নিউইয়র্ক ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শীর্ষ ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির ৯৬ শতাংশ এআই থেকে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে চিপ ব্যবসায় বড় সাফল্য অর্জন করেছে এনভিডিয়া। নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায়ের এআই চিপ বাজারে আধিপত্যের কারণে কম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সেই সুবাদে এনভিডিয়া করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যানসেন হুয়াংয়ের সম্পদমূল্য উল্কার গতিতে বেড়েছে।

জ্যানসেন হুয়াংয়ের সম্পদ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকেই বেড়েছে ১৯.৬ বিলিয়ন ডলার।

বর্তমানে তাঁর এআই সম্পদ ৬২.৫ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের তালিকায় ২০২৩ সালে বিশ্বের ৭৬তম ধনী থেকে বর্তমানে তিনি ২৩তম অবস্থানে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এআইয়ের বিপদ নিয়ে উদ্বেগ অত্যধিক। অথচ অন্যান্য নতুন প্রযুক্তি ও শিল্প যেমন, গাড়ি ও বিমান চলাচল যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।

এই নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে লোকদের ভয় দেখানো, এটিকে রহস্যময় করে তোলা, এ নিয়ে কিছু না করতে মানুষকে উৎসাহিত করা এগুলো ভুল। এই প্রযুক্তি নিয়েই সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।’
এই পরিস্থিতিতে নতুন আরেক শতকোটিপতির জন্ম হয়েছে। সেই ব্যক্তি অবশ্য হুয়াংয়ের নিজের পরিবারের সদস্য, তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয় লিসা সু।

তিনি এনভিডিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পানি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। গত বছর এই কম্পানির স্টকের দাম দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় তাঁর সম্পদমূল্য ১২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক অতীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সম্পর্কিত কম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অনেকটা বেড়েছে। ধনী ব্যক্তিদের সম্পদমূল্য যতটা বেড়েছে, তার অন্যতম কারণ এআইসংক্রান্ত স্টকের মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্বের ৫০০ জন শীর্ষ ধনীর মধ্যে অন্তত ৩০ জনের সম্পদের একটি অংশ আসছে এআই থেকে। ব্লুমবার্গ গ্লোবাল আর্টিফিশিয়াল ইনডেক্স সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।

এআই স্টকের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চলতি বছর বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদমূল্য সামগ্রিকভাবে ১২৪ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বেড়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অন্তর্ভুক্ত ধনীদের সম্পদমূল্য এ বছর যতটা বেড়েছে, তার ৯৬ শতাংশ এই খাত থেকে এসেছে।

এআই স্টকের মূল্যবৃদ্ধি থেকে হুয়াংয়ের পর যে ধনকুবের সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন, তিনি হলেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। ধনীদের এই মূল্যবৃদ্ধির সূচকে তিনি পর পর দুই বছর দ্বিতীয় সেরা হয়েছেন। নিজেদের মালিকানাধীন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, থ্রেডস অ্যাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধা নিয়মিত যুক্ত করছে মেটা। আর তাই গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) আয়ের পরিমাণ বেড়েছে মেটার। এতে এ বছর মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ বেড়েছে ৩৭.১ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচক অনুযায়ী, সম্পদের এ বৃদ্ধির ফলে বিল গেটসকে অতিক্রম করে জাকারবার্গ এখন বিশ্বের চতুর্থ ধনীতে পরিণত হয়েছেন।

চ্যাটজিপিটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে মাইক্রোসফটের বিনিয়োগের কারণে এই সফটওয়্যার কম্পানির সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমারের সম্পদমূল্যও বেড়েছে। আরেক প্রযুক্তি কম্পানি ডেলের কর্ণধার মাইকেল ডেলও এআই খাতে বিনিয়োগের ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন।

এআই স্টকের মূল্যবৃদ্ধির কল্যাণে আরো বেশ কয়েকজন নব্য বিলিয়নেয়ার তৈরি হয়েছে। সুপার মাইক্রো কম্পিউটার ইনকরপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা চার্লস লিয়াংয়ের সম্পদমূল্য চলতি বছর তিন গুণ হয়েছে। ফলে তাঁর সম্পদমূল্য এখন ৬.২ বিলিয়ন বা ৬২০ কোটি ডলার। সূত্র : ইকোনমিক টাইমস

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শীর্ষ ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির ৯৬ শতাংশ এআই থেকে

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে চিপ ব্যবসায় বড় সাফল্য অর্জন করেছে এনভিডিয়া। নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায়ের এআই চিপ বাজারে আধিপত্যের কারণে কম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সেই সুবাদে এনভিডিয়া করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যানসেন হুয়াংয়ের সম্পদমূল্য উল্কার গতিতে বেড়েছে।

জ্যানসেন হুয়াংয়ের সম্পদ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকেই বেড়েছে ১৯.৬ বিলিয়ন ডলার।

বর্তমানে তাঁর এআই সম্পদ ৬২.৫ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের তালিকায় ২০২৩ সালে বিশ্বের ৭৬তম ধনী থেকে বর্তমানে তিনি ২৩তম অবস্থানে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এআইয়ের বিপদ নিয়ে উদ্বেগ অত্যধিক। অথচ অন্যান্য নতুন প্রযুক্তি ও শিল্প যেমন, গাড়ি ও বিমান চলাচল যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।

এই নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে লোকদের ভয় দেখানো, এটিকে রহস্যময় করে তোলা, এ নিয়ে কিছু না করতে মানুষকে উৎসাহিত করা এগুলো ভুল। এই প্রযুক্তি নিয়েই সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।’
এই পরিস্থিতিতে নতুন আরেক শতকোটিপতির জন্ম হয়েছে। সেই ব্যক্তি অবশ্য হুয়াংয়ের নিজের পরিবারের সদস্য, তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয় লিসা সু।

তিনি এনভিডিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পানি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। গত বছর এই কম্পানির স্টকের দাম দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় তাঁর সম্পদমূল্য ১২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক অতীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সম্পর্কিত কম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অনেকটা বেড়েছে। ধনী ব্যক্তিদের সম্পদমূল্য যতটা বেড়েছে, তার অন্যতম কারণ এআইসংক্রান্ত স্টকের মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্বের ৫০০ জন শীর্ষ ধনীর মধ্যে অন্তত ৩০ জনের সম্পদের একটি অংশ আসছে এআই থেকে। ব্লুমবার্গ গ্লোবাল আর্টিফিশিয়াল ইনডেক্স সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।

এআই স্টকের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চলতি বছর বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদমূল্য সামগ্রিকভাবে ১২৪ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বেড়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অন্তর্ভুক্ত ধনীদের সম্পদমূল্য এ বছর যতটা বেড়েছে, তার ৯৬ শতাংশ এই খাত থেকে এসেছে।

এআই স্টকের মূল্যবৃদ্ধি থেকে হুয়াংয়ের পর যে ধনকুবের সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন, তিনি হলেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। ধনীদের এই মূল্যবৃদ্ধির সূচকে তিনি পর পর দুই বছর দ্বিতীয় সেরা হয়েছেন। নিজেদের মালিকানাধীন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, থ্রেডস অ্যাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধা নিয়মিত যুক্ত করছে মেটা। আর তাই গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) আয়ের পরিমাণ বেড়েছে মেটার। এতে এ বছর মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ বেড়েছে ৩৭.১ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচক অনুযায়ী, সম্পদের এ বৃদ্ধির ফলে বিল গেটসকে অতিক্রম করে জাকারবার্গ এখন বিশ্বের চতুর্থ ধনীতে পরিণত হয়েছেন।

চ্যাটজিপিটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে মাইক্রোসফটের বিনিয়োগের কারণে এই সফটওয়্যার কম্পানির সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমারের সম্পদমূল্যও বেড়েছে। আরেক প্রযুক্তি কম্পানি ডেলের কর্ণধার মাইকেল ডেলও এআই খাতে বিনিয়োগের ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন।

এআই স্টকের মূল্যবৃদ্ধির কল্যাণে আরো বেশ কয়েকজন নব্য বিলিয়নেয়ার তৈরি হয়েছে। সুপার মাইক্রো কম্পিউটার ইনকরপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা চার্লস লিয়াংয়ের সম্পদমূল্য চলতি বছর তিন গুণ হয়েছে। ফলে তাঁর সম্পদমূল্য এখন ৬.২ বিলিয়ন বা ৬২০ কোটি ডলার। সূত্র : ইকোনমিক টাইমস

হককথা/নাছরিন