নিউইয়র্ক ০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সরকারের ঋণ সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৪ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও সর্বশেষ হিসাবে দেশে মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকা। এটি জাতীয় বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ। এই ঋণের বিপরীতে গেল অর্থবছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সুদ পরিশোধে। চলতি অর্থবছরেও সুদ খাতে গুনতে হবে ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ও ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি। ফলে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি ও সুদ ব্যয় আরও উসকে দিয়েছে। যা এক ধরনের চাপের মুখে ফেলছে অর্থনীতিকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ঋণ ও সুদ ব্যয়ের তথ্য।

সূত্রমতে, মোট ঋণের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। এদিকে প্রতিবছরই ঋণের আকার বাড়ছে। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ২ লাখ ৭৭৬ কোটি টাকা বেড়েছে ঋণ। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঋণের অঙ্ক ছিল ১০ লাখ ৬ হাজার ২০২ কোটি টাকা। এখানেও এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। কোভিড-১৯ আঘাত হানার পর ঋণের বহর বেড়েছে বেশি। কোভিডের ফলে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়া, অতিরিক্ত খরচ, আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়াও এর অন্যতম একটি কারণ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ডে একটি দেশ তার মোট জিডিপির ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। সেটি ঝুঁকি মুক্ত হিসাবে গণ্য হবে। সে হিসাবে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ মোট জিডিপির ৩৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

আরোও পড়ুন। অর্থ সংকটে বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ স্থবির

একইভাবে বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে জিডিপির ৫৫ শতাংশ ঋণ নেওয়া নিরাপদ। সেখানে বৈদেশিক ঋণের অনুপাত জিডিপির ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে এখনও ঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ এমনটি বলা হয় সেখানে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ঋণের মোট অঙ্কের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মোট জিডিপির বিপরীতে ঋণের অনুপাত কত। তাহলে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। তবে সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনায় এখনো ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের অবস্থান ভালো।

এই মুহূর্তে ভারত সরকারের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ, পাকিস্তানের ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপরও কিছু বিষয় আছে তা হচ্ছে ঋণ ও সুদসহ পরিশোধের অঙ্ক। কারণ ইতোমধ্যে ঋণের বড় কিস্তিগুলো পরিশোধ শুরু হয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে। ফলে এখন হুট করে যে কোনো ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে সেখানেই ঋণ নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে। সারা বছরের আয় ও ব্যয় করতে বাজেট প্রণয়ন করে সরকার। এই বাজেটের একটি অংশ ঘাটতি থাকে। এই ঘাটতি পূরণে দেশের ভেতর ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য উৎস ও বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়। ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের পর যে পরিমাণ অর্থ সরকারের কাছে পাওনা আছে সেটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ।

আরোও পড়ুন। ফ্রিল্যান্সাররাও বিদেশে অর্থ খরচের সুযোগ পাবেন

মূলত ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাব ধরে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। চলতি অর্থবছরের গত ৭ মাসে আরও ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঋণের হিসাবটি করা হয় অর্থবছরের শেষে। যে কারণে চলতি অর্থবছরের প্রকৃত হিসাব পেতে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলে আগস্ট থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আইএমএফসহ বৈদেশিক ঋণ এখানে যুক্ত হয়নি। ঋণ হিসাবে দেখা গেছে, ব্যাংকিং খাত থেকে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ ঋণ গ্রহণ এবং বিপরীতে পরিশোধ করা হয়েছে এরপরও ঋণ আছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। এটি দেশের মোট ঋণের ৩১ শতাংশ। দ্বিতীয় ঋণের খাত হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। এ খাত থেকে ৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া আছে। এটি মোট ঋণের ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ।

ঋণের তৃতীয় খাত হচ্ছে ট্রেজারি বন্ড। এখান থেকে নেওয়া হয় ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। এভাবে পর্যায়ক্রমে ট্রেজারি বিল থেকে ৭৭ হাজার কোটি টাকা, সুকুক বন্ডের ঋণের পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি চাকরিজীবীদের সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) থেকে নেওয়া হয়েছে ৬২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এসব ঋণ আগামীতে সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরিভাবে স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনা, টিকা দেওয়া কার্যক্রমসহ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে একদিকে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদেশ থেকে ২৪০ কোটি  আমেরিকান ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৫৫ কোটি ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ঋণ পাওয়া গেছে ৪৫৯ কোটি ডলার।

আরোও পড়ুন। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের ঋণের বিপরীতে প্রতিবছরই বড় অঙ্কের সুদ পরিশোধ করা হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে গেছে ২৪ হাজার ৩৮৮ টাকা, সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে সুদ পরিশোধ ব্যয় হয় ৪০ হাজার ৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হয় ৪২৩৫ টাকা। সাধারণ ভবিষৎ তহবিলের ঋণের বিপরীতে ৭ হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সরকারের ঋণ সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ১১:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও সর্বশেষ হিসাবে দেশে মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকা। এটি জাতীয় বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ। এই ঋণের বিপরীতে গেল অর্থবছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সুদ পরিশোধে। চলতি অর্থবছরেও সুদ খাতে গুনতে হবে ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ও ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি। ফলে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি ও সুদ ব্যয় আরও উসকে দিয়েছে। যা এক ধরনের চাপের মুখে ফেলছে অর্থনীতিকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ঋণ ও সুদ ব্যয়ের তথ্য।

সূত্রমতে, মোট ঋণের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। এদিকে প্রতিবছরই ঋণের আকার বাড়ছে। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ২ লাখ ৭৭৬ কোটি টাকা বেড়েছে ঋণ। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঋণের অঙ্ক ছিল ১০ লাখ ৬ হাজার ২০২ কোটি টাকা। এখানেও এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। কোভিড-১৯ আঘাত হানার পর ঋণের বহর বেড়েছে বেশি। কোভিডের ফলে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়া, অতিরিক্ত খরচ, আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়াও এর অন্যতম একটি কারণ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ডে একটি দেশ তার মোট জিডিপির ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। সেটি ঝুঁকি মুক্ত হিসাবে গণ্য হবে। সে হিসাবে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ মোট জিডিপির ৩৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

আরোও পড়ুন। অর্থ সংকটে বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ স্থবির

একইভাবে বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে জিডিপির ৫৫ শতাংশ ঋণ নেওয়া নিরাপদ। সেখানে বৈদেশিক ঋণের অনুপাত জিডিপির ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে এখনও ঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ এমনটি বলা হয় সেখানে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ঋণের মোট অঙ্কের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মোট জিডিপির বিপরীতে ঋণের অনুপাত কত। তাহলে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। তবে সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনায় এখনো ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের অবস্থান ভালো।

এই মুহূর্তে ভারত সরকারের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ, পাকিস্তানের ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপরও কিছু বিষয় আছে তা হচ্ছে ঋণ ও সুদসহ পরিশোধের অঙ্ক। কারণ ইতোমধ্যে ঋণের বড় কিস্তিগুলো পরিশোধ শুরু হয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে। ফলে এখন হুট করে যে কোনো ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে সেখানেই ঋণ নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে। সারা বছরের আয় ও ব্যয় করতে বাজেট প্রণয়ন করে সরকার। এই বাজেটের একটি অংশ ঘাটতি থাকে। এই ঘাটতি পূরণে দেশের ভেতর ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য উৎস ও বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়। ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের পর যে পরিমাণ অর্থ সরকারের কাছে পাওনা আছে সেটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ।

আরোও পড়ুন। ফ্রিল্যান্সাররাও বিদেশে অর্থ খরচের সুযোগ পাবেন

মূলত ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাব ধরে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। চলতি অর্থবছরের গত ৭ মাসে আরও ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঋণের হিসাবটি করা হয় অর্থবছরের শেষে। যে কারণে চলতি অর্থবছরের প্রকৃত হিসাব পেতে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলে আগস্ট থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আইএমএফসহ বৈদেশিক ঋণ এখানে যুক্ত হয়নি। ঋণ হিসাবে দেখা গেছে, ব্যাংকিং খাত থেকে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ ঋণ গ্রহণ এবং বিপরীতে পরিশোধ করা হয়েছে এরপরও ঋণ আছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। এটি দেশের মোট ঋণের ৩১ শতাংশ। দ্বিতীয় ঋণের খাত হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। এ খাত থেকে ৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া আছে। এটি মোট ঋণের ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ।

ঋণের তৃতীয় খাত হচ্ছে ট্রেজারি বন্ড। এখান থেকে নেওয়া হয় ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। এভাবে পর্যায়ক্রমে ট্রেজারি বিল থেকে ৭৭ হাজার কোটি টাকা, সুকুক বন্ডের ঋণের পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি চাকরিজীবীদের সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) থেকে নেওয়া হয়েছে ৬২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এসব ঋণ আগামীতে সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরিভাবে স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনা, টিকা দেওয়া কার্যক্রমসহ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে একদিকে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদেশ থেকে ২৪০ কোটি  আমেরিকান ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৫৫ কোটি ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ঋণ পাওয়া গেছে ৪৫৯ কোটি ডলার।

আরোও পড়ুন। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের ঋণের বিপরীতে প্রতিবছরই বড় অঙ্কের সুদ পরিশোধ করা হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে গেছে ২৪ হাজার ৩৮৮ টাকা, সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে সুদ পরিশোধ ব্যয় হয় ৪০ হাজার ৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হয় ৪২৩৫ টাকা। সাধারণ ভবিষৎ তহবিলের ঋণের বিপরীতে ৭ হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা