নিউইয়র্ক ০৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ডিভোর্সের ১৩ বছর পরও কেন স্বামীর পদবি ব্যবহার করেন জয়া?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২ বার পঠিত

দুই বাংলার দর্শক নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। বয়স চল্লিশের কোঠায় পৌঁছালেও আকর্ষণীয় চেহারা ধরে রেখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই নায়িকা। অভিনয় আর নিজের রহস্যময় সৌন্দর্যের জন্য সবসময় আলোচনায় থাকেন। তবে লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী যখন শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন তখন তার নামের সঙ্গে আহসান টাইটেল ছিল না। অভিনেত্রীর নাম ছিল জয়া মাসউদ।

১৯৯৮ সালে মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজের নামের শেষে মাসউদের বদলে জুড়ে নেন আহসান। সেই থেকে তিনি ‘জয়া আহসান’ নামেই দুই বাংলায় সমাধিক পরিচিত।
বিয়ের পর সুন্দরভাবেই কেটে যায় এই দম্পতির এক যুগ। কিন্তু বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। শোনা যায়, ২০১১ সালে ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দেন জয়া। যদিও এই বিচ্ছেদের খবর নিয়ে তারা কেউই কখনো মুখ খুলেননি।

এদিকে ২০১১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে আরও ১৩ বছর। এই লম্বা সময়েও আর নতুন করে বিয়ের কথা ভাবেননি জয়া। শুধু কী তাই? নামের পাশ থেকে এখনও ‘আহসান’ পদবিটা ছেঁটে ফেলেননি জয়া।

জানা যায়, ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ পরিবারের সন্তান ফয়সাল আহসানের পুরো নাম মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ। এক যুগ ধরে ফয়সাল আহসান জয়ার স্বামী না হলেও জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখনো কেন তার নামের অংশ ধরে রেখেছেন? ভক্ত-অনুরক্তদের রয়েছে জানার কৌতূহল। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব কখনোই দেননি অভিনেত্রী।

নানা সময়ে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না’ বলে এড়িয়ে গেছেন। এছাড়া ফয়সাল আহসানের সঙ্গে কেন তার সংসার টেকেনি, তা নিয়েও কখনো মুখ খোলেননি দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী।

তবে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতাক বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়সাল আহসানরা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার পূর্বপুরুষদের হাতেই গড়ে উঠেছিল সদরঘাটে অবস্থিত দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিল। এমন একটি পরিবারের বউ হয়েছিলেন জয়া। আর তাই ডিভোর্সের পরও ‘আহসান’ পদবি নাম থেকে মুছে ফেলতে পারেননি।

এদিকে একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ফয়সাল বর্তমানে রেস্টুরেন্ট, বুটিক হাউজ ও আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়া সাবেক হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘ভ্যাটারান হকি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বলে শোনা যায়। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ডিভোর্সের ১৩ বছর পরও কেন স্বামীর পদবি ব্যবহার করেন জয়া?

প্রকাশের সময় : ০২:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দুই বাংলার দর্শক নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। বয়স চল্লিশের কোঠায় পৌঁছালেও আকর্ষণীয় চেহারা ধরে রেখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই নায়িকা। অভিনয় আর নিজের রহস্যময় সৌন্দর্যের জন্য সবসময় আলোচনায় থাকেন। তবে লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী যখন শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন তখন তার নামের সঙ্গে আহসান টাইটেল ছিল না। অভিনেত্রীর নাম ছিল জয়া মাসউদ।

১৯৯৮ সালে মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজের নামের শেষে মাসউদের বদলে জুড়ে নেন আহসান। সেই থেকে তিনি ‘জয়া আহসান’ নামেই দুই বাংলায় সমাধিক পরিচিত।
বিয়ের পর সুন্দরভাবেই কেটে যায় এই দম্পতির এক যুগ। কিন্তু বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। শোনা যায়, ২০১১ সালে ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দেন জয়া। যদিও এই বিচ্ছেদের খবর নিয়ে তারা কেউই কখনো মুখ খুলেননি।

এদিকে ২০১১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে আরও ১৩ বছর। এই লম্বা সময়েও আর নতুন করে বিয়ের কথা ভাবেননি জয়া। শুধু কী তাই? নামের পাশ থেকে এখনও ‘আহসান’ পদবিটা ছেঁটে ফেলেননি জয়া।

জানা যায়, ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ পরিবারের সন্তান ফয়সাল আহসানের পুরো নাম মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ। এক যুগ ধরে ফয়সাল আহসান জয়ার স্বামী না হলেও জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখনো কেন তার নামের অংশ ধরে রেখেছেন? ভক্ত-অনুরক্তদের রয়েছে জানার কৌতূহল। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব কখনোই দেননি অভিনেত্রী।

নানা সময়ে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না’ বলে এড়িয়ে গেছেন। এছাড়া ফয়সাল আহসানের সঙ্গে কেন তার সংসার টেকেনি, তা নিয়েও কখনো মুখ খোলেননি দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী।

তবে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতাক বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়সাল আহসানরা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার পূর্বপুরুষদের হাতেই গড়ে উঠেছিল সদরঘাটে অবস্থিত দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিল। এমন একটি পরিবারের বউ হয়েছিলেন জয়া। আর তাই ডিভোর্সের পরও ‘আহসান’ পদবি নাম থেকে মুছে ফেলতে পারেননি।

এদিকে একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ফয়সাল বর্তমানে রেস্টুরেন্ট, বুটিক হাউজ ও আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়া সাবেক হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘ভ্যাটারান হকি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বলে শোনা যায়। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ।