নিউইয়র্ক ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নকল ও ভেজালকারী ব্যবসায়ীদের কালো তালিকাভুক্ত করুন : শিল্পমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ৪২ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : সব ব্যবসায়ী নকল ও ভেজালের সঙ্গে যুক্ত নন। যারা যুক্ত তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ূন। মন্ত্রী বলেন, অনেক ভালো ব্যবসায়ী আছেন, যারা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বাজারজাত করে বিশ্ব বাজারে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেন। কিন্তু কিছু নকল ও ভেজালকারী ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা এ হীন কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের উচিত তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে বাদ দেওয়া।

শনিবার (২০ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মাদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ রায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআইর মহাপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি পণ্য যেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত হয়, আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিএসটিআই সফলভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নকল ও ভেজালরোধে তিনি সরাসরি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআইর অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও ওজনে কম দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র রমজানসহ বছরব্যাপী বিএসটিআই ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসা অর্জন করেছে। এই অভিযান তৃণমূল পর্যায়ে পরিচালনা করতে হবে। বিএসটিআই তার কাজ করে যাচ্ছে। তবে, ব্যবসায়ীদেরও উচিত বিএসটিআইকে এ কাজে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করা।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। আমার দেশে ভোট কীভাবে হবে আমরা বুঝবো। আমাদের ভোটে কেন অন্যান্য দেশের মনিটরিং করতে হবে? কেন অন্যদেশগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে? আমরা স্বাধীন, আমরা অন্য কারও রাজত্বে বসবাস করি না। আমরা রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা কারও চোখ রাঙানোকে ভয় করি না। শিল্প সচিব বলেন, নকল ও ভোজালরোধে যে আইন রয়েছে তার কঠোর প্রয়োগ হলে নকল ও ভেজাল অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সম্পদ ও জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার মানসিতা নিয়ে কাজ করে গেলে কোনো কিছু কঠিন নয় বলেও তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে বিএসটিআইর মহাপরিচালক ইনস্টিটিউশনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সম্বলিত লাইসেন্স, পণ্যের হালাল সনদ, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই করে সনদ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে বিএসটিআইর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন, নতুন জনবল সৃজন, পণ্য পরীক্ষায় আন্তর্জাতিকমানের নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং বিদ্যমান ল্যবরেটরিগুলোর নতুন পণ্য পরীক্ষণ প্যারামিটার সংযুক্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিএসটিআই পরিচালক (মেট্রোলজি) প্রকৌশলী সাজ্জাদুল বারী। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নকল ও ভেজালকারী ব্যবসায়ীদের কালো তালিকাভুক্ত করুন : শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : সব ব্যবসায়ী নকল ও ভেজালের সঙ্গে যুক্ত নন। যারা যুক্ত তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ূন। মন্ত্রী বলেন, অনেক ভালো ব্যবসায়ী আছেন, যারা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বাজারজাত করে বিশ্ব বাজারে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেন। কিন্তু কিছু নকল ও ভেজালকারী ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা এ হীন কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের উচিত তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে বাদ দেওয়া।

শনিবার (২০ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মাদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ রায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআইর মহাপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি পণ্য যেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত হয়, আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিএসটিআই সফলভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নকল ও ভেজালরোধে তিনি সরাসরি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআইর অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও ওজনে কম দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র রমজানসহ বছরব্যাপী বিএসটিআই ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসা অর্জন করেছে। এই অভিযান তৃণমূল পর্যায়ে পরিচালনা করতে হবে। বিএসটিআই তার কাজ করে যাচ্ছে। তবে, ব্যবসায়ীদেরও উচিত বিএসটিআইকে এ কাজে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করা।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। আমার দেশে ভোট কীভাবে হবে আমরা বুঝবো। আমাদের ভোটে কেন অন্যান্য দেশের মনিটরিং করতে হবে? কেন অন্যদেশগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে? আমরা স্বাধীন, আমরা অন্য কারও রাজত্বে বসবাস করি না। আমরা রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা কারও চোখ রাঙানোকে ভয় করি না। শিল্প সচিব বলেন, নকল ও ভোজালরোধে যে আইন রয়েছে তার কঠোর প্রয়োগ হলে নকল ও ভেজাল অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সম্পদ ও জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার মানসিতা নিয়ে কাজ করে গেলে কোনো কিছু কঠিন নয় বলেও তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে বিএসটিআইর মহাপরিচালক ইনস্টিটিউশনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সম্বলিত লাইসেন্স, পণ্যের হালাল সনদ, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই করে সনদ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে বিএসটিআইর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন, নতুন জনবল সৃজন, পণ্য পরীক্ষায় আন্তর্জাতিকমানের নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং বিদ্যমান ল্যবরেটরিগুলোর নতুন পণ্য পরীক্ষণ প্যারামিটার সংযুক্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিএসটিআই পরিচালক (মেট্রোলজি) প্রকৌশলী সাজ্জাদুল বারী। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা