১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া
- প্রকাশের সময় : ১২:০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
- / ১৩৮ বার পঠিত
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় মৎস্য, উৎপাদন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। চলতি বছর দেশটির বিভিন্ন খাতে যেতে পারবেন ১০ হাজার কর্মী। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি-বোয়েসেলের মাধ্যমে।
কেউ এসেছেন দিনাজপুর থেকে। কারও বাড়ি খুলনা। তবে সবার গন্তব্য এক। কাজের খোঁজে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া। গেল বছর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ৭ হাজার কোটা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দেশটিতে যেতে পেরেছেন ৫ হাজার কর্মী। দক্ষ কর্মীর অভাবে ফাঁকা থেকেছে ২ হাজার।
চলতি বছর কোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারে। প্রথমবারের মতো মৎস্য শিল্প ছাড়া উৎপাদন ও জাহাজ নির্মাণ কাজের জন্য দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। দক্ষিণ কোরিয়া যেতে ইচ্ছুক এক বাংলাদেশি বলেন, প্রথমত কোরিয়ান ভাষায় দক্ষ হতে হবে। এরপর পরীক্ষা হবে। তাতে উত্তীর্ণ হতে পারলে পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আরেকজন বলেন, আগে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হয়। পরে রোস্টারভুক্ত হতে হয়। অপরজন বলেন, সেখানে যেতে পারলে মাসে বেতন হবে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সেটা পেলে পরিবার ভালো থাকবে।দেশের একমাত্র সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি-বোয়েসেলের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে কর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়া। তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন সতর্কবার্তা দিলেন কোরিয়াগামী কর্মীদের। তিনি বলেন, কেউ যদি ১ বছর এক কোম্পানিতে থাকে, পরে মালিকের অনুমতি নিয়ে অন্য কোম্পানিতে যায়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে লোক নেবে। কিন্তু সে যদি কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ বা মামলা করে কর্মস্থল ত্যাগ করেন, তাহলে তারা এখান থেকে লোক নেবে না। সুতরাং কোটা ধরে রাখার দায়িত্ব কিন্তু কর্মীর।
অন্যদিকে, বিদেশে কর্মী পাঠানোয় দক্ষতার ওপর জোর দিলেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে কাজ করছি আমরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এগুলোর গতি আরও বাড়ানো হবে। সবকিছু সুসংগঠিত করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে হলে দেশের যেকোনো প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকে আগে কোরিয়ান ভাষা রপ্ত করতে হবে। পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত কাজের দক্ষতা অর্জন করে বোয়েসেলে আবেদনের মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মিলবে কাজের সুযোগ।