নিউইয়র্ক ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফারমার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতীর ১২ বছর কারাদণ্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬৪ বার পঠিত

অর্থনীতি ডেস্ক :  ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ১৬০ কোটি টাকা পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাসেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ রায় দেন। এ সময় বাবুল চিশতী ও রাশেদুল চিশতী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে বাবুল চিশতীকে জেল থেকে হাজির করা হয়।

একই মামলায় বাবুলের স্ত্রী রোজী চিশতী ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোজী চিশতী ও মাসুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবীর সময় চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে তাদের ‘পলাতক’ ঘোষণা করেন আদালত।

রায়ে দণ্ডিত পলাতক দুই আসামির সাজা গ্রেফতার হওয়ার পর বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। রায়ে বাবুল চিশতী, রাশেদুল চিশতী ও রোজী চিশতীকে ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। অনাদায়ে বাবুল ও রাশেদুল চিশতীকে আরও দুই বছর এবং রোজী চিশতীকে আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া মাসুদুর রহমানকে আদালত ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।

বিচারক তার রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, বাবুল ও তার পরিবারের সদস্যরা ফারমার্স ব্যাংকের টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। আসামিদের অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আসামি রাসেদুল হক আদালতে হাজির হন। তবে রোজি চিশতী ও মাসুদুর রহমান এদিন আদালতে হাজির হননি। আদালত তাদের দুজনের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। রায় ঘোষণার পর বাবুল চিশতী ও রাসেদুল হককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৫ অক্টোবর দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছিলেন।

২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল বাবুল চিশতীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ১৬০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে চার্জশিট দেওয়ার পর ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ফারমার্স ব্যাংক লিমিডেটের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে বাবুল চিতশী ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খুলে বিপুল অঙ্কের অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলেমেয়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় খোলা ২৫টি হিসাবে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। বাবুল চিশতীসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারির অন্তত অর্ধডজন মামলা করেছে দুদক। সূত্র :  যুগান্তর

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফারমার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতীর ১২ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

অর্থনীতি ডেস্ক :  ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ১৬০ কোটি টাকা পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাসেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ রায় দেন। এ সময় বাবুল চিশতী ও রাশেদুল চিশতী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে বাবুল চিশতীকে জেল থেকে হাজির করা হয়।

একই মামলায় বাবুলের স্ত্রী রোজী চিশতী ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোজী চিশতী ও মাসুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবীর সময় চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে তাদের ‘পলাতক’ ঘোষণা করেন আদালত।

রায়ে দণ্ডিত পলাতক দুই আসামির সাজা গ্রেফতার হওয়ার পর বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। রায়ে বাবুল চিশতী, রাশেদুল চিশতী ও রোজী চিশতীকে ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। অনাদায়ে বাবুল ও রাশেদুল চিশতীকে আরও দুই বছর এবং রোজী চিশতীকে আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া মাসুদুর রহমানকে আদালত ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।

বিচারক তার রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, বাবুল ও তার পরিবারের সদস্যরা ফারমার্স ব্যাংকের টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। আসামিদের অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আসামি রাসেদুল হক আদালতে হাজির হন। তবে রোজি চিশতী ও মাসুদুর রহমান এদিন আদালতে হাজির হননি। আদালত তাদের দুজনের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। রায় ঘোষণার পর বাবুল চিশতী ও রাসেদুল হককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৫ অক্টোবর দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছিলেন।

২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল বাবুল চিশতীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ১৬০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে চার্জশিট দেওয়ার পর ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ফারমার্স ব্যাংক লিমিডেটের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে বাবুল চিতশী ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খুলে বিপুল অঙ্কের অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলেমেয়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় খোলা ২৫টি হিসাবে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। বাবুল চিশতীসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারির অন্তত অর্ধডজন মামলা করেছে দুদক। সূত্র :  যুগান্তর

হককথা/নাছরিন