ঈদের আগেই তাপ বেড়েছে গরম মসলার

- প্রকাশের সময় : ০৫:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
- / ৯৬ বার পঠিত
ঈদ আসতে এখনও বেশ দেরি, তবে তার আগেই চড়া গরম মসলার বাজার। রাজধানীর বাজারগুলোতে হাতে গোনা দু-একটির দাম কমলেও বাকি সব মসলার দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে জিরার দাম কেজিতে ৫০টাকা কমলেও অন্য সব মসলার দাম বেড়েছে। তবে জিরার এই দাম গত বছরের এই সময়ে তুলনায় বেশি। এলাচের দাম প্রকারভেদে কেজিতে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৯০ শতাংশ মসলা আমদানি করা। তাই দাম বেশি।
দারুচিনি, গোলমরিচ, লবংগের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত। কেজিতে মানভেদে পাঁচশ’ থেকে আটশ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এলাচের দাম। তবে, জিরার দাম কেজিতে ৫০ থেকে একশ’ টাকা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি মূল্য বেশি পড়ায় মসলার দাম বেড়েছে।
কাওরান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, এলাচ, দারুচিনির দাম গত মাসের তুলনায় এখন একটু বেশিই আছে। মোটামুটি ভালো মানের পাইকারিতে এলাচ ২৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনির দাম বেশি। কেজি পাঁচশ’ টাকা। আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে কাঠবাদাম কিনতাম সাতশ’ টাকা। এখন পাইকারিতেই কেজি কিনতে হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা।
মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। জানালেন, পরিমাণে কম কিনতে হচ্ছে। এক ক্রেতা বলেন, আমরা খবরে দেখি দাম কম। কিন্তু বাজারে আসলে দেখি দাম ঠিক নেই। এলাচ ধেকে শুরু করে গরম মশলার দাম অতিরিক্ত। আমদানি মুল্য না কমাতে পারলে মসলার বাজারের বাড়তি দাম থেকেই যাবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে মসলার বড় অংশই আমদানি নির্ভর। এ কারণে আমদানিতে কোনো প্রভাব পড়লে দেশে এসব পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়তে থাকে। গত এক বছরের ব্যবধানে জিরার দাম ৮০ থেকে ৮৩ শতাংশ বেড়ে মানভেদে ৯০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত খুচরায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের এই সময়ে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।
এদিকে রমজানের শুরুতে ১০০ টাকা বা তার চেয়ে বেশিতে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ কদিন আগে ৫৫ টাকায় নেমে এলেও আবার সেখান থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে কাওরান বাজারে। আর পাইকারিতে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কদিন আগে পাইকারিতে দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় নেমেছিলো। সূত্র : ৭১টিভি
হককথা/নাছরিন