অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে
- প্রকাশের সময় : ০১:৩০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৮৯ বার পঠিত
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে গেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তার মানে চলতি প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশীয় পয়েন্ট।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে। অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বিসিএসের আরেক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চূড়ান্ত হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। যদিও সাময়িক হিসাবে, অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তার মানে সাময়িক হিসাব থেকেও প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে গেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মানতে প্রান্তিকভিত্তিক (তিন মাস পরপর) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাব প্রকাশ করেছে বিবিএস। ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার শর্তে আইএমএফ বলেছিল, তিন মাস পরপর জিডিপির হালনাগাদ হিসাব প্রস্তুত করতে হবে। পাশাপাশি শ্রমশক্তি জরিপও প্রান্তিকভিত্তিক করতে হবে। ইতিমধ্যে প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ শুরু হয়েছে বিসিএস।
জিডিপির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বিবিএস বলছে, ২০২০ সালের নভেম্বর সরকারের সিদ্ধান্ত ও পরে আইএমএফ পরামর্শ অনুযায়ী তারা ত্রৈমাসিক স্থূল দেশজ উৎপাদন (কিউজিডিপি) প্রাক্কলন প্রকাশের কার্যক্রম নেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো তারাও উৎপাদন পদ্ধতিতে কিউজিডিপি প্রাক্কলন করছে।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থির মূল্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। অর্থবছর কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
শিল্প খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়ছিল ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারা বলছে, এই অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও সরকার চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ; আগের অর্থবছরেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা একই ছিল। সূত্র : প্রথম আলো।