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ছিল ৯৬ হাজার ৮৩৬ ইউরো।

অন্যদিকে ২০২৪ সালে ইইউর মাথাপিছু জিডিপি ছিল সর্বনিম্ন বুলগেরিয়ায় ১৫ হাজার ৭৭৩ ইউরো থেকে শুরু করে লুক্সেমবার্গে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৩ ইউরো পর্যন্ত। অঞ্চলটির গড় মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৪০ হাজার ৬০ ইউরো, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গড় ছিল ৮০ হাজার ২৩ ইউরো বা ৮৬ হাজার ৬০১ ডলার। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে জার্মানিতে সর্বোচ্চ মাথাপিছু জিডিপি ৫১ হাজার ৩০৪ ইউরো, এরপর যুক্তরাজ্যে ৪৮ হাজার ৪৪১ ও ফ্রান্সে ৪৪ হাজার ৩৬৫ ইউরো। প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্রতম রাজ্য মিসিসিপির মাথাপিছু জিডিপি ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় বেশি। শুধু জার্মানি ১ হাজার ৫২৪ ইউরো নিয়ে মিসিসিপির তুলনায় এগিয়ে আছে। জার্মানি ২০২৪ সালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল এবং ইইউর মোট জিডিপিতে দেশটি ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রেখেছে। মিসিসিপির মাথাপিছু জিডিপি ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে চারটির তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। এর মধ্যে স্পেনের তুলনায় ১৬ হাজার ৭১০ ইউরো, ইতালির তুলনায় ১২ হাজার ৫৫৩, ফ্রান্সের তুলনায় ৫ হাজার ৪১৫ এবং যুক্তরাজ্যের তুলনায় ১ হাজার ৩৩৯ ইউরো বেশি। যখন বিভিন্ন দেশের মধ্যে মূল্যস্তরের পার্থক্যের সূচক মাথাপিছু জিডিপি পিপিপি অনুযায়ী সামঞ্জস্য করা হয়, তখন সংখ্যা ও র‌্যাংকিং উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। আইএমএফের তথ্যানুযায়ী উভয় অঞ্চলের দেশ ও অঙ্গরাজ্যগুলোর জিডিপির অংকগুলো ডলারে রূপান্তর করে, যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু জিডিপি ৮৬ হাজার ৬০১ ডলার, যেখানে ইইউর গড় মাথাপিছু জিডিপি ৬২ হাজার ৬৬০ ডলার।

প্রতিবেদনে লুক্সেমবার্গ ও আয়ারল্যান্ড ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ হিসেবে ইউরোস্ট্যাটকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, লুক্সেমবার্গের উচ্চ জিডিপির অন্যতম কারণ সেখানে বিপুলসংখ্যক বিদেশী কাজ করেন এবং তারা লুক্সেমবার্গের জিডিপিতে অবদান রাখেন। তবে তারা দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত নন। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডে অনেক যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি তুলনামূলক কম করহারের সুবিধা নিতে মুনাফা স্থানান্তর করে। ফলে দেশটির জিডিপি বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেন নেভিন ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহপরিচালক ড. টম ম্যাকডোনেল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মাথাপিছু জিডিপি

দরিদ্রতম যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের চেয়েও পিছিয়ে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতিগুলো

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

জার্মানি বাদ দিয়ে হিসাব করলে মাথাপিছু জিডিপির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্রতম রাজ্য মিসিসিপির থেকেও পিছিয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতি। অবশ্য জার্মানি যে বড় ব্যবধানে এগিয়ে, তাও নয়। শুধু মিসিসিপির সঙ্গে ১ হাজার ৫০০ ইউরোর মাথাপিছু জিডিপির পার্থক্য নিয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর তালিকার বাইরে আছে দেশটি। খবর ইউরোনিউজ।

অর্থনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে তুলনায় কিছু বিষয় সামনে রাখেন বিশ্লেষকরা। উন্নত অর্থনৈতিক কাঠামো, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও হালনাগাদ ব্যবসায়িক সংস্কৃতির কারণে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে কভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধার অনেক সহজ হয়েছে। অন্যদিকে কঠোর নীতি, উচ্চ করহার, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নিম্নমুখী জন্মহারের পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপ। এছাড়া ব্রেক্সিট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ইউরোপের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করে তুলেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) সমন্বয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি লুক্সেমবার্গ ও আয়ারল্যান্ড বাদে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সব দেশকেই ছাড়িয়ে গেছে। এ তুলনায় ব্যবহৃত হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গ্লোবাল আউটলুক প্রতিবেদনে সংকলিত ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশভিত্তিক জিডিপির তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটির ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিসের (বিইএ) মৌসুমভিত্তিক সমন্বিত প্রতিবেদনে। সঙ্গে যোগ করা হয়েছে জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনশুমারি ব্যুরোর দেয়া পূর্বাভাস।

২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি ছিল মিসিসিপিতে সর্বনিম্ন ৪৯ হাজার ৭৮০ ইউরো বা ৫৩ হাজার ৮৭২ ডলার, সর্বোচ্চ ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৩ ইউরো বা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৭ ডলার। তালিকার নিচের দিকে থাকা মিসিসিপির পর ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৫৬ হাজার ৫৫৪ ইউরো, আরকানসাসে ৫৬ হাজার ৯১৭, আলাবামায় ৫৮ হাজার ৬১ ও সাউথ ক্যারোলাইনায় ৫৯ হাজার ৩৭৫ ইউরো। শীর্ষ পাঁচ অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার পর নিউইয়র্কে মাথাপিছু জিডিপি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৮৫ ইউরো, ম্যাসাচুসেটসে ১ লাখ ১ হাজার ৬৬৬, ওয়াশিংটনে ৯৯ হাজার ৮৪৪ ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ছিল ৯৬ হাজার ৮৩৬ ইউরো।

অন্যদিকে ২০২৪ সালে ইইউর মাথাপিছু জিডিপি ছিল সর্বনিম্ন বুলগেরিয়ায় ১৫ হাজার ৭৭৩ ইউরো থেকে শুরু করে লুক্সেমবার্গে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৩ ইউরো পর্যন্ত। অঞ্চলটির গড় মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৪০ হাজার ৬০ ইউরো, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গড় ছিল ৮০ হাজার ২৩ ইউরো বা ৮৬ হাজার ৬০১ ডলার। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে জার্মানিতে সর্বোচ্চ মাথাপিছু জিডিপি ৫১ হাজার ৩০৪ ইউরো, এরপর যুক্তরাজ্যে ৪৮ হাজার ৪৪১ ও ফ্রান্সে ৪৪ হাজার ৩৬৫ ইউরো। প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্রতম রাজ্য মিসিসিপির মাথাপিছু জিডিপি ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় বেশি। শুধু জার্মানি ১ হাজার ৫২৪ ইউরো নিয়ে মিসিসিপির তুলনায় এগিয়ে আছে। জার্মানি ২০২৪ সালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল এবং ইইউর মোট জিডিপিতে দেশটি ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রেখেছে। মিসিসিপির মাথাপিছু জিডিপি ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে চারটির তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। এর মধ্যে স্পেনের তুলনায় ১৬ হাজার ৭১০ ইউরো, ইতালির তুলনায় ১২ হাজার ৫৫৩, ফ্রান্সের তুলনায় ৫ হাজার ৪১৫ এবং যুক্তরাজ্যের তুলনায় ১ হাজার ৩৩৯ ইউরো বেশি। যখন বিভিন্ন দেশের মধ্যে মূল্যস্তরের পার্থক্যের সূচক মাথাপিছু জিডিপি পিপিপি অনুযায়ী সামঞ্জস্য করা হয়, তখন সংখ্যা ও র‌্যাংকিং উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। আইএমএফের তথ্যানুযায়ী উভয় অঞ্চলের দেশ ও অঙ্গরাজ্যগুলোর জিডিপির অংকগুলো ডলারে রূপান্তর করে, যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু জিডিপি ৮৬ হাজার ৬০১ ডলার, যেখানে ইইউর গড় মাথাপিছু জিডিপি ৬২ হাজার ৬৬০ ডলার।

প্রতিবেদনে লুক্সেমবার্গ ও আয়ারল্যান্ড ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ হিসেবে ইউরোস্ট্যাটকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, লুক্সেমবার্গের উচ্চ জিডিপির অন্যতম কারণ সেখানে বিপুলসংখ্যক বিদেশী কাজ করেন এবং তারা লুক্সেমবার্গের জিডিপিতে অবদান রাখেন। তবে তারা দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত নন। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডে অনেক যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি তুলনামূলক কম করহারের সুবিধা নিতে মুনাফা স্থানান্তর করে। ফলে দেশটির জিডিপি বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেন নেভিন ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহপরিচালক ড. টম ম্যাকডোনেল।