নিউইয়র্ক ০৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পোলাওয়ের চাল, চিনি ও সেমাই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ৯০ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। আসন্ন এ ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন পোলাওর চাল, সেমাই, চিনিসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের। প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো হেরফের না হলেও খোলা বাজারে যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে সেগুলোতে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীতে খোলা পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। অথচ গতকালও
বাজারে খোলা পোলাওর চাল ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সুগন্ধি যুক্ত প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।

চালের পাশাপাশি লম্বা খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। অথচ এ সেমাই দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। খোলা গোল সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজিতে। অথচ দুদিন আগে এই সেমাই বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্যাকেট। আর চিনির দাম তো কমছেই না। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। প্যাকেট জাত চিনি উধাও।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে মধ্য বাড্ডা বাজারে আসা ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেলে গরুর হাটে যাব, তাই এখন সেমাই, চিনি কিনতে এসেছি। কিন্তু যে দাম চাচ্ছে শুনে তো আমি অবাক। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি নিচ্ছে।

বাজারটির হাজী ফারুক জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী ফারুক হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সব কিছুর দাম বাড়তি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দামের পোলাওর চাল বিক্রি করছি, যার যেটা পছন্দ সেটা নেবে। আমি তো কাউকে জোর করে কিছু দিচ্ছি না। আমি-তো লাভের জন্য এখানে বসেছি, লোকসান দিতে বসিনি।

মালিবাগ বাজারের বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, খোলা চিনি বিক্রি করছি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। একটু ভালো মানের চিনি বিক্রি করছি ১৫০ টাকা কেজি। খোলা সেমাই বিক্রি করছি ১৫০ টাকা কেজিতে।

বাজাটিতে আসা ক্রেতা শামসুল আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের জিম্মি করে ইচ্ছে মতো করে দাম নিচ্ছে। বাজারের প্রতি সরকারের নজর দেওয়া উচিত। যারা কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া।

এদিকে রাজধানীতে আজও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা কেজিতে। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাজার দর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র তথ্য মতে, আজ ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। গুঁড়া দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা এবং ফ্লেশ দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকা কেজিতে। আর মার্কস দুধের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকায়।- সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পোলাওয়ের চাল, চিনি ও সেমাই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

হককথা ডেস্ক : ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। আসন্ন এ ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন পোলাওর চাল, সেমাই, চিনিসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের। প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো হেরফের না হলেও খোলা বাজারে যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে সেগুলোতে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীতে খোলা পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। অথচ গতকালও
বাজারে খোলা পোলাওর চাল ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সুগন্ধি যুক্ত প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।

চালের পাশাপাশি লম্বা খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। অথচ এ সেমাই দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। খোলা গোল সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজিতে। অথচ দুদিন আগে এই সেমাই বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্যাকেট। আর চিনির দাম তো কমছেই না। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। প্যাকেট জাত চিনি উধাও।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে মধ্য বাড্ডা বাজারে আসা ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেলে গরুর হাটে যাব, তাই এখন সেমাই, চিনি কিনতে এসেছি। কিন্তু যে দাম চাচ্ছে শুনে তো আমি অবাক। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি নিচ্ছে।

বাজারটির হাজী ফারুক জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী ফারুক হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সব কিছুর দাম বাড়তি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দামের পোলাওর চাল বিক্রি করছি, যার যেটা পছন্দ সেটা নেবে। আমি তো কাউকে জোর করে কিছু দিচ্ছি না। আমি-তো লাভের জন্য এখানে বসেছি, লোকসান দিতে বসিনি।

মালিবাগ বাজারের বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, খোলা চিনি বিক্রি করছি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। একটু ভালো মানের চিনি বিক্রি করছি ১৫০ টাকা কেজি। খোলা সেমাই বিক্রি করছি ১৫০ টাকা কেজিতে।

বাজাটিতে আসা ক্রেতা শামসুল আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের জিম্মি করে ইচ্ছে মতো করে দাম নিচ্ছে। বাজারের প্রতি সরকারের নজর দেওয়া উচিত। যারা কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া।

এদিকে রাজধানীতে আজও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা কেজিতে। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাজার দর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র তথ্য মতে, আজ ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। গুঁড়া দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা এবং ফ্লেশ দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকা কেজিতে। আর মার্কস দুধের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকায়।- সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাসরিন /হককথা