নিউইয়র্ক ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নানা কৌশলে ডলার পরিস্থিতি বাগে আনার চেষ্টা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৭ বার পঠিত

প্রতীকী ছবি

হককথা ডেস্ক : ডলারের অভাবে ঋণপত্র বা এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে পারছে না অনেক ব্যাংক। আগের দায় শোধে হিমশিম খেয়ে কোনো কোনো ব্যাংক প্রতি ডলার কিনেছে ১২১-১২২ টাকা দরে। পরিস্থিতি সামলাতে গত দু’দিনে রিজার্ভ থেকে আরও ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে উচ্চ সুদে আমানত নেওয়ার সুযোগ দিয়ে গতকাল বুধবার একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা এবং বিদেশি ঋণ বাড়ানোর নানা চেষ্টা অব্যাহত আছে। এর পরও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে সাড়ে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে এসেছে।

এ রকম যখন পরিস্থিতি, তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে বিদেশ থেকে ডলার আনার চেষ্টা চলছে। কৃত্রিমভাবে বাজার পরিস্থিতি ভালো দেখাতে সংকটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা ও প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ২৫ পয়সা কমিয়ে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সায় কিনে ১১০ টাকা ২৫ পয়সায় বিক্রির দর ঘোষণা করেছে। আবার গত সোম ও মঙ্গলবার চরম সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে ৭ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত বাজারে তারল্য বেড়েছে– এমন পরিস্থিতি দেখিয়ে ধরে রাখা ডলার দেশে আনতে এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স ইস্যুতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীদের ফোন করে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। তবে এই কৌশল তেমন কাজে আসছে না বরং রেমিট্যান্স কমছে। ব্যাংকাররা বলছেন, দর বেশি না দিলে আশানুরূপ রেমিট্যান্স পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি মাসের শুরুর দিকে বাড়তি দরে রেমিট্যান্সের ডলার কেনে ব্যাংকগুলো। এর ফলে মাসের প্রথম ১০ দিনে ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ তথা দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এবিবি ও বাফেদা বৈঠক করে জানিয়ে দেয় নির্ধারিত দরেই ডলার কিনতে হবে। এরপর গত ১১ নভেম্বর থেকে পরের ১৪ দিনে আসে মাত্র ৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, দৈনিক হিসাবে যা ৪ কোটি ৯৯ লাখ। এর মানে হলো, দর নিয়ে কড়াকড়ির পর প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩ কোটি ডলার আসা কমেছে।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে দর নিয়ে কড়াকড়ির পর রেমিট্যান্স আসে মাত্র ১৩৩ কোটি ডলার। অক্টোবরে কড়াকড়ি শিথিল করার পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৮ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এখন তিন মাস মেয়াদি অর্থ রেখে ৬ শতাংশের বেশি সুদ মিলছে। আবার প্রতি মাসে ডলারের দর একটু করে বাড়ছে। এ কারণে অনেক প্রবাসী, বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, রপ্তানিকারক এবং ব্যাংক ডলার ধরে রেখেছে। ধরে রাখা ওই ডলার দেশে আনতে গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলারের দর ৫০ পয়সা কমিয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংকে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এভাবে দর ঘোষণা করে আসছে এবিবি ও বাফেদা। এর আগে দফায় দফায় দর বাড়ানো হলেও গত এক সপ্তাহে দুই দফা দর কমানো হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘ডলারের দর বাজারভিত্তিক করতে হবে। আবার দর নিয়ে যে বিভ্রান্তি আছে, তা কাটাতে হবে। এ ছাড়া অর্থ পাচার ও হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর হতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ এবং সহজ শর্তের বিদেশি ঋণ বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি যেসব প্রকল্পে ডলার খরচ হয়, আপাতত সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। এভাবে বাজারের অবস্থা ভালো করা গেলে দর এমনিতেই পড়ে যাবে।’

ব্যাংকাররা জানান, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানিতে কড়াকড়ি, এলসির বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত মার্জিনের বিধান, শুল্ক বাড়ানোসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে আগের বছরের এই সময়ের ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে। তবে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ব্যাপকভাবে কমা এবং পরিশোধের চাপ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক হিসাব ব্যাপক ঘাটতিতে পড়েছে।

এরকম সময়ে কোনো ব্যাংক যেন দেশের বাইরে খেলাপি হয়ে না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারি আমদানির বিপরীতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। ২০২১ সালের আগস্টে সংকট শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়নে নেমেছে, গত সপ্তাহ শেষে যা ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার ছিল, আর ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

এ দিকে, চলমান সংকট কাটাতে গতকাল বেশি সুদে বিদেশ থেকে আমানত আনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীর নামেও বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলে অর্থ জমা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো তিন মাস থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি ডলার রেখে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারবে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সূত্র : সমকাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নানা কৌশলে ডলার পরিস্থিতি বাগে আনার চেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : ডলারের অভাবে ঋণপত্র বা এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে পারছে না অনেক ব্যাংক। আগের দায় শোধে হিমশিম খেয়ে কোনো কোনো ব্যাংক প্রতি ডলার কিনেছে ১২১-১২২ টাকা দরে। পরিস্থিতি সামলাতে গত দু’দিনে রিজার্ভ থেকে আরও ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে উচ্চ সুদে আমানত নেওয়ার সুযোগ দিয়ে গতকাল বুধবার একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা এবং বিদেশি ঋণ বাড়ানোর নানা চেষ্টা অব্যাহত আছে। এর পরও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে সাড়ে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে এসেছে।

এ রকম যখন পরিস্থিতি, তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে বিদেশ থেকে ডলার আনার চেষ্টা চলছে। কৃত্রিমভাবে বাজার পরিস্থিতি ভালো দেখাতে সংকটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা ও প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ২৫ পয়সা কমিয়ে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সায় কিনে ১১০ টাকা ২৫ পয়সায় বিক্রির দর ঘোষণা করেছে। আবার গত সোম ও মঙ্গলবার চরম সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে ৭ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত বাজারে তারল্য বেড়েছে– এমন পরিস্থিতি দেখিয়ে ধরে রাখা ডলার দেশে আনতে এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স ইস্যুতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীদের ফোন করে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। তবে এই কৌশল তেমন কাজে আসছে না বরং রেমিট্যান্স কমছে। ব্যাংকাররা বলছেন, দর বেশি না দিলে আশানুরূপ রেমিট্যান্স পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি মাসের শুরুর দিকে বাড়তি দরে রেমিট্যান্সের ডলার কেনে ব্যাংকগুলো। এর ফলে মাসের প্রথম ১০ দিনে ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ তথা দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এবিবি ও বাফেদা বৈঠক করে জানিয়ে দেয় নির্ধারিত দরেই ডলার কিনতে হবে। এরপর গত ১১ নভেম্বর থেকে পরের ১৪ দিনে আসে মাত্র ৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, দৈনিক হিসাবে যা ৪ কোটি ৯৯ লাখ। এর মানে হলো, দর নিয়ে কড়াকড়ির পর প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩ কোটি ডলার আসা কমেছে।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে দর নিয়ে কড়াকড়ির পর রেমিট্যান্স আসে মাত্র ১৩৩ কোটি ডলার। অক্টোবরে কড়াকড়ি শিথিল করার পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৮ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এখন তিন মাস মেয়াদি অর্থ রেখে ৬ শতাংশের বেশি সুদ মিলছে। আবার প্রতি মাসে ডলারের দর একটু করে বাড়ছে। এ কারণে অনেক প্রবাসী, বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, রপ্তানিকারক এবং ব্যাংক ডলার ধরে রেখেছে। ধরে রাখা ওই ডলার দেশে আনতে গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলারের দর ৫০ পয়সা কমিয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংকে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এভাবে দর ঘোষণা করে আসছে এবিবি ও বাফেদা। এর আগে দফায় দফায় দর বাড়ানো হলেও গত এক সপ্তাহে দুই দফা দর কমানো হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘ডলারের দর বাজারভিত্তিক করতে হবে। আবার দর নিয়ে যে বিভ্রান্তি আছে, তা কাটাতে হবে। এ ছাড়া অর্থ পাচার ও হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর হতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ এবং সহজ শর্তের বিদেশি ঋণ বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি যেসব প্রকল্পে ডলার খরচ হয়, আপাতত সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। এভাবে বাজারের অবস্থা ভালো করা গেলে দর এমনিতেই পড়ে যাবে।’

ব্যাংকাররা জানান, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানিতে কড়াকড়ি, এলসির বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত মার্জিনের বিধান, শুল্ক বাড়ানোসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে আগের বছরের এই সময়ের ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে। তবে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ব্যাপকভাবে কমা এবং পরিশোধের চাপ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক হিসাব ব্যাপক ঘাটতিতে পড়েছে।

এরকম সময়ে কোনো ব্যাংক যেন দেশের বাইরে খেলাপি হয়ে না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারি আমদানির বিপরীতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। ২০২১ সালের আগস্টে সংকট শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়নে নেমেছে, গত সপ্তাহ শেষে যা ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার ছিল, আর ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

এ দিকে, চলমান সংকট কাটাতে গতকাল বেশি সুদে বিদেশ থেকে আমানত আনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীর নামেও বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলে অর্থ জমা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো তিন মাস থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি ডলার রেখে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারবে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সূত্র : সমকাল

হককথা/নাছরিন