নিউইয়র্ক ১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কয়েকটি অঞ্চলে জ্বালানি অনুসন্ধান নিষিদ্ধ করছেন বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩২ বার পঠিত

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নতুন নতুন জ্বালানি ক্ষেত্র অনুসন্ধানে উৎসাহ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনো প্রেসিডেন্ট পদে থাকা জো বাইডেনের একটি পদক্ষেপ আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশে জ্বালানি তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র বিকাশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য প্রত্যাহার করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। খবর সিএনএন।

জো বাইডেন এ পদক্ষেপ নিতে ১৯৫৩ সালের ‘আউটার কন্টিনেন্টাল শেলফ ল্যান্ডস অ্যাক্ট’ ব্যবহার করবেন। এ নির্বাহী আদেশ প্রেসিডেন্টদের ভবিষ্যৎ জ্বালানি তেল ও গ্যাস লিজিং ও বিকাশে ফেডারেল জলসীমা প্রত্যাহার করার ব্যাপক ক্ষমতা দেয়। তবে আইনটি প্রেসিডেন্টকে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার সুস্পষ্ট ক্ষমতা দেয় না। এর অর্থ হলো হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি বাইডেনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে চান, তবে তাকে কংগ্রেসের মাধ্যমে আইন পরিবর্তন করতে হবে।

জো বাইডেনের প্রেসিডেন্সির শেষ মুহূর্ত লক্ষ্য করে পরিবেশ ও জলবায়ু গোষ্ঠীগুলো তাকে পূর্ব গালফ অব মেক্সিকো, আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের অন্যান্য অংশ স্থায়ীভাবে সুরক্ষিত করার আহ্বান জানিয়েছে। এ পদক্ষেপ সাগরে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়ার ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলা করবে। এছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বায়ুমণ্ডলে আরো গ্রিনহাউজ গ্যাস যোগ হওয়া প্রতিরোধ করবে।

পরিবেশবাদী গোষ্ঠী ওশিয়ানা ক্যাম্পেইনের পরিচালক জোসেফ গর্ডনের মতে, জো বাইডেন পদক্ষেপ নিলে সাগরের বড় একটি অংশ সংরক্ষিত এলাকায় যুক্ত হবে। সম্প্রতি জ্বালানি তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে উৎসাহী মনোভাব দেখালেও প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে অফশোর ড্রিলিং নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুতে অফশোর ড্রিলিংয়ের বড় সম্প্রসারণ প্রস্তাব দেয়ার পর ২০২০ সালে ট্রাম্প পূর্ব গালফে ভবিষ্যৎ জ্বালানি তেল অনুসন্ধান নিষিদ্ধ করেন এবং ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলাইনার আটলান্টিক উপকূলে এ প্রস্তাব সম্প্রসারণ করেন। পানি, বন্যপ্রাণী ও মহাসাগর সংরক্ষণের জন্য কাজ করে আর্থজাস্টিস। সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্রু ক্যাপুটো বলেন, ‘এ শতকের সব প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন যে কিছু মহাসাগরীয় অঞ্চল ড্রিল করার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা সংবেদনশীল।’

তবে বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউজ মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে জ্বালানি খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, জো বাইডেনের পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল উত্তোলনে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। জ্বালানি তেল বিষয়ে ডাটা পরিষেবাদাতা গ্লোবাল এনার্জি অ্যানালিসিসের প্রধান টম ক্লোজা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য অঞ্চলটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গালফ অব মেক্সিকোর বিদ্যমান অফশোর রিগ থেকে প্রচুর জ্বালানি তেল উত্তোলন হচ্ছে। এছাড়া অফশোর প্রকল্প থেকে উত্তোলন শুরু হতে সাধারণত ছয় থেকে আট বছর সময় লাগে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কয়েকটি অঞ্চলে জ্বালানি অনুসন্ধান নিষিদ্ধ করছেন বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নতুন নতুন জ্বালানি ক্ষেত্র অনুসন্ধানে উৎসাহ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনো প্রেসিডেন্ট পদে থাকা জো বাইডেনের একটি পদক্ষেপ আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশে জ্বালানি তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র বিকাশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য প্রত্যাহার করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। খবর সিএনএন।

জো বাইডেন এ পদক্ষেপ নিতে ১৯৫৩ সালের ‘আউটার কন্টিনেন্টাল শেলফ ল্যান্ডস অ্যাক্ট’ ব্যবহার করবেন। এ নির্বাহী আদেশ প্রেসিডেন্টদের ভবিষ্যৎ জ্বালানি তেল ও গ্যাস লিজিং ও বিকাশে ফেডারেল জলসীমা প্রত্যাহার করার ব্যাপক ক্ষমতা দেয়। তবে আইনটি প্রেসিডেন্টকে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার সুস্পষ্ট ক্ষমতা দেয় না। এর অর্থ হলো হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি বাইডেনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে চান, তবে তাকে কংগ্রেসের মাধ্যমে আইন পরিবর্তন করতে হবে।

জো বাইডেনের প্রেসিডেন্সির শেষ মুহূর্ত লক্ষ্য করে পরিবেশ ও জলবায়ু গোষ্ঠীগুলো তাকে পূর্ব গালফ অব মেক্সিকো, আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের অন্যান্য অংশ স্থায়ীভাবে সুরক্ষিত করার আহ্বান জানিয়েছে। এ পদক্ষেপ সাগরে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়ার ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলা করবে। এছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বায়ুমণ্ডলে আরো গ্রিনহাউজ গ্যাস যোগ হওয়া প্রতিরোধ করবে।

পরিবেশবাদী গোষ্ঠী ওশিয়ানা ক্যাম্পেইনের পরিচালক জোসেফ গর্ডনের মতে, জো বাইডেন পদক্ষেপ নিলে সাগরের বড় একটি অংশ সংরক্ষিত এলাকায় যুক্ত হবে। সম্প্রতি জ্বালানি তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে উৎসাহী মনোভাব দেখালেও প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে অফশোর ড্রিলিং নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুতে অফশোর ড্রিলিংয়ের বড় সম্প্রসারণ প্রস্তাব দেয়ার পর ২০২০ সালে ট্রাম্প পূর্ব গালফে ভবিষ্যৎ জ্বালানি তেল অনুসন্ধান নিষিদ্ধ করেন এবং ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলাইনার আটলান্টিক উপকূলে এ প্রস্তাব সম্প্রসারণ করেন। পানি, বন্যপ্রাণী ও মহাসাগর সংরক্ষণের জন্য কাজ করে আর্থজাস্টিস। সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্রু ক্যাপুটো বলেন, ‘এ শতকের সব প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন যে কিছু মহাসাগরীয় অঞ্চল ড্রিল করার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা সংবেদনশীল।’

তবে বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউজ মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে জ্বালানি খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, জো বাইডেনের পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল উত্তোলনে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। জ্বালানি তেল বিষয়ে ডাটা পরিষেবাদাতা গ্লোবাল এনার্জি অ্যানালিসিসের প্রধান টম ক্লোজা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য অঞ্চলটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গালফ অব মেক্সিকোর বিদ্যমান অফশোর রিগ থেকে প্রচুর জ্বালানি তেল উত্তোলন হচ্ছে। এছাড়া অফশোর প্রকল্প থেকে উত্তোলন শুরু হতে সাধারণত ছয় থেকে আট বছর সময় লাগে।’