বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারালো চার হাজার কোটি টাকা
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
- / ৪০ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : চার দিন দরপতন আর একদিন উত্থানের মধ্যে দিয়ে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে কমেছে লেনদেন ও সূচক।
সূচক কমায় বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) কমেছে ৪ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। একই অবস্থা দেশের পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
ডিএসইর তথ্য মতে, ১১ জুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮৯০ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৪ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি কমেছে ৪ হাজার ১৫৯ কোটি ১০ লাখ ৩৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহ মূলধন কমেছিল ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ ৪ হাজার ৫৯০ টাকা। এর ফলে টানা দুই সপ্তাহ মূলধন কমলো। তবে তার আগের টানা চার সপ্তাহ মূলধন বা পুঁজি বেড়েছিল।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে বৃহস্পতিবার বাদে রোববার থেকে বুধবার টানা চার কর্মদিবস দরপতন হয়েছে। এই দরপতনের সপ্তাহে বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, তার বিপরীতে কমেছে ১৪১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৭টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৬৯টির, কমেছিল১১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৬১ লাখ ১১ হাজার ৩২৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৪ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৫ লাখ ০৮ হাজার ৪৫৯ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে যা ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে নাভানা ফার্মাসিটিউক্যালস, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস এবং পেপার প্রসেসিং আন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ২০২ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৯ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৯ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭৯ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ১২৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। – সূত্র : ঢাকা পোস্ট
নাসরিন /হককথা