নিউইয়র্ক ০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কুইন্স লাইব্রেরীতে কাজী জহিরুল ইসলামের ‘শেকড়ের খোঁজ’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮
  • / ১১৪০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: কুইন্স লাইব্রেরীর বাংলা বুক ক্লাব পাঠকের পাতা ২১ এপ্রিল আলোচনা করে কাজী জহিরুল ইসলামের ইতিহাস ভিত্তিক গ্রন্থ ‘শেকড়ের খোঁজ’ নিয়ে। গ্রন্থটির ওপর লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. বিলকিস রহমান দোলা। বইটির ওপর মুক্ত আলোচনা করেন ড. মাহবুব হাসান, ওবায়েদুল্লাহ মামুন, অধ্যাপক আখতার হোসেন, আবদুল্লাহ জাহিদ, মিজানুর রহমান জোদ্দার, ফরহাদ ইসলাম, সৈয়দ ফজলুর রহমান, রাজিয়া নাজমী প্রমূখ।
ড. দোলা বলেন, আমি বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ স্টাডিজ পড়াতাম, তখন এইরকম একটি বইয়ের খুব প্রয়োজন ছিল। যে তথ্যগুলো আমরা বিভিন্ন বই থেকে নিয়ে ছাত্রদের কাছে তুলে ধরতাম তার প্রায় সবই এই গ্রন্থে আছে। লেখকের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি খুব সহজ করে ইতিহাসের কঠিন এবং জটিল অধ্যায়গুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। তবে এই গ্রন্থটি পড়তে গিয়ে আরো অনেক কিছু জানার তৃষ্ণা তৈরী হয়। আমি প্রত্যাশা করছি পরের সংস্করণে তিনি বাংলার শাসন ব্যবস্থার ইতিহাস আরো বিস্তৃত করবেন,  তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবে। বাংলা ভাষার জন্ম এবং এর বিকাশ একটি গল্প প্রবাহের মধ্য দিয়ে তিনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। কীভাবে সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে চর্যাপদ থেকে আজকের বাংলা ভাষা তৈরী হয়েছে তা তিনি ধারাবাহিকভাবে উদাহরণ দিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ড. মাহবুব হাসান বলেন, এটি খুব পরিশ্রমসাধ্য কাজ, এই কাজের জন্য কাজী জহিরুল ইসলামকে সাধুবাদ জানাই। তবে ড. দোলার মত আমিও মনে করি এর কলেবর আরো বড় হওয়া উচিৎ ছিল। ১৪৪ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ আমার তৃষ্ণা মেটাতে পারেনি।
অধ্যাপক আখতার হোসেন আলোচকদের সমালোচনা করে বলেন, আমি অবাক হচ্ছি এজন্য যে এই গ্রন্থে যা নেই তা নিয়ে আলোচকেরা আক্ষেপ করছেন কিন্তু এই গ্রন্থে যা আছে তা নিয়েই আলোচনাটি করার কথা ছিল। বইটিতে প্রচুর তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে, এইসব তথ্যে যদি কোনো অসঙ্গতি থাকে সেটা নিয়ে বরং সমালোচনা করা যেতে পারে।
ওবায়েদুল্লাহ মামুন বলেন, লেখক বঙ্গবন্ধুর জীবন প্রবাহের মধ্য দিয়ে বাঙালীর সংগ্রাম ও স্বাধীনতাকে তুলে এনেছেন, এটি প্রশংসার দাবী রাখে। একই সঙ্গে তিনি মতাত্মা গান্ধীর জীবন প্রবাহের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস। তিনি সমালোচনা করে বলেন, লেখক মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে ১১টি সেক্টর এবং এর কমান্ডারদের কথা বলেছেন কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার সম্পর্কে কিছুই বলেননি।
ফরহাদ ইসলাম বাংলা ভাষার উৎপত্তির ইতিহাস ইন্দো-ইওরোপীয় ভাষা পরিবারের বংশলতিকা বিশ্লেষণ করে বোঝাবার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা সংস্কৃত থেকে আসেনি।
আবদুল্লাহ জাহিদ বলেন, আমার কাছে ‘শেকড়ের খোঁজ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বই বলে মনে হয়েছে এবং আমি মনে করি এই বইটি সকলের পড়া উচিত। তিনি এই জমজমাট বই আলোচনায় স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে কুইন্স লাইব্রেরীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
সৈয়দ ফজলুর রহমান বলেন, আমি মনে করি লেখক উপস্থিত থাকলে তাঁকে আগে কথা বলতে দেওয়া উচিত। বইটি সম্পর্কে লেখকের কাছ থেকে আগে-ভাগে জেনে নিতে পারলে আলোচকদের সুবিধা হয়।
লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সব আলোচনা/সমালোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন বলে জানান এবং বলেন পরের সংস্করণে সমালোচনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পরিমার্জন করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমি এর কলেবর খুব বড় করতে চাইনি, ভাষাটি সহজ করতে চেয়েছি যাতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা সহজে বইটি পড়ে বুঝতে পারে এবং চেয়েছি বাংলা ভাষার উৎপত্তি এবং এর বিকাশের ইতিহাস তাঁরা জানুক, পাশাপাশি চেষ্টা করেছি একুশে ফেব্রুয়ারী, ছাব্বিশে মার্চ, ষোলই ডিসেম্বর এবং পহেলা বৈশাখ এই চারটি জাতীয় দিবস কি এবং কেন তা বিষদভাবে তুলে ধরতে।
এবারের অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে বাংলা বর্ষবরণ। এতে ছিল নানান স্বাদের পিঠার সমাহার, বৈশাখী গান ও কবিতা পাঠ। সঙ্গীতে অংশ নেন শারমীন মোহসীন, সূতপা মন্ডল, ভায়লা সালিনা লিজা, মুক্তি জহির, কনিকা, রুমা দিলরুবা প্রমূখ। কবিতা আবৃত্তি করেন নজরুল কবীর, মোহাম্মদ মোহসীন, মিজানুর রহমান জোদ্দার ও রাজিয়া নাজমী।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল বুক সাইনিং। উপস্থিত সদস্যরা স্বতস্ফূর্তভাবে লেখকের স্বাক্ষরসহ বইটি কেনেন। বিক্রির জন্য মজুত সব কপি শেষ হয়ে যায়। কেউ কেউ বই না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করলে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে বই আনিয়ে তাঁদেরকে খবর দেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, কুইন্স লাইব্রেরীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা বুক ক্লাব গড়ে ওঠে এ বছরই ফেব্রুয়ারী মাসে। প্রতি মাসে কর্তৃপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা বই নির্বাচন করেন, সদস্যরা বইটি লাইব্রেবী থেকে সংগ্রহ করে সারা মাস পাঠ করেন এবং মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে একত্রিত হয়ে বইটি নিয়ে আলোচনা করেন। মে মাসের জন্য নির্ধারিত হয়েছে হাসনাত আবদুল হাই রচিত ‘নভেরা’ উপন্যাস। ‘নভেরা’ নিয়ে আগামী ১২ মে শনিবার কুইন্স লাইব্রেরীর হলিস শাখায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

কুইন্স লাইব্রেরীতে কাজী জহিরুল ইসলামের ‘শেকড়ের খোঁজ’

প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮

নিউইয়র্ক: কুইন্স লাইব্রেরীর বাংলা বুক ক্লাব পাঠকের পাতা ২১ এপ্রিল আলোচনা করে কাজী জহিরুল ইসলামের ইতিহাস ভিত্তিক গ্রন্থ ‘শেকড়ের খোঁজ’ নিয়ে। গ্রন্থটির ওপর লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. বিলকিস রহমান দোলা। বইটির ওপর মুক্ত আলোচনা করেন ড. মাহবুব হাসান, ওবায়েদুল্লাহ মামুন, অধ্যাপক আখতার হোসেন, আবদুল্লাহ জাহিদ, মিজানুর রহমান জোদ্দার, ফরহাদ ইসলাম, সৈয়দ ফজলুর রহমান, রাজিয়া নাজমী প্রমূখ।
ড. দোলা বলেন, আমি বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ স্টাডিজ পড়াতাম, তখন এইরকম একটি বইয়ের খুব প্রয়োজন ছিল। যে তথ্যগুলো আমরা বিভিন্ন বই থেকে নিয়ে ছাত্রদের কাছে তুলে ধরতাম তার প্রায় সবই এই গ্রন্থে আছে। লেখকের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি খুব সহজ করে ইতিহাসের কঠিন এবং জটিল অধ্যায়গুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। তবে এই গ্রন্থটি পড়তে গিয়ে আরো অনেক কিছু জানার তৃষ্ণা তৈরী হয়। আমি প্রত্যাশা করছি পরের সংস্করণে তিনি বাংলার শাসন ব্যবস্থার ইতিহাস আরো বিস্তৃত করবেন,  তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবে। বাংলা ভাষার জন্ম এবং এর বিকাশ একটি গল্প প্রবাহের মধ্য দিয়ে তিনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। কীভাবে সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে চর্যাপদ থেকে আজকের বাংলা ভাষা তৈরী হয়েছে তা তিনি ধারাবাহিকভাবে উদাহরণ দিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ড. মাহবুব হাসান বলেন, এটি খুব পরিশ্রমসাধ্য কাজ, এই কাজের জন্য কাজী জহিরুল ইসলামকে সাধুবাদ জানাই। তবে ড. দোলার মত আমিও মনে করি এর কলেবর আরো বড় হওয়া উচিৎ ছিল। ১৪৪ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ আমার তৃষ্ণা মেটাতে পারেনি।
অধ্যাপক আখতার হোসেন আলোচকদের সমালোচনা করে বলেন, আমি অবাক হচ্ছি এজন্য যে এই গ্রন্থে যা নেই তা নিয়ে আলোচকেরা আক্ষেপ করছেন কিন্তু এই গ্রন্থে যা আছে তা নিয়েই আলোচনাটি করার কথা ছিল। বইটিতে প্রচুর তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে, এইসব তথ্যে যদি কোনো অসঙ্গতি থাকে সেটা নিয়ে বরং সমালোচনা করা যেতে পারে।
ওবায়েদুল্লাহ মামুন বলেন, লেখক বঙ্গবন্ধুর জীবন প্রবাহের মধ্য দিয়ে বাঙালীর সংগ্রাম ও স্বাধীনতাকে তুলে এনেছেন, এটি প্রশংসার দাবী রাখে। একই সঙ্গে তিনি মতাত্মা গান্ধীর জীবন প্রবাহের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস। তিনি সমালোচনা করে বলেন, লেখক মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে ১১টি সেক্টর এবং এর কমান্ডারদের কথা বলেছেন কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার সম্পর্কে কিছুই বলেননি।
ফরহাদ ইসলাম বাংলা ভাষার উৎপত্তির ইতিহাস ইন্দো-ইওরোপীয় ভাষা পরিবারের বংশলতিকা বিশ্লেষণ করে বোঝাবার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা সংস্কৃত থেকে আসেনি।
আবদুল্লাহ জাহিদ বলেন, আমার কাছে ‘শেকড়ের খোঁজ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বই বলে মনে হয়েছে এবং আমি মনে করি এই বইটি সকলের পড়া উচিত। তিনি এই জমজমাট বই আলোচনায় স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে কুইন্স লাইব্রেরীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
সৈয়দ ফজলুর রহমান বলেন, আমি মনে করি লেখক উপস্থিত থাকলে তাঁকে আগে কথা বলতে দেওয়া উচিত। বইটি সম্পর্কে লেখকের কাছ থেকে আগে-ভাগে জেনে নিতে পারলে আলোচকদের সুবিধা হয়।
লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সব আলোচনা/সমালোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন বলে জানান এবং বলেন পরের সংস্করণে সমালোচনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পরিমার্জন করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমি এর কলেবর খুব বড় করতে চাইনি, ভাষাটি সহজ করতে চেয়েছি যাতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা সহজে বইটি পড়ে বুঝতে পারে এবং চেয়েছি বাংলা ভাষার উৎপত্তি এবং এর বিকাশের ইতিহাস তাঁরা জানুক, পাশাপাশি চেষ্টা করেছি একুশে ফেব্রুয়ারী, ছাব্বিশে মার্চ, ষোলই ডিসেম্বর এবং পহেলা বৈশাখ এই চারটি জাতীয় দিবস কি এবং কেন তা বিষদভাবে তুলে ধরতে।
এবারের অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে বাংলা বর্ষবরণ। এতে ছিল নানান স্বাদের পিঠার সমাহার, বৈশাখী গান ও কবিতা পাঠ। সঙ্গীতে অংশ নেন শারমীন মোহসীন, সূতপা মন্ডল, ভায়লা সালিনা লিজা, মুক্তি জহির, কনিকা, রুমা দিলরুবা প্রমূখ। কবিতা আবৃত্তি করেন নজরুল কবীর, মোহাম্মদ মোহসীন, মিজানুর রহমান জোদ্দার ও রাজিয়া নাজমী।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল বুক সাইনিং। উপস্থিত সদস্যরা স্বতস্ফূর্তভাবে লেখকের স্বাক্ষরসহ বইটি কেনেন। বিক্রির জন্য মজুত সব কপি শেষ হয়ে যায়। কেউ কেউ বই না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করলে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে বই আনিয়ে তাঁদেরকে খবর দেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, কুইন্স লাইব্রেরীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা বুক ক্লাব গড়ে ওঠে এ বছরই ফেব্রুয়ারী মাসে। প্রতি মাসে কর্তৃপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা বই নির্বাচন করেন, সদস্যরা বইটি লাইব্রেবী থেকে সংগ্রহ করে সারা মাস পাঠ করেন এবং মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে একত্রিত হয়ে বইটি নিয়ে আলোচনা করেন। মে মাসের জন্য নির্ধারিত হয়েছে হাসনাত আবদুল হাই রচিত ‘নভেরা’ উপন্যাস। ‘নভেরা’ নিয়ে আগামী ১২ মে শনিবার কুইন্স লাইব্রেরীর হলিস শাখায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি।