আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ

- প্রকাশের সময় : ০৩:৪৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
- / ৬৪ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : স্থানীয় কোম্পানি সামিট গ্রুপ দেশে তৃতীয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। বুধবার (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে সামিট গ্রুপের ‘সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডকে’ কক্সবাজারের মহেশখালীতে টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।
সভা শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবিত টার্মিনালের রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি) হবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা নেওয়ার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই অনুমোদন পেট্রোবাংলাকে টার্মিনাল স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করবে। প্রকল্পের ব্যয় ও বাস্তবায়নের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি। দেশে ইতোমধ্যে দু’টি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে- একটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউনাইটেড স্টেটের এক্সেলরেট এনার্জি ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপন করেছিল এবং অন্যটি একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট গ্রুপ স্থাপন করেছিল।
অর্থমন্ত্রী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি, সার, ওষুধ, চিনি ও সয়াবিন তেল সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি এলপি প্রতি ইউনিটের দাম ১৩ দশমিক ৯ আমেরিকান ডলার দামে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ২৪৯ দশমিক ৯৯ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করবে এবং প্রায় ১৪ হাজার ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবহার করবে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার টন ক্রয় করবে।
এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে একই পরিমাণ বাল্ক দানাদার ইউরিয়া কিনবে প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে। বিসিআইসি কাতার থেকে একই পরিমাণ ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া আমদানি করবে প্রতি টন ৩০৩ দশমিক ৩৩ ডলার মূল্যে। মাহবুব খান বলেন, টেবিলে দুটি প্রস্তাব জমা পড়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল সিঙ্গাপুরের একটি বেস সরবরাহকারীর কাছ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি ক্রয় করা একটি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি টনের মূল্য ৪৭৭ দশমিক ৯ ডলার। অন্যটি ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড সরবরাহ করার জন্য ৮০ লাখ টন সয়াবিন তেল ক্রয় করার। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৬১ দশমিক ৩৭ টাকা। সূত্র : ঢাকা মেইল
বেলী/হককথা