প্রবাসে বাংলাদেশী সংগঠনগুলো সহায়ক ভুমিকা পালন করছে কি ?
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৫
- / ১০০৫ বার পঠিত
রুমী কবির: আমার এক বন্ধু সেদিন আমাকে পেয়ে কিছু মনকষ্টের কথা বলছিলেন। তাঁর প্রসঙ্গ ছিল এখানকার গড়ে উঠা বাংলাদেশী সংগঠনগুলোর সেবা কর্ম নিয়ে। তাঁর সরাসরি প্রশ্ন ছিলঃ প্রবাসী বাংলাদেশীদের চাহিদা মেটাতে এখানকার গড়ে উঠা সংগঠনগুলো আসলেই কি সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারছে ?
একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে তিনি বললেন, আপনি তো মাঝে মধ্যেই প্রবাসীদের নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছেন। তো, আমার এই কথাগুলো একবার তুলে ধরুন না কমিউনিটিতে ?
হ্যাঁ, আজকের এই লেখাটি মুলত আমার সেই বন্ধুটির চিন্তা-ভাবনারই প্রতিফলন বলা যেতে পারে।
বন্ধুটি তাঁর প্রত্যাশাগুলির কথা ব্যক্ত করছিলেন এইভাবেঃ
দেখুন, আমি এই প্রবাসে বাস করছি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে, এর মধ্যে আমার মেয়েটির জন্ম হল, আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে সে এখন, ও’র জন্যে শিক্ষা, উন্নত জীবন যাপনের সব রকমের ব্যবস্থা, বিনোদন, চলাফেরা, সঠিক চিন্তায় নিজেকে গড়ে তোলা এসবের কোন কিছুরই কমতি নেই। এদেশের আধুনিকতা ও প্রযুক্তির সকল ব্যবস্থাও যে ও’কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এতেও কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এরপরও যে জিনিসটা ও’ পাচ্ছে না, তা হল আমাদের বাঙালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক গৌরব গাঁথা শেখার পাশাপাশি বাংলা ভাষা শেখার কোন ব্যবস্থা। এই কাজটি তো আর অ্যামেরিকান মেইন স্ট্রিম থেকে পাওয়া যাবে না। অথচ এই প্রবাসে নন-প্রফিট অসংখ্য বাংলাদেশী সংগঠন গড়ে উঠা সত্ত্বেও কাওকেই এই কাজটি করতে দেখা যাচ্ছে না।
বন্ধুটির আরও একটি আক্ষেপ ছিল তাঁর বাবা-মার ভালো ও আনন্দময় সময় কাটানোর জন্যে কোন একটি প্ল্যাটফরম প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে। তিনি জানালেন, মানডে টু ফ্রাইডে জুড়ে পরিবারের নানা ব্যস্ততায় আমরা যেমন ব্যস্ত থাকি, সেই সাথে স্বদেশ থেকে আসা আমাদের বাবা-মা’রাও নানা কাজে আমাদেরকে সাধ্যমত সহযোগিতা করছেন, কিন্তু এরপরও তাঁরা কোন না কোনভাবে নিঃসঙ্গ বোধ করেন, নস্টালজিয়া এসে ভর করলে মাঝে মাঝে নিঃশব্দে চোখের পানিও ফেলেন, ফেলে আসা নিজেদের সংসারের জন্য আফসোস করেন। আবার কখনো যদি অন্য বাড়ির একই বয়েসী কাউকে ফোনে কিংবা সরাসরি দেখা মিলে, তখন যারপরনেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন তাঁরা। ছেলে-মেয়ে নাতিদের সাথে একসাথে থাকার আগ্রহটাও তখন আরও বেড়ে যায়।
বন্ধুটির কথা হল, আমরা যদি স্থায়ীভাবে এমন একটা বাড়ি বা মিলনায়তন প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যেখানে শুধুই এইসব অভিভাবকগণ যার যার সাধ্য ও সময়মত একত্র হয়ে পুরো উইকএন্ড জুড়ে আনন্দময় সময় কাটাবেন। সেখানে থাকবে বুড়ো-বুড়িদের স্বস্তির সম্মিলনী আড্ডা, পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ, সময় সময়ে কিচেনে চা বিস্কিট কিংবা স্পেশাল কোন রান্নার আয়োজন, যা থেকে তাঁরা পাবেন মনোবল ও অফুরন্ত নির্মল প্রাণের খোরাক। চলবে নিজেদের ভেতরকার চিন্তা-ভাবনা আদান-প্রদানের পালা।
বন্ধুটির তৃতীয় নিবেদন ছিল প্রবাসীদের সাবলম্বী করে তুলতে আর্থিক বা ব্যবসায়িক সুবিধাদি প্রদানের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে। এব্যাপারে তাঁর যুক্তিটি হল, স্বদেশ থেকে অনেক পেশাদার বাংলাদেশীই যথেষ্ট যোগ্যতা নিয়ে এদেশে আসার পর সেই প্রফেশনাল কাজ অর্জন করতে যতটুকু বাড়তি শিক্ষা বা কোর্স করা দরকার, নানা কারণে তা করতে না পেরে বছরের পর বছর ধরে ট্যাক্সি, লিমোজিন, গ্যাস স্টেশন বা রেস্টুরেন্টে কাজ করে যাচ্ছেন। এরা না পারছেন, সেই বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে, না পারছেন সেই কাজের ওপর কোন নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে। কেননা, এসবের জন্যে যে বাড়তি অর্থের প্রয়োজন, সেটা হয়তো তাঁর নেই। আর এই পরিস্থিতিতে কোন গ্রুপ বা সংগঠন যদি আর্থিক ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে পারে, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্যে নতুন করে পড়াশুনা করে প্রফেশনাল কাজ অর্জনের পরিবর্তে নিজের চলমান কাজের অভিজ্ঞতাটিকেই ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
বন্ধুটির এই বিষয়গুলো আমি নিজেও ভেবে দেখেছি। কোনটাই ফেলে দেবার মত নয়। এই সেবা কর্মগুলির সবই সম্পাদন করতে পারে আমাদের বিভিন্ন বাংলাদেশী নন- প্রফিট সংগঠনগুলো। অথচ আমাদের শহর আটলান্টা কিংবা অন্য কোন শহরগুলিতেও বাংলাদেশী সংগঠনের এজাতীয় কোন প্রকার ভুমিকা দেখি না দুই একটা ব্যতিক্রম ছাড়া।
আমার বন্ধুর ঐ তিনটি কমিউনিটি সেবা কর্মসূচির পাশাপাশি আরও দুই একটি সেবা প্রকল্পের নাম সংযোজন করা যেতে পারে, যা এখনও কোন সংগঠনকে সম্পাদন করতে দেখা যায়নি। এই যেমনঃ অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীই ভাগ্যান্বেষণে কিংবা সুন্দর স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় কোনরকমে এদেশে প্রবেশ করার পর কোন এক সময়ে অবৈধ অভিবাসী হয়ে পড়ছেন। তখন তাঁর জন্যে প্রয়োজন হয়ে পড়ে আইনগত সহায়তার জন্যে এটর্নি কিংবা ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত জরুরী সহযোগিতা। অথচ তাৎক্ষনিকভাবে সেটির কোন সুরাহা করতে না পেরে বলতে গেলে গভীর সংকটের মধ্যেই পড়ে যান। এসমস্ত প্রবাসীদের যার যার অবস্থা অনুযায়ী সহযোগিতার জন্যেও একটা আলাদা বিভাগ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকতে পারেন এইসব সংগঠনগুলিতে।
আর সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সময়ের অন্যতম চাহিদাটি এখনও আটলান্টার সংগঠনগুলো পূরণ করতে পারেনি। আর তা হল কমিউনিটি সেন্টার বা বাংলাদেশ ভবন, যেটি হলে বৃহৎ পরিসরে বাঙালীর সংস্কৃতি চর্চা থেকে শুরু করে ছোটখাটো জন্মদিন, বিয়ে সাদীর অনুষ্ঠান এমনকি বাংলা স্কুলের নির্ধারিত ক্লাস রুম, পৃথক মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ইত্যাদি সবই সমাধা করার একটা নিজস্ব পরিমন্ডল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।
আমরা অনেকেই জানি, জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতি এই কমিউনিটি সেন্টার কর্মসূচির কনসেপ্টটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সর্বপ্রথম ১৯৯৫ সালে ইকবাল-দিলুর নেতৃত্বাধীন কমিটি অগ্রযাত্রা শুরু করেছিল এবং সেটিকে বেগবান করেছিল ড. আওয়াল ডি খানের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এরপর দীর্ঘ সময়েও এটির কোন অগ্রগতি সাধিত হয়নি। তবে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছিল ২০০৯-১০ সাল মেয়াদের নাদিরা-জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন কমিটি একটি বাড়ি ক্রয়ের মাধ্যমে। অথচ দুর্ভাগ্য আমাদের এখানেই যে, বাড়িটি কমার্শিয়াল জোনে না থাকার কারণে এটি এখন কমিউনিটির জন্যে মূল্যহীন হয়ে পড়ে আছে। নাদিরার কমিটির পর মাহমুদ আব্বাস ও নজরুলের কমিটি দুই বছর মেয়াদ শেষ করেছে। এরপর জাহাঙ্গীর ও পারভেজের নেতৃত্বে আরও একটি কমিটি এলো, সেটিরও দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। অথচ সেই নিজস্ব বাড়িটির কোন সুরাহাই আজ পর্যন্ত হয়নি। অথচ এই বাড়িটি কেনার সময় বাংলাদেশীদের টেলিফোনে, ই-মেইলে, ঘরে ঘরে ধন্না দিয়ে কতভাবেই না নাদিরা রহমান অর্থ সংগ্রহ করে এই সুবিশাল কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন। আর এখন সেই অর্থ, সেই বাড়ি অকেজো হয়ে পড়ে আছে কর্তৃপক্ষের দেয়া বিধিনিষেধ জারীর ফলে। এর চাইতে দুঃখ জনক ঘটনা আর কি হতে পারে প্রায় বিশ হাজার বাংলাদেশীর এই জর্জিয়া রাজ্যে ! আমরা জানি, নির্বাচনের সময় এটিই ছিল প্রধান এজেন্ডা এই কমিটির নির্বাচনী ইশতেহারে।
অথচ এটিকে বিক্রী করে আমাদের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে আরও বৃহৎ আকারের জমি ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবনের কর্মসূচীটি সম্পাদন করে একটি সত্যিকারের কল্যাণমূলক সেবা কর্মসূচী সম্পন্ন পারতো কার্যকরী কমিটি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা এভাবেই এক পা এগিয়ে সফলতার সিঁড়িতে গেলেও আবার পর পরই দুই পা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমার ধারনা, কখনো এধরণের কোন বড় কাজে বাংলাদেশিদের কাছে ডোনেশন চাইতে গেলে তিনি বা তাঁরা কম করে হলেও দশবার ভেবে দেখবেন, কষ্ট করে উপার্জন কররা অর্থ আবারও দেবেন কিনা, যদি সেটি কোন কাজেই না লাগে।
সত্যিকার অর্থে আমাদের কমিউনিটিতে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী সংগঠন রয়েছে। তার মধ্যে জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতিকেই শুরু থেকে মূল সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে আসছেন প্রবাসীরা এবং এই সংগঠনটি বাংলাদেশের বিশেষ দিবসগুলি উদযাপন করা থেকে শুরু করে বনভোজন, মাঝে-মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা কিংবা কোন প্রবাসীর জীবনাবসানে মরদেহের প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালনে কিংবা ভ্রাম্যমান দূতাবাসের কর্মসূচিতে সহযোগিতাসহ এজাতীয় নানা কাজে সফলতা আনয়ন ও ব্যস্ত সময় কাটালেও বাংলাদেশীদের বর্তমান সময়ের চাহিদার আলোকে এধরনের সেবা প্রকল্পগুলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ এজেন্ডা হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারই জরুরী বলে আজ অনেকেই মনে করেন। অথচ দৃশ্যত আজকের দিনে অধিকাংশ সংগঠন গড়েই উঠছে শুধুমাত্র নাচ, গান আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলির জন্যে। অবশ্য কোন কোন সংগঠন বিশেষ কোন এজেন্ডাকে বাস্তবায়নের জন্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং সেই অনুযায়ী কাজও করে থাকে। সেক্ষেত্রে সেইসব সংগঠনের কাছ থেকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা কমিউনিটি কল্যাণমূলক সংগঠনগুলির মত এধরনের সেবা প্রত্যাশা করা সমুচীন হবে না। কাজেই ঘুরে ফিরে প্রবাসীরা জর্জিয়া সমিতি বা এজাতীয় সংগঠনগুলির দিকেই আশার আলো খুঁজতে থাকেন। আর সেটি না পেলে একজন অসহায় প্রবাসী তার চাহিদা পূরণে কোথায় যাবে তখন ?
আবার কেউ কেউ আজকাল শুধু বাংলাদেশ সমিতির উপর ভরসা করে বসে থাকাটাও সমুচীন নয় বলে অভিমত প্রকাশ করছেন। তাদের মতে, একটি বাংলা স্কুল যখন জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতি স্থাপন করতে পারছে না, তো অন্যান্য সংগঠনগুলিও তো এগিয়ে আসতে পারে এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা কর্মটিকে এগিয়ে নিতে? হয়তো অনেকেই বলতে পারেন, আপনার সন্তানকে বাংলা শেখানোর দায়িত্ব তো আপনার পরিবার থেকেই পালন করতে পারেন ! সংগঠনের অপেক্ষায় আর কতদিন বসে থাকবেন?
হ্যাঁ, এই কথাটিও ফেলে দেবার নয়। আমরা নিজ নিজ পরিবার থেকে এই কাজটি শুরু করতে পারি, তবে ঐ যে কথা একটাই। আমরা এতটাই ব্যস্ত সময় কাটাই যে, এই বাড়তি দায়িত্বটুকু পালনে অক্ষমতা প্রকাশ করছি। যে কারণে আমরা অনেকেই আমাদের সন্তানদেরকে ধর্মীয় আচার,অনুশাসন, নামাজ ও কোরান শিক্ষার জন্যে প্রতি উইকএন্ডে মসজিদে পাঠাচ্ছি। আর এজন্যে আমরা প্রয়োজনে মাসে মাসে শিক্ষকের জন্যে একটি বাজেটও বরাদ্দ করে রাখছি। তো, একইভাবে যে সংগঠন বা গ্রুপ এই বাংলা শেখানোর স্কুল খোলার মহান দায়িত্বটি গ্রহন করবে, তাদের জন্যেও আমরা শিক্ষকের সম্মানী হিসেবে বাজেট বরাদ্দ করে রাখতে পারি।
কাজেই, আমার মনে হয়, হতাশ হবার কোন কারন নেই যদি বাংলাদেশি কমিউনিটির সংগঠক বা সংগঠনগুলি এইসব কমিউনিটির চাহিদাগুলি পূরণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে পারে।
আমরা লক্ষ্য করি, প্রবাসে মূল সংগঠন থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য পৃথক পৃথক সংগঠন গড়ে উঠছে ভিন্ন ভিন্ন এজেন্ডা কিংবা কখনো কখনো সংগঠকদের মধ্যকার মত-পার্থক্যের কারণে। ফলে আমাদের এই সময়ের চাহিদার আলোকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রকল্পগুলি সম্পাদন করতে কোন সংগঠনই আর এগিয়ে আসছে না। অথচ আমাদের আশেপাশেই অন্যান্য দেশের বা জাতির অভিবাসীরা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভাষাকে নতুন প্রজন্মের ভেতরে সম্পৃক্ত করতে কত কিছুই না করে যাচ্ছে ! ল্যাটিন, আইরিশ, জার্মান,আফ্রিকান,আরবীও এমনকি ভারতীয়রাও তাদের নিজেদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষায় নিজ নিজ পরিবারের বাইরে গড়ে তুলেছে নিজস্ব সংগঠনসহ নিজস্ব ভবন বা কমিউনিটি সেন্টার। এইসব কাজে তারা সব সময়ই রয়েছে ঐক্যবদ্ধ। তাহলে আমাদের মধ্যে কেন এই হতাশা, বিভক্তি আর দ্বন্দ্ব-কোন্দলের চর্চা?
কাজেই শত মত-পার্থক্য থাকার পরও এইসব কমন ইস্যুতে নতুন প্রজন্মের আত্মপরিচয় বা আইডেন্টিটি রক্ষার তাগিদেই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়া এই মুহূর্তের জন্যে খুবই জরুরী বলে মনে করি। আর তখুনি সম্ভব বাংলাদেশিদের চাহিদা পূরণে এইসব অত্যাবশ্যকীয় সেবা কর্মগুলির সঠিক বাস্তবায়ন।
রুমী কবির: কবি, লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক, আটলান্টা, জর্জিয়া।