নিউইয়র্ক ১২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘বছরে ৭০০ কোটি পাচার হয়ে যাচ্ছে, কারও কোনো কথা নেই’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৪১ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশ  থেকে প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের তেমন কোনো গরজ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেক ভালো করছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে যদি আমলে না নেওয়া হয় তাহলে এই অর্জন কাজে আসবে না। বৈষম্য ব্যাপক হারে বাড়ছে। এখানে সামষ্টিক অগ্রগতির পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায় উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। এছাড়া বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কারও কোনো কথা নেই। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ঋণ খেলাপিদের আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির পিতার সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ নীতির পরিপন্থী।’

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘দেশ রূপান্তরের কারিগর শেখ হাসিনা’ বইয়ের গ্রন্থ পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা একে অন্যের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু যেসব কাজ শুরু করেছিলেন শেখ হাসিনা সেসব বাস্তবায়ন করছেন। কৃষিতে ভর্তুকির ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন। এরপর আইএমএফসহ সুশীল সমাজের নানা চাপেও সেখান থেকে সরে আসেননি। আওয়ামী লীগ মোড়লদের ফাটাফাটিতে ভারসাম্য রক্ষার কঠিন কাজটি করছেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি সহকর্মী নিয়োগে তার পিতার মতোই অনেক ক্ষেত্রে শুদ্ধ সিদ্ধান্ত নেন না। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার কিছু সঠিক সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।’

আরোও পড়ুন । ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকার এতো আগ্রহের কারণ

পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বৈষম্য কমাতে কর জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হবে। এটি এখন নেপালের প্রায় অর্ধেক। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ কার্যকর করতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পে সময় বেশি লাগলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জরিমানার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। গরিব মানুষের টাকা দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন ধীর করে অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দরকার। সমবায় পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটি না হলে মধ্যস্বত্বভোগীরা অনেকক্ষেত্রে পিঁপড়ার মতো খেয়ে ফেলবে। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম সম্পাদিত বইটির প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড.বিনায়ক সেন, ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক আব্দুল বায়েস, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুরুল আহেমেদ, বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড.নজরুল ইসলাম, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ।

সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘বছরে ৭০০ কোটি পাচার হয়ে যাচ্ছে, কারও কোনো কথা নেই’

প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশ  থেকে প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের তেমন কোনো গরজ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেক ভালো করছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে যদি আমলে না নেওয়া হয় তাহলে এই অর্জন কাজে আসবে না। বৈষম্য ব্যাপক হারে বাড়ছে। এখানে সামষ্টিক অগ্রগতির পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায় উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। এছাড়া বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কারও কোনো কথা নেই। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ঋণ খেলাপিদের আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির পিতার সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ নীতির পরিপন্থী।’

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘দেশ রূপান্তরের কারিগর শেখ হাসিনা’ বইয়ের গ্রন্থ পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা একে অন্যের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু যেসব কাজ শুরু করেছিলেন শেখ হাসিনা সেসব বাস্তবায়ন করছেন। কৃষিতে ভর্তুকির ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন। এরপর আইএমএফসহ সুশীল সমাজের নানা চাপেও সেখান থেকে সরে আসেননি। আওয়ামী লীগ মোড়লদের ফাটাফাটিতে ভারসাম্য রক্ষার কঠিন কাজটি করছেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি সহকর্মী নিয়োগে তার পিতার মতোই অনেক ক্ষেত্রে শুদ্ধ সিদ্ধান্ত নেন না। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার কিছু সঠিক সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।’

আরোও পড়ুন । ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকার এতো আগ্রহের কারণ

পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বৈষম্য কমাতে কর জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হবে। এটি এখন নেপালের প্রায় অর্ধেক। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ কার্যকর করতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পে সময় বেশি লাগলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জরিমানার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। গরিব মানুষের টাকা দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন ধীর করে অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দরকার। সমবায় পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটি না হলে মধ্যস্বত্বভোগীরা অনেকক্ষেত্রে পিঁপড়ার মতো খেয়ে ফেলবে। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম সম্পাদিত বইটির প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড.বিনায়ক সেন, ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক আব্দুল বায়েস, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুরুল আহেমেদ, বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড.নজরুল ইসলাম, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ।

সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা