নিউইয়র্ক ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রথমবারের মতো সাগর থেকে পাইপলাইনে তেল এল রিফাইনারিতে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ১১২ বার পঠিত

দেশে প্রথমবারের মতো অশোধিত জ্বালানি তেল সাগর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে এসেছে রিফাইনারিতে। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) মহেশখালীর কালমারছড়ায় স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে তেল এসে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান জানান, টেস্টিং কমিশনিংয়ের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল আসা দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী সংযোজন। এর মাধ্যমে টেস্টিং কমিশনিং সফলভাবে শেষ হলো।

গত ৯ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ৪০ হাজার টন অশোধিত তেল এসেছে। এখন থেকে মাদার ভেসেলগুলোকে টাগবোটের মাধ্যমে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ে নিয়ে যেতে পারলে আর জেটির মাধ্যমে তেল খালাস করতে হবে না।

মন্ত্রণালয় জানায়, গভীর সাগরে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) থেকে প্রথমে মহেশখালী পাম্পিং স্টেশনে এবং সেখান থেকে ইআরএলে ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সফলভাবে পরিবহন করা হয়েছে।

দেশে বর্তমানে আমদানি করা পরিশোধিত বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে ছোট ট্যাংকারে নিয়ে খালাস করা হয়। এরপর চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি বা বিভিন্ন স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হয়। একটি জাহাজ থেকে তেল খালাসে সময় লাগে ১১ থেকে ১৬ দিন।

দীর্ঘ সময়, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সমুদ্র থেকে সরাসরি পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহে এসপিএম প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সময়ও বাঁচবে। দেশে বছরে ১৫ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। তেল লোড আনলোডে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়, যা নতুন ব্যবস্থায় সাশ্রয় হবে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রথমবারের মতো সাগর থেকে পাইপলাইনে তেল এল রিফাইনারিতে

প্রকাশের সময় : ০২:৫২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

দেশে প্রথমবারের মতো অশোধিত জ্বালানি তেল সাগর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে এসেছে রিফাইনারিতে। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) মহেশখালীর কালমারছড়ায় স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে তেল এসে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান জানান, টেস্টিং কমিশনিংয়ের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল আসা দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী সংযোজন। এর মাধ্যমে টেস্টিং কমিশনিং সফলভাবে শেষ হলো।

গত ৯ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ৪০ হাজার টন অশোধিত তেল এসেছে। এখন থেকে মাদার ভেসেলগুলোকে টাগবোটের মাধ্যমে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ে নিয়ে যেতে পারলে আর জেটির মাধ্যমে তেল খালাস করতে হবে না।

মন্ত্রণালয় জানায়, গভীর সাগরে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) থেকে প্রথমে মহেশখালী পাম্পিং স্টেশনে এবং সেখান থেকে ইআরএলে ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সফলভাবে পরিবহন করা হয়েছে।

দেশে বর্তমানে আমদানি করা পরিশোধিত বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে ছোট ট্যাংকারে নিয়ে খালাস করা হয়। এরপর চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি বা বিভিন্ন স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হয়। একটি জাহাজ থেকে তেল খালাসে সময় লাগে ১১ থেকে ১৬ দিন।

দীর্ঘ সময়, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সমুদ্র থেকে সরাসরি পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহে এসপিএম প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সময়ও বাঁচবে। দেশে বছরে ১৫ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। তেল লোড আনলোডে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়, যা নতুন ব্যবস্থায় সাশ্রয় হবে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল।