নিউইয়র্ক ১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আগামী অর্থবছরে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ৭২ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এবারের এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার কোটি টাকা দেবে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী। আর বাকি ১ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে ব্যয় করা হবে। এবার এডিপির আকার বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছর এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থসচিব, পরিকল্পনা সচিব, ইআরডি সচিব, বিবিএস সচিব, আইএমডি সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সুদ ও ভর্তুকিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এডিপির বরাদ্দ বেশি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বাজেটের তুলনায় এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বাড়িয়ে আগামী বাজেটে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা রাখা হচ্ছে।

আরোও পড়ুন । অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকির শঙ্কা

জানা গেছে, আগামী ১১ মে এনইসি সভায় নতুন এডিপি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এবারও বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর রয়েছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। এছাড়া বরাদ্দ পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এবারও মেগা প্রকল্পে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতুতে বড় বরাদ্দ থাকছে। অন্যদিকে, আগামী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৪ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা চায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে চায় ৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে চায় ১০ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। চলমান ৩৫টি প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ চেয়েছে তারা।

আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেটে সেতু বিভাগ ৮ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে ২ হাজার ৫৬৩ টাকা। আর নতুন প্রকল্পের জন্য চেয়েছে ২৮১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এডিপিতে ৫ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ২ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ২২ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। এবং অননুমোদিত সম্ভাব্য প্রকল্পের জন্য সরকারের তহবিল থেকে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে তারা। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আগামী অর্থবছরে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এবারের এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার কোটি টাকা দেবে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী। আর বাকি ১ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে ব্যয় করা হবে। এবার এডিপির আকার বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছর এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থসচিব, পরিকল্পনা সচিব, ইআরডি সচিব, বিবিএস সচিব, আইএমডি সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সুদ ও ভর্তুকিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এডিপির বরাদ্দ বেশি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বাজেটের তুলনায় এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বাড়িয়ে আগামী বাজেটে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা রাখা হচ্ছে।

আরোও পড়ুন । অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকির শঙ্কা

জানা গেছে, আগামী ১১ মে এনইসি সভায় নতুন এডিপি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এবারও বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর রয়েছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। এছাড়া বরাদ্দ পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এবারও মেগা প্রকল্পে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতুতে বড় বরাদ্দ থাকছে। অন্যদিকে, আগামী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৪ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা চায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে চায় ৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে চায় ১০ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। চলমান ৩৫টি প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ চেয়েছে তারা।

আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেটে সেতু বিভাগ ৮ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে ২ হাজার ৫৬৩ টাকা। আর নতুন প্রকল্পের জন্য চেয়েছে ২৮১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এডিপিতে ৫ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ২ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ২২ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। এবং অননুমোদিত সম্ভাব্য প্রকল্পের জন্য সরকারের তহবিল থেকে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে তারা। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

বেলী / হককথা