নিউইয়র্ক ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৭ কোটি ডলার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৪৩ বার পঠিত

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ডেস্ক :  ডলার সংকটের মধ্যে রেমিট্যান্স বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মার্চ মাসের চেয়ে এপ্রিলে কমে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছিল দেশে। আর চলতি (মে মাস) মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৮ টাকা ধরে) এর পরিমাণ আট হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে এসেছে প্রায় ছয় কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবে রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে রেমিট্যান্স যাবে বরে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি মাসের (মে) ১২ দিনে মোট ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার। একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬২ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।

তবে আলোচিত সময়ে নয় ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে টানা ছয় মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায় রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ আমেরিকান ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ আমেরিকান ডলার, জানুয়ারি মাসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ আমেরিকান ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আর স্বাধীনতার মাস মার্চে এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সর্বশেষ মাস এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে দেশে। বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী মাসে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে প্রবাসী আয় আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৭ কোটি ডলার

প্রকাশের সময় : ০২:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক :  ডলার সংকটের মধ্যে রেমিট্যান্স বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মার্চ মাসের চেয়ে এপ্রিলে কমে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছিল দেশে। আর চলতি (মে মাস) মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৮ টাকা ধরে) এর পরিমাণ আট হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে এসেছে প্রায় ছয় কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবে রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে রেমিট্যান্স যাবে বরে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি মাসের (মে) ১২ দিনে মোট ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার। একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬২ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।

তবে আলোচিত সময়ে নয় ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে টানা ছয় মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায় রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ আমেরিকান ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ আমেরিকান ডলার, জানুয়ারি মাসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ আমেরিকান ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আর স্বাধীনতার মাস মার্চে এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সর্বশেষ মাস এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে দেশে। বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী মাসে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে প্রবাসী আয় আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুমি/হককথা