নিউইয়র্ক ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি, প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৫ বার পঠিত

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি-এই আট মাসে তৈরি পোশাক খাতের বড় গন্তব্য দেশগুলোতে আয় কমলেও নতুন বাজারে বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। এ সময় এই বাজারগুলো (১৭টি) থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৬৩০ কোটি ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের আট মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে মোট রপ্তানি আয় এসেছে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৭৭ শতাংশ।

দেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইউরোপ থেকে আয় এসেছে এক হাজার ৬২৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। তবে ইউরোপের বড় বাজার জার্মানিতে এ সময় আয় কমেছে ১১.৬৩ শতাংশ। আর নতুন বাজারের মধ্যে ভারতে আয় কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ। আয় হয়েছে ৫৮ কোটি ডলার।

অন্য বড় বাজারগুলোর মধ্যে এ সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় এসেছে ৫৪৬ কোটি ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে আয় এসেছে ৩৮৫ কোটি ডলার। কানাডা থেকে এসেছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের ইপিবি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে পাঁচ হাজার ২২৭ কোটি ডলার।

সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আগামী পাঁচ মাসে আয় লাগবে এক হাজার ৯৪২ কোটি ডলার, যা গড়ে আয় করতে হবে ৩৮৮ কোটি ডলার। এর আগে গত আট মাসে গড় আয় ছিল ৪১০ কোটি ডলার। এ সময় নতুন সম্ভাবনাময় বাজার জাপান থেকে আয় এসেছে ১১৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার, অস্ট্রেলিয়া ৯৩ কোটি ডলার, রাশিয়া ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার, চীন ২৪ কোটি ডলার, আরব আমিরাতে ২৮ কোটি ডলার, মালয়েশিয়া ২৫ কোটি ডলার ও তুরস্ক ২৭ কোটি ডলার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির নেতিবাচক ধারা থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই বাজারে ৫৪৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

এই রপ্তানি অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৫৮ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তখন রপ্তানি কমেছিল সাড়ে ৫ শতাংশ।

ইপিবি ও বিজিএমইএর তথ্য অনুসারে চলতি অর্থবছরের আট মাসে ইউরোপ থেকে আয় এসেছে এক হাজার ৬২৩ কোটি ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৫৪৬ কোটি ডলার, যুক্তরাজ্যে ৩৮৫ কোটি ডলার, কানাডা ১০০ কোটি ডলার এবং নতুন বাজার থেকে আয় এসেছে ৬৩০ কোটি ডলার। সূত্র : কালের কণ্ঠ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি, প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি-এই আট মাসে তৈরি পোশাক খাতের বড় গন্তব্য দেশগুলোতে আয় কমলেও নতুন বাজারে বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। এ সময় এই বাজারগুলো (১৭টি) থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৬৩০ কোটি ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের আট মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে মোট রপ্তানি আয় এসেছে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৭৭ শতাংশ।

দেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইউরোপ থেকে আয় এসেছে এক হাজার ৬২৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। তবে ইউরোপের বড় বাজার জার্মানিতে এ সময় আয় কমেছে ১১.৬৩ শতাংশ। আর নতুন বাজারের মধ্যে ভারতে আয় কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ। আয় হয়েছে ৫৮ কোটি ডলার।

অন্য বড় বাজারগুলোর মধ্যে এ সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় এসেছে ৫৪৬ কোটি ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে আয় এসেছে ৩৮৫ কোটি ডলার। কানাডা থেকে এসেছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের ইপিবি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে পাঁচ হাজার ২২৭ কোটি ডলার।

সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আগামী পাঁচ মাসে আয় লাগবে এক হাজার ৯৪২ কোটি ডলার, যা গড়ে আয় করতে হবে ৩৮৮ কোটি ডলার। এর আগে গত আট মাসে গড় আয় ছিল ৪১০ কোটি ডলার। এ সময় নতুন সম্ভাবনাময় বাজার জাপান থেকে আয় এসেছে ১১৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার, অস্ট্রেলিয়া ৯৩ কোটি ডলার, রাশিয়া ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার, চীন ২৪ কোটি ডলার, আরব আমিরাতে ২৮ কোটি ডলার, মালয়েশিয়া ২৫ কোটি ডলার ও তুরস্ক ২৭ কোটি ডলার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির নেতিবাচক ধারা থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই বাজারে ৫৪৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

এই রপ্তানি অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৫৮ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তখন রপ্তানি কমেছিল সাড়ে ৫ শতাংশ।

ইপিবি ও বিজিএমইএর তথ্য অনুসারে চলতি অর্থবছরের আট মাসে ইউরোপ থেকে আয় এসেছে এক হাজার ৬২৩ কোটি ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৫৪৬ কোটি ডলার, যুক্তরাজ্যে ৩৮৫ কোটি ডলার, কানাডা ১০০ কোটি ডলার এবং নতুন বাজার থেকে আয় এসেছে ৬৩০ কোটি ডলার। সূত্র : কালের কণ্ঠ।