নিউইয়র্ক ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বৈশ্বিক কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পোশাক রপ্তানি : বাংলাদেশ ব্যাংক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৫ বার পঠিত

বৈশ্বিক কারণে চলতি অর্থবছরের আগামী মাসগুলোয় দেশের রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলেছে, বৈশ্বিকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হারের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিম্নমুখী। এছাড়াও ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে এ খাতে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তৈরি পোশাক খাতের ওপর প্রকাশিত ত্রৈমাসিক এক প্রতিবেদনে এসব আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, এ অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এগিয়ে যাবে। কারণ, পোশাক রপ্তানির আদেশ বাড়তে শুরু করেছে। রপ্তানি শিল্পের কাঁচামালের আমদানি আগে যেভাবে কমছিল, সেই গতি এখন কমেছে। আগে যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আসছিল, এখন কমছে তুলনামূলক কম হারে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ২০ শতাংশ। তবে ওই সময়ে এলসি খোলা ৮ শতাংশ বেড়েছে। আগে এলসি খোলার হারও কম ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা এবং প্রধান বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো এখনো করোনা ও বৈশ্বিক মন্দার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য এনে, রপ্তানি আদেশ ও পণ্য জাহাজীকরণের সময় বা লিড টাইম কমিয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে এ খাতকে এগিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে গবেষণা করে পণ্যের মান আরও উন্নত করতে হবে। নতুন বাজারে প্রবেশ করতে হবে। দক্ষ কর্মীবাহিনী ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে হবে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে এ খাতকে এগিয়ে যেতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও নিটওয়্যার রপ্তানি কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিকভাবে কাঁচামালের দাম বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে ছোট ও দুর্বল কিছু কারখানা আপাতত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট খরচ মেটানো এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার কারণে অনেক কারখানা বাধ্যতামূলকভাবে কম দামে পোশাক রপ্তানির প্রস্তাব দিচ্ছে। এতে গত অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় নিটওয়্যার রপ্তানিতে সামান্য কমেছে। তবে গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারির তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে। কিন্তু নিটওয়্যার রপ্তানি ৯ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বৈশ্বিক কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পোশাক রপ্তানি : বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশের সময় : ০৫:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

বৈশ্বিক কারণে চলতি অর্থবছরের আগামী মাসগুলোয় দেশের রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলেছে, বৈশ্বিকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হারের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিম্নমুখী। এছাড়াও ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে এ খাতে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তৈরি পোশাক খাতের ওপর প্রকাশিত ত্রৈমাসিক এক প্রতিবেদনে এসব আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, এ অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এগিয়ে যাবে। কারণ, পোশাক রপ্তানির আদেশ বাড়তে শুরু করেছে। রপ্তানি শিল্পের কাঁচামালের আমদানি আগে যেভাবে কমছিল, সেই গতি এখন কমেছে। আগে যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আসছিল, এখন কমছে তুলনামূলক কম হারে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ২০ শতাংশ। তবে ওই সময়ে এলসি খোলা ৮ শতাংশ বেড়েছে। আগে এলসি খোলার হারও কম ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা এবং প্রধান বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো এখনো করোনা ও বৈশ্বিক মন্দার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য এনে, রপ্তানি আদেশ ও পণ্য জাহাজীকরণের সময় বা লিড টাইম কমিয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে এ খাতকে এগিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে গবেষণা করে পণ্যের মান আরও উন্নত করতে হবে। নতুন বাজারে প্রবেশ করতে হবে। দক্ষ কর্মীবাহিনী ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে হবে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে এ খাতকে এগিয়ে যেতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও নিটওয়্যার রপ্তানি কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিকভাবে কাঁচামালের দাম বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে ছোট ও দুর্বল কিছু কারখানা আপাতত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট খরচ মেটানো এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার কারণে অনেক কারখানা বাধ্যতামূলকভাবে কম দামে পোশাক রপ্তানির প্রস্তাব দিচ্ছে। এতে গত অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় নিটওয়্যার রপ্তানিতে সামান্য কমেছে। তবে গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারির তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে। কিন্তু নিটওয়্যার রপ্তানি ৯ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন