নিউইয়র্ক ০৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রাপ্তি অপ্রপ্তির ফোবানা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯
  • / ৪৫৫ বার পঠিত

সামসুল ইসলাম মজনু: উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে পারস্পরিক সোহার্দ্য সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ধারা প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাগরুক রাখার লক্ষ্য নিয়া ১৯৮৭ সালে ফোবানা’র যাত্রা। প্রতিটি সংগঠনের যেমন থাকে একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর উদ্দেশ্য, তেমনি ফোবানা সৃষ্টিতেও ছিল ভাল উদ্যোগ। ফোবানা এটা সংক্ষিপ্ত নাম। এর পুরো নাম হলো “ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা”। অনেকগুলো সংগঠনের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি সংগঠনের রুপান্তর করা। যা নাকি সংগঠনের সংগঠন, অর্থাৎ নেতাদের নেতারাই হন সংগঠনের মূল চালক।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক ‘লেবার ডে উইকেন্ড’-কে সামনে রেখে প্রতি বছর সরব হয় ফোবানা। বাংলাদেশীদের একটা বৃহৎ অংশের বসবাস বিশ্বের রাজধানী খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। অতএব নিউইয়র্কেও এর প্রভাব দেখা যায় বেশী। শুরুর দিকে তাদের প্রচারণা যতটানা ছিল তার চাইতে তারা বেশী সরব ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, রেস্টুরেন্ট এ চা খাওয়া লং ড্রাইভে যাওয়া সবই যেন ফোবানার কার্যক্রম। এভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে, বুঝতে দেখি কি সুন্দর চা খাইয়ে আর ড্রাইভ করে ফোবানার কনসেপ্ট প্রচার করা হয়েছে। মেধার তারিফ না করে পারা যায়না। আর তাই দেখে আমরা প্রচার কাঙ্গালরা হাজার হাজার ডলার খরচ করে নিজের নাম লিখার জন্য উঠেপরে লাগি। এটা কি? তারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করেছে? কিভাবে তারা ফোবানার সাথে সংযুক্ত হয়ে বাংলাদেশীদের নতুন দীগন্তের সুচনা করবে, সেভাবে কি তারা চিন্তা করেছেন বলে মনে হয়না।
ঐক্যবদ্ধ কথা বলা হলেও ঐক্যবদ্ধ হবে না। মামলা-মকদ্দমা করেও লাভ হবে না। কারণ এখানে হচ্ছে মাইনসেট। যুক্তির পিছনে ভিন্ন যুক্তি সব সময় থাকবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ বিভক্তিকে সর্মথন করি। কারণ হিসাবে বলব, পুজিবাদী সমাজে বেঁচে থাকতে হলে প্রতিযোগিতা করে বেঁচে থাকতে হবে। ভালোর জন্য প্রতিযোগিতা থাকবে। এতে করে মন্দ একসময় বিলীন হয়ে যাবে। এখানেও ফোবানা নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে এবং এর মাধ্যমে সঠিক নেতা নির্বাচনের জন্য সচেতন হতে হবে। সিন্ডিকেট তৈরী করলে আখেরে ক্ষতিই হবে বেশী। এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত অন্য সময় বলব।
এবার আসি প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তির ফোবানা নিয়ে আমার মতামত, নিউইয়র্কে এবার দুটা ভেন্যুতে ফোবানা সম্মেলন হয়। এর একটি লাগার্ডিয়া ম্যারিয়েট হোটেলে অন্যটি লং আইল্যান্ডের নাসাউ কলসিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাগার্ডিয়া ম্যারিয়েট ফোবানার হোস্ট কমিটি ছিল “বাংলাদেশী আমেরিকান ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটি” আর নাসাউ কলসিয়ামের হোস্ট কমিটি ছিল “ড্রামা সার্কল” দুটাই সম্মেলনে পুরনো এবং একই মুখকে বার বার দেখি। জানিনা এটি সিন্ডিকেট, নাকি তাদের ইগো জড়িত বলতে পারব না।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ফোবানা অবশ্যই ভাল উদ্যোগ। এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শুরু করে ফোবানা আজকে অনেক করাই উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। তখন আমেরিকায় কেমন বাংলাদেশী ছিল জানিনা, তবে এখন উত্তর আমেরিকায় প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশীর বসবাস বলেই অনেকের ধারণা। এই ১৬ লাখ লোকের প্রতিনিধিত্ব করা সংগঠনের সংগঠকদের কি ভাল কিছু করা, না সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ছবি প্রচার করে সন্তুষ্ঠির ঠেকুর তোলা!
প্রথমে আসি লাগার্ডিয়া ম্যারিয়েট-এর ফোবানা নিয়া, এটার হোস্ট কমিটি ছিল বাংলাদেশী আমেরিকান ফেন্ডশীপ সোসাইটি। যাদের অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং তাদের পরিচিত, সেই সুবাধে তারা তাদের সাথে থাকার জন্য আহবান করলে ব্যক্তিগত অপরগতার কারনে অংশগ্রহণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। এরা তুলনামূলক কম বাজেটের মধ্যে থেকে সম্মেলন সার্থক করার চেস্টা করে গেছেন। সামগ্রিক অনুষ্ঠানে ভাল মন্দ বলার ক্ষমতা আমার নেই। তরে আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে সেটা না বললে পারিনা। ফোবানা সব সময় রাজনীতি মুক্ত থাকার কথা বলে। তারপরে অতি উৎসাহাদের জন্য রাজনীতি এসে যায়। ফোবানা একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। অথচ এই ফোবানার উদ্বোধন করেছেন যিনি, তিনি একজন আপাদমস্তক রাজনীতিক। এই প্রবাসেই ভিন্ন ভিন্ন রাজনীতিতে তিনি প্রধান অতিথি হয়েছেন এবং বলতে গেলে এই রাজনীতির কারণেই দেশের বাহিরে। এতে করে কি হলো, এই সম্মেলনে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। ফলশ্রুতিতে কিছু কিছু লোকের নাম প্রচার করা হলেও তারা এটি থেকে নিজেদের মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আয়োজকরা কতটুকু সন্তুষ্টি পেয়েছেন, তার মধ্যে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে উপহার দেয়া নেয়া নিয়ে যদিও স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়াতে বিস্তর লেখা-লেখি হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বখ্যাত নাসাউ কলসিয়ামে ফোবানা সম্মেলনের হোস্ট ছিল ড্রামা সার্কেল, নিউইয়র্ক। এর সাথে কারা কারা জড়িত জানিনা, তবে নাম দেখে জেনেছি কনভেনর বাংলাদেশ সোসাইটির সাথে জড়িত ছিলেন, ছিলেন সভাপতি এবং একটি বিশেষ অঞ্চলের সাথে তার খুব গুরুত্ব রয়েছে। সদস্য সচিবকে দেখেছি একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাথে জড়িত। তাদের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে মতামত দেওয়ার মতো যোগ্য আমি নই। তাই ধরে নিচ্ছি তারা ভালো সংগঠক। যখন ব্যক্তিগত বলবেন- তখন সেটা নিয়ে কেউ আলোচনা করে না। তবে মিডিয়াতে আসলেই সেটার প্রচারের সাথে সাথে আলোচনা-সমালোচনা হয় এটাই স্বাভাবিক। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২০১৪ সালে লস এঞ্জেলেস ফোবানার সাথে জড়িত ছিলাম হোস্ট কমিটির কো-কনভেনার হিসাবে তখন সরব ছিলাম। অনুষ্ঠান হবে লস এঞ্জেলেসে আর তার জন্য ওয়ার্ম আপ হিসেবে নিউইয়র্কে তার অনুকুলে প্রচারণা চালায়। তখন তা স্থানীয় সব বাংলা পত্রিকাগুলো ফলাও করে প্রচার করেছে। সকল সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান এবং তাদের পেশাদারিত্বে শ্রদ্ধা ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। যেখানে সামান্য কিছু অর্থ ব্যয় করে এটা সম্ভব হয়েছে। বলা বাহুল্য আজকের আহ্বায়ক এবং সচিবকে সেদিন পাইনি বা ডাকে সাড়া দেননি।
শুনেছি নাসাউ কালাসিয়ামের খরচ নাকি ৪০ লক্ষ ডলার। ১৭ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কালাসিয়ামে ৩/৪ হাজার দর্শক ছিল। জানি না তাদের ৪০ ডলার তাড়া কিভাবে জোগাড় করেছেন, কারা দিয়েছেন, কি তাদের উদ্দেশ্য ছিল। এতবড় আয়োজনে যদি মাত্র ৩/৪ হাজার দর্শক হয়ে থাকে তবে কি এটাকে স্বার্থক সম্মেলন বলবেন? বলা হয়ে থাকে নিউইয়র্কের লোকেরা নাকি পয়সা দিয়ে অনুষ্ঠান দেখে না। তাহলে প্রতি বছর তারকা শিল্পীরা বাংলাদেশ থেকে এসে অনুষ্ঠান দেখে তার সবই কি ফ্রি? ব্যাপার হাস্যকর। আমি তাদের প্রতিপক্ষ বা শত্রু নই। তাদের শুভাকাংখী হয়ে বলব আমি যদি তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতাম তবে শেষের দিন দরজা খুলে দিতাম তখন হয়ত আরও ৫০০ লোক বেশী হতো। তারা যে হিসেব দিয়েছেন তিন দিনে সর্বমোট ১০ হাজার। তবে গড়ে কত হয়! এরজন্য সন্তুষ্টির ঢেকুর তোলা কতটুক যুক্তিযুক্ত। ১৭ হাজার লোকের সমাগম খুব সহজ নয়। অথচ মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনের অনুষ্ঠান ছিল দর্শকপূর্ণ। আমি নিজে টিকেট কেটে অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ঢুকতে পারিননি। এত বড় ভেন্যুতে আয়জন করার জন্য যে ধরনের মোভিলাইজ করার দরকার ছিল আমার মনে হয় তারা এতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা এদিকে থোরাই কেয়ার করেন? তারা যেন তেমনভাবে আইকন, সিলভার, গোল স্পর্নসর নিয়ে ডলার সংগ্রহের ব্যস্ত ছিলেন। ছোট থেকে জানি শুধু টাকা হলে হবে না। যোগ্যতাও থাকা চাই। আমি জানিনা পৃষ্ঠপোষকরা কি পরিমান অর্থ দিয়াছেন? কি তাদের প্রাপ্তি এগুলো জানার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। পৃষ্ঠপোষকরা হয়ত তাদের লাভের একটা অংশ অথবা টেক্স ডিডাকট নেয়ার জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। আর আয়জকরা এই ৪০ লাখ ডলারের কিভাবে জোগাড় করেছেন, নাকি দেওলিয়া তা বুঝার ক্ষমতা আমার নেই। ব্যয়বহুল শহরে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়জন আসলে সবাই রহস্যঘেরা।
সবচাইতে মজার বিষয় হলো আয়জকদের থেকে বলা হয়েছে ফোবানা সম্মেলন কোন কনসার্ট আয়োজনের নাম নয়, ফোবানার সাংগঠনিক সম্মেলনই হলো মূল লক্ষ্য। যদি তাই হয়ে থাকে কই কোনদিন তো দেখিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে বাদ দিয়ে কোনো সম্মেলন হয়েছে বা এর জন্য কম বাজেট রাখা হয়েছে। কানায়ও ভালো জানে ঐ অংশটা বাদ দিলে অনুষ্ঠান আরও বেশি ফ্লপ হতো। তারকা শিল্পীদের নাম ফলাও করে প্রচার করা হলেও তাদের নাকি বসে থাকতে হয়েছে, শিল্পীরা যদি তাদের কাঙ্ঘিত অর্থ পাওয়ার পর পারফর্ম না করেন তাতে তাদের নাখোশ হওয়ার কথা নয়। ফুয়াদের কথা বলা হলো দেখিয়ে দিন, করেন ফুয়াদ কে নিয়ে একটা অনুষ্ঠান এতে আপনারা কেমন লোকের সমাগম করতে পারবেন? আপনাদের কাছে ফুয়াদের পারফরমেন্স ভাল লাগলেও সবাই যে উপভোগ করেছে তা-কি সত্য? আমি শিল্পী ফুয়াদের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই- একেক জনের কাছে একেক শিল্পী জনপ্রিয়, তাইতো আপনাদের অনেক শিল্পীর ছবি বিজ্ঞাপনে দিয়েছেন কই শুধুমাত্র ফুয়াদের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিলেন না কেন?
আর বিষয় ভিত্তিক আলোচনার কথা বলা হয়েছে। আমিতো যাইনি। তবে বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এ ধরনের অনুষ্ঠানে ১০/১২ জনের বেশি থাকে না, অনুষ্ঠানে হয়তো ২/১টি ব্যতিক্রম হতে পারে, এলামনাইদের নিয়ে অনুষ্ঠান কই সেখানে তো ঢাকা/চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও আয়োজকদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তাদের বন্ধু বান্ধবকে পাওয়া গেছে। ফটোসেশনে বন্ধু-বান্ধবদের দেখে আমার তাই মনে হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে কাব্য জলসা ভালো হয়েছে। জানিনা সেখানে ফ্যামিলী ক্রাইসিস নাট্যকার পারভেজ-এর মতো কবি ছিলেন, না খ্যাতিমানরা ছিলেন। তবে আমরা যারা অনেকে ছোটখাটো কবিতা লিখি তাদের জন্য এটা যে বিনোদন ছিল তা বলতে দ্বিধা নেই। লিখতে গেলে বা বলতে গেলে আরও আরও অনেক কিছু বলা যায়। অহমিকা আর অহংকার দুটোই যেকোন সাংগঠনিক ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর। নিন্দুকেরা কিছু বললে সেটাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলে হবে না, বুঝতে হবে। তাইবলে সমালোচনা করার পক্ষে আমি নই আর ফোবানাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, আর যদি এটা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে তবে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। যেখানে কট্ররের কোন স্থান নেই একইভাবে ধর্মীয় আঘাতের উপর আক্রমনও সহ্য করা হয় না। তাই বিশ্ব দরবারে মডারেট কান্ট্রি বলা হয়। তাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মানুষগুলোই যদি হাফপ্যান্ট পরে হোটেলের লবিতে হাটে বা কপালে বিশাল আকার টিকা দিয়ে তাতে আধুনিকতার বুলি আওড়ান তবে নতুন প্রজন্মের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আধুনিকতার মাঝে বেহায়াপনা, সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি কিছুতেই কাম্য নয়। তার সাথে আরও মাত্রা যোগ হয় যখন মধ্যরাতে হোটেলে পানীয় পান করে একে অপরের প্রতি তীর্যক বাক্য ছুড়েন। আমি বলছিনা আপনি বা আপনারা এগুলো করছেন। আমাদের বুঝতে হবে আমরা বাংলাদেশী মুসলমান, আমাদের সন্তান সেভাবে গড়ে উঠবে। বিতর্কিত কার্যক্রম এদেশে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কনফিউমড হয়ে যায়। এমনিতেই বহু সংস্কৃতিতে তাদের যুদ্ধ করতে হয়। তার উপর নিজেদের সংস্কৃতির ভিন্ন অভয়ে কি উত্তর দিবেন তাদের। নাসাউ কলসিয়ামে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর আলোচনা হয়েছে। এটা আমেরিকার রাষ্ট্র প্রধানকেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারতো রাজনীতি করছেন না। আপনারা কেন এটা করবেন? আপনারা যদি পবিত্র কোরআনের আলোকে যে কোন একটি দিক নিয়া একটা পর্ব উপস্থাপন করতেন তবে কি ক্ষতি হতো? আপনার সন্তানকে জিজ্ঞাসা করুন, না কবর দিবে, নাকি অন্যকিছু? তাদের কিছুটা জ্ঞান দিতে হবে। সময় থাকতে ধর্ম নিয়া যেমন বাড়াবাড়ী করা ঠিক না, তেমনী ধর্মকে বাদ দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে প্রস্তাব রইল যদি মুসলিম সংস্কৃতি বাইপাস বা অস্বীকার করা হয় ফোবানা-তে তবে সেক্ষেত্রে ‘ফেডারেশন অব বাঙালী এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা’ হওয়া উচিৎ।
লেখক: কো কনভেনর হোস্ট কমিটি, লস এঞ্জেলেল ফোবানা ২০১৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

প্রাপ্তি অপ্রপ্তির ফোবানা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯

সামসুল ইসলাম মজনু: উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে পারস্পরিক সোহার্দ্য সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ধারা প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাগরুক রাখার লক্ষ্য নিয়া ১৯৮৭ সালে ফোবানা’র যাত্রা। প্রতিটি সংগঠনের যেমন থাকে একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর উদ্দেশ্য, তেমনি ফোবানা সৃষ্টিতেও ছিল ভাল উদ্যোগ। ফোবানা এটা সংক্ষিপ্ত নাম। এর পুরো নাম হলো “ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা”। অনেকগুলো সংগঠনের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি সংগঠনের রুপান্তর করা। যা নাকি সংগঠনের সংগঠন, অর্থাৎ নেতাদের নেতারাই হন সংগঠনের মূল চালক।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক ‘লেবার ডে উইকেন্ড’-কে সামনে রেখে প্রতি বছর সরব হয় ফোবানা। বাংলাদেশীদের একটা বৃহৎ অংশের বসবাস বিশ্বের রাজধানী খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। অতএব নিউইয়র্কেও এর প্রভাব দেখা যায় বেশী। শুরুর দিকে তাদের প্রচারণা যতটানা ছিল তার চাইতে তারা বেশী সরব ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, রেস্টুরেন্ট এ চা খাওয়া লং ড্রাইভে যাওয়া সবই যেন ফোবানার কার্যক্রম। এভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে, বুঝতে দেখি কি সুন্দর চা খাইয়ে আর ড্রাইভ করে ফোবানার কনসেপ্ট প্রচার করা হয়েছে। মেধার তারিফ না করে পারা যায়না। আর তাই দেখে আমরা প্রচার কাঙ্গালরা হাজার হাজার ডলার খরচ করে নিজের নাম লিখার জন্য উঠেপরে লাগি। এটা কি? তারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করেছে? কিভাবে তারা ফোবানার সাথে সংযুক্ত হয়ে বাংলাদেশীদের নতুন দীগন্তের সুচনা করবে, সেভাবে কি তারা চিন্তা করেছেন বলে মনে হয়না।
ঐক্যবদ্ধ কথা বলা হলেও ঐক্যবদ্ধ হবে না। মামলা-মকদ্দমা করেও লাভ হবে না। কারণ এখানে হচ্ছে মাইনসেট। যুক্তির পিছনে ভিন্ন যুক্তি সব সময় থাকবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ বিভক্তিকে সর্মথন করি। কারণ হিসাবে বলব, পুজিবাদী সমাজে বেঁচে থাকতে হলে প্রতিযোগিতা করে বেঁচে থাকতে হবে। ভালোর জন্য প্রতিযোগিতা থাকবে। এতে করে মন্দ একসময় বিলীন হয়ে যাবে। এখানেও ফোবানা নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে এবং এর মাধ্যমে সঠিক নেতা নির্বাচনের জন্য সচেতন হতে হবে। সিন্ডিকেট তৈরী করলে আখেরে ক্ষতিই হবে বেশী। এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত অন্য সময় বলব।
এবার আসি প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তির ফোবানা নিয়ে আমার মতামত, নিউইয়র্কে এবার দুটা ভেন্যুতে ফোবানা সম্মেলন হয়। এর একটি লাগার্ডিয়া ম্যারিয়েট হোটেলে অন্যটি লং আইল্যান্ডের নাসাউ কলসিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাগার্ডিয়া ম্যারিয়েট ফোবানার হোস্ট কমিটি ছিল “বাংলাদেশী আমেরিকান ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটি” আর নাসাউ কলসিয়ামের হোস্ট কমিটি ছিল “ড্রামা সার্কল” দুটাই সম্মেলনে পুরনো এবং একই মুখকে বার বার দেখি। জানিনা এটি সিন্ডিকেট, নাকি তাদের ইগো জড়িত বলতে পারব না।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ফোবানা অবশ্যই ভাল উদ্যোগ। এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শুরু করে ফোবানা আজকে অনেক করাই উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। তখন আমেরিকায় কেমন বাংলাদেশী ছিল জানিনা, তবে এখন উত্তর আমেরিকায় প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশীর বসবাস বলেই অনেকের ধারণা। এই ১৬ লাখ লোকের প্রতিনিধিত্ব করা সংগঠনের সংগঠকদের কি ভাল কিছু করা, না সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ছবি প্রচার করে সন্তুষ্ঠির ঠেকুর তোলা!
প্রথমে আসি লাগার্ডিয়া ম্যারিয়েট-এর ফোবানা নিয়া, এটার হোস্ট কমিটি ছিল বাংলাদেশী আমেরিকান ফেন্ডশীপ সোসাইটি। যাদের অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং তাদের পরিচিত, সেই সুবাধে তারা তাদের সাথে থাকার জন্য আহবান করলে ব্যক্তিগত অপরগতার কারনে অংশগ্রহণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। এরা তুলনামূলক কম বাজেটের মধ্যে থেকে সম্মেলন সার্থক করার চেস্টা করে গেছেন। সামগ্রিক অনুষ্ঠানে ভাল মন্দ বলার ক্ষমতা আমার নেই। তরে আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে সেটা না বললে পারিনা। ফোবানা সব সময় রাজনীতি মুক্ত থাকার কথা বলে। তারপরে অতি উৎসাহাদের জন্য রাজনীতি এসে যায়। ফোবানা একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। অথচ এই ফোবানার উদ্বোধন করেছেন যিনি, তিনি একজন আপাদমস্তক রাজনীতিক। এই প্রবাসেই ভিন্ন ভিন্ন রাজনীতিতে তিনি প্রধান অতিথি হয়েছেন এবং বলতে গেলে এই রাজনীতির কারণেই দেশের বাহিরে। এতে করে কি হলো, এই সম্মেলনে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। ফলশ্রুতিতে কিছু কিছু লোকের নাম প্রচার করা হলেও তারা এটি থেকে নিজেদের মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আয়োজকরা কতটুকু সন্তুষ্টি পেয়েছেন, তার মধ্যে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে উপহার দেয়া নেয়া নিয়ে যদিও স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়াতে বিস্তর লেখা-লেখি হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বখ্যাত নাসাউ কলসিয়ামে ফোবানা সম্মেলনের হোস্ট ছিল ড্রামা সার্কেল, নিউইয়র্ক। এর সাথে কারা কারা জড়িত জানিনা, তবে নাম দেখে জেনেছি কনভেনর বাংলাদেশ সোসাইটির সাথে জড়িত ছিলেন, ছিলেন সভাপতি এবং একটি বিশেষ অঞ্চলের সাথে তার খুব গুরুত্ব রয়েছে। সদস্য সচিবকে দেখেছি একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাথে জড়িত। তাদের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে মতামত দেওয়ার মতো যোগ্য আমি নই। তাই ধরে নিচ্ছি তারা ভালো সংগঠক। যখন ব্যক্তিগত বলবেন- তখন সেটা নিয়ে কেউ আলোচনা করে না। তবে মিডিয়াতে আসলেই সেটার প্রচারের সাথে সাথে আলোচনা-সমালোচনা হয় এটাই স্বাভাবিক। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২০১৪ সালে লস এঞ্জেলেস ফোবানার সাথে জড়িত ছিলাম হোস্ট কমিটির কো-কনভেনার হিসাবে তখন সরব ছিলাম। অনুষ্ঠান হবে লস এঞ্জেলেসে আর তার জন্য ওয়ার্ম আপ হিসেবে নিউইয়র্কে তার অনুকুলে প্রচারণা চালায়। তখন তা স্থানীয় সব বাংলা পত্রিকাগুলো ফলাও করে প্রচার করেছে। সকল সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান এবং তাদের পেশাদারিত্বে শ্রদ্ধা ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। যেখানে সামান্য কিছু অর্থ ব্যয় করে এটা সম্ভব হয়েছে। বলা বাহুল্য আজকের আহ্বায়ক এবং সচিবকে সেদিন পাইনি বা ডাকে সাড়া দেননি।
শুনেছি নাসাউ কালাসিয়ামের খরচ নাকি ৪০ লক্ষ ডলার। ১৭ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কালাসিয়ামে ৩/৪ হাজার দর্শক ছিল। জানি না তাদের ৪০ ডলার তাড়া কিভাবে জোগাড় করেছেন, কারা দিয়েছেন, কি তাদের উদ্দেশ্য ছিল। এতবড় আয়োজনে যদি মাত্র ৩/৪ হাজার দর্শক হয়ে থাকে তবে কি এটাকে স্বার্থক সম্মেলন বলবেন? বলা হয়ে থাকে নিউইয়র্কের লোকেরা নাকি পয়সা দিয়ে অনুষ্ঠান দেখে না। তাহলে প্রতি বছর তারকা শিল্পীরা বাংলাদেশ থেকে এসে অনুষ্ঠান দেখে তার সবই কি ফ্রি? ব্যাপার হাস্যকর। আমি তাদের প্রতিপক্ষ বা শত্রু নই। তাদের শুভাকাংখী হয়ে বলব আমি যদি তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতাম তবে শেষের দিন দরজা খুলে দিতাম তখন হয়ত আরও ৫০০ লোক বেশী হতো। তারা যে হিসেব দিয়েছেন তিন দিনে সর্বমোট ১০ হাজার। তবে গড়ে কত হয়! এরজন্য সন্তুষ্টির ঢেকুর তোলা কতটুক যুক্তিযুক্ত। ১৭ হাজার লোকের সমাগম খুব সহজ নয়। অথচ মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনের অনুষ্ঠান ছিল দর্শকপূর্ণ। আমি নিজে টিকেট কেটে অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ঢুকতে পারিননি। এত বড় ভেন্যুতে আয়জন করার জন্য যে ধরনের মোভিলাইজ করার দরকার ছিল আমার মনে হয় তারা এতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা এদিকে থোরাই কেয়ার করেন? তারা যেন তেমনভাবে আইকন, সিলভার, গোল স্পর্নসর নিয়ে ডলার সংগ্রহের ব্যস্ত ছিলেন। ছোট থেকে জানি শুধু টাকা হলে হবে না। যোগ্যতাও থাকা চাই। আমি জানিনা পৃষ্ঠপোষকরা কি পরিমান অর্থ দিয়াছেন? কি তাদের প্রাপ্তি এগুলো জানার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। পৃষ্ঠপোষকরা হয়ত তাদের লাভের একটা অংশ অথবা টেক্স ডিডাকট নেয়ার জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। আর আয়জকরা এই ৪০ লাখ ডলারের কিভাবে জোগাড় করেছেন, নাকি দেওলিয়া তা বুঝার ক্ষমতা আমার নেই। ব্যয়বহুল শহরে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়জন আসলে সবাই রহস্যঘেরা।
সবচাইতে মজার বিষয় হলো আয়জকদের থেকে বলা হয়েছে ফোবানা সম্মেলন কোন কনসার্ট আয়োজনের নাম নয়, ফোবানার সাংগঠনিক সম্মেলনই হলো মূল লক্ষ্য। যদি তাই হয়ে থাকে কই কোনদিন তো দেখিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে বাদ দিয়ে কোনো সম্মেলন হয়েছে বা এর জন্য কম বাজেট রাখা হয়েছে। কানায়ও ভালো জানে ঐ অংশটা বাদ দিলে অনুষ্ঠান আরও বেশি ফ্লপ হতো। তারকা শিল্পীদের নাম ফলাও করে প্রচার করা হলেও তাদের নাকি বসে থাকতে হয়েছে, শিল্পীরা যদি তাদের কাঙ্ঘিত অর্থ পাওয়ার পর পারফর্ম না করেন তাতে তাদের নাখোশ হওয়ার কথা নয়। ফুয়াদের কথা বলা হলো দেখিয়ে দিন, করেন ফুয়াদ কে নিয়ে একটা অনুষ্ঠান এতে আপনারা কেমন লোকের সমাগম করতে পারবেন? আপনাদের কাছে ফুয়াদের পারফরমেন্স ভাল লাগলেও সবাই যে উপভোগ করেছে তা-কি সত্য? আমি শিল্পী ফুয়াদের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই- একেক জনের কাছে একেক শিল্পী জনপ্রিয়, তাইতো আপনাদের অনেক শিল্পীর ছবি বিজ্ঞাপনে দিয়েছেন কই শুধুমাত্র ফুয়াদের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিলেন না কেন?
আর বিষয় ভিত্তিক আলোচনার কথা বলা হয়েছে। আমিতো যাইনি। তবে বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এ ধরনের অনুষ্ঠানে ১০/১২ জনের বেশি থাকে না, অনুষ্ঠানে হয়তো ২/১টি ব্যতিক্রম হতে পারে, এলামনাইদের নিয়ে অনুষ্ঠান কই সেখানে তো ঢাকা/চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও আয়োজকদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তাদের বন্ধু বান্ধবকে পাওয়া গেছে। ফটোসেশনে বন্ধু-বান্ধবদের দেখে আমার তাই মনে হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে কাব্য জলসা ভালো হয়েছে। জানিনা সেখানে ফ্যামিলী ক্রাইসিস নাট্যকার পারভেজ-এর মতো কবি ছিলেন, না খ্যাতিমানরা ছিলেন। তবে আমরা যারা অনেকে ছোটখাটো কবিতা লিখি তাদের জন্য এটা যে বিনোদন ছিল তা বলতে দ্বিধা নেই। লিখতে গেলে বা বলতে গেলে আরও আরও অনেক কিছু বলা যায়। অহমিকা আর অহংকার দুটোই যেকোন সাংগঠনিক ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর। নিন্দুকেরা কিছু বললে সেটাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলে হবে না, বুঝতে হবে। তাইবলে সমালোচনা করার পক্ষে আমি নই আর ফোবানাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, আর যদি এটা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে তবে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। যেখানে কট্ররের কোন স্থান নেই একইভাবে ধর্মীয় আঘাতের উপর আক্রমনও সহ্য করা হয় না। তাই বিশ্ব দরবারে মডারেট কান্ট্রি বলা হয়। তাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মানুষগুলোই যদি হাফপ্যান্ট পরে হোটেলের লবিতে হাটে বা কপালে বিশাল আকার টিকা দিয়ে তাতে আধুনিকতার বুলি আওড়ান তবে নতুন প্রজন্মের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আধুনিকতার মাঝে বেহায়াপনা, সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি কিছুতেই কাম্য নয়। তার সাথে আরও মাত্রা যোগ হয় যখন মধ্যরাতে হোটেলে পানীয় পান করে একে অপরের প্রতি তীর্যক বাক্য ছুড়েন। আমি বলছিনা আপনি বা আপনারা এগুলো করছেন। আমাদের বুঝতে হবে আমরা বাংলাদেশী মুসলমান, আমাদের সন্তান সেভাবে গড়ে উঠবে। বিতর্কিত কার্যক্রম এদেশে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কনফিউমড হয়ে যায়। এমনিতেই বহু সংস্কৃতিতে তাদের যুদ্ধ করতে হয়। তার উপর নিজেদের সংস্কৃতির ভিন্ন অভয়ে কি উত্তর দিবেন তাদের। নাসাউ কলসিয়ামে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর আলোচনা হয়েছে। এটা আমেরিকার রাষ্ট্র প্রধানকেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারতো রাজনীতি করছেন না। আপনারা কেন এটা করবেন? আপনারা যদি পবিত্র কোরআনের আলোকে যে কোন একটি দিক নিয়া একটা পর্ব উপস্থাপন করতেন তবে কি ক্ষতি হতো? আপনার সন্তানকে জিজ্ঞাসা করুন, না কবর দিবে, নাকি অন্যকিছু? তাদের কিছুটা জ্ঞান দিতে হবে। সময় থাকতে ধর্ম নিয়া যেমন বাড়াবাড়ী করা ঠিক না, তেমনী ধর্মকে বাদ দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে প্রস্তাব রইল যদি মুসলিম সংস্কৃতি বাইপাস বা অস্বীকার করা হয় ফোবানা-তে তবে সেক্ষেত্রে ‘ফেডারেশন অব বাঙালী এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা’ হওয়া উচিৎ।
লেখক: কো কনভেনর হোস্ট কমিটি, লস এঞ্জেলেল ফোবানা ২০১৪