নিউইয়র্ক ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্টে কড়াকড়ি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১০১ বার পঠিত

ভ্রমণ কোটায় বছরে একজনের নামে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট বা অনুমোদন করতে পারে ব্যাংক বা মানিচেঞ্জার। তবে ভালোভাবে যাচাই না করেই অনেকের পাসপোর্টে বেশি এনডোর্সমেন্টের তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য এ বিষয়ে কাড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে পাসপোর্টের পাতার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন পদ্ধতিতে যাচাই করতে হবে। গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আবশ্যিকভাবে পাসপোর্টের পাতায় আগের এনডোর্সমেন্টের পরিমাণ যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন টিএম ফরেন মনিটরিং সিস্টেম, ইন্টারন্যাশনাল কার্ড মনিটরিং সিস্টেম বা অনলাইন মানি চেঞ্জার মনিটরিং সিস্টেমে যাচাই করে বৈদেশিক মুদ্রা অনুমোদন করতে হবে। একই পঞ্জিকা বছরে নতুন পাসপোর্ট নিলে ব্যয়ের পরিমাণ যাচাই করেই বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, কার্ড বা নগদে যে উপায়েই এনডোর্সমেন্ট হোক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন তদারকি পদ্ধতিতে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জার থেকে তা রিপোর্ট করতে হয়। অধিকতর যাচাইয়ের জন্য এখন থেকে পাসপোর্টের পাতার পাশাপাশি অনলাইনেও যাচাই করতে হবে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করার পর গত বছরের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২১ ও ২০২২ সালের এনডোর্সমেন্টের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন বিভাগের অনলাইন তদারকিতে তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ২৭ ব্যাংকের ৭১ জন গ্রাহকের বিপরীতে অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা হয়েছে। ওই সময় এসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ব্যাংক নিজেদের যাচাইয়ে ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষমা চায়।সূত্রঃ সমকাল

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্টে কড়াকড়ি

প্রকাশের সময় : ১২:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ভ্রমণ কোটায় বছরে একজনের নামে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট বা অনুমোদন করতে পারে ব্যাংক বা মানিচেঞ্জার। তবে ভালোভাবে যাচাই না করেই অনেকের পাসপোর্টে বেশি এনডোর্সমেন্টের তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য এ বিষয়ে কাড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে পাসপোর্টের পাতার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন পদ্ধতিতে যাচাই করতে হবে। গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আবশ্যিকভাবে পাসপোর্টের পাতায় আগের এনডোর্সমেন্টের পরিমাণ যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন টিএম ফরেন মনিটরিং সিস্টেম, ইন্টারন্যাশনাল কার্ড মনিটরিং সিস্টেম বা অনলাইন মানি চেঞ্জার মনিটরিং সিস্টেমে যাচাই করে বৈদেশিক মুদ্রা অনুমোদন করতে হবে। একই পঞ্জিকা বছরে নতুন পাসপোর্ট নিলে ব্যয়ের পরিমাণ যাচাই করেই বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, কার্ড বা নগদে যে উপায়েই এনডোর্সমেন্ট হোক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন তদারকি পদ্ধতিতে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জার থেকে তা রিপোর্ট করতে হয়। অধিকতর যাচাইয়ের জন্য এখন থেকে পাসপোর্টের পাতার পাশাপাশি অনলাইনেও যাচাই করতে হবে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করার পর গত বছরের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২১ ও ২০২২ সালের এনডোর্সমেন্টের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন বিভাগের অনলাইন তদারকিতে তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ২৭ ব্যাংকের ৭১ জন গ্রাহকের বিপরীতে অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা হয়েছে। ওই সময় এসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ব্যাংক নিজেদের যাচাইয়ে ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষমা চায়।সূত্রঃ সমকাল