নিউইয়র্ক ০৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৪০-এ এসে আমার নবজন্ম হয়েছে: রুনা খান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ১০০ বার পঠিত

তিনি সিসিমপুরের রুনা খান। বিটিভিতে প্রচারিত ছোটদের অনুষ্ঠানটি তাঁকে নিয়ে গেছে খ্যাতির চূড়ায়। এরপর বহু নাটকে দেখা গেছে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে। সন্তান জন্মের পর ওজন বেড়ে যায় তাঁর। শুরু হয় রুনা খানের নতুন সংগ্রাম। ওজন কমানোর মিশনে নামেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। নিজেকে পছন্দনীয় করে তুলতে বহু কাঠখড়ও পোড়াতে হয়। বহু বছর পর অবশেষে সফল হলেন রুনা। গেল বছর ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। তবে ওজন কমানোর পর থেকে অভিনেত্রীকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা–সমালোচনাও। ওজন কমানোর পর বিভিন্ন ফটোশুট করতে শুরু করেন রুনা খান, যা একেবারেই পছন্দ হয়নি সমালোচকদের। আর সেই সমালোচনা চলছে এখন পর্যন্ত।

এত দিন সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক কথার উত্তর দিয়ে আসছিলেন অভিনেত্রী। এবার সরব হলেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের পাঠানো শাড়ি-গয়না আর বিশেষ রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণপত্রের ছবি পোস্ট করেন রুনা খান। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সেদিন অ্যাওয়ার্ড শোতে সাংবাদিকেরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “পাবলিকের নেতিবাচক কমেন্ট আপনার ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে কি না?”’ উত্তর দিতে গিয়ে রুনা বলেন, ‘ভাই, আপনাদের একটা সত্যি কথা বলি, ৪০-এ এসে আমার নবজন্ম হয়েছে…! নিচে যে ছবি-ভিডিও পোস্ট করেছি, এই ছবির ভালোবাসা শুধু গত এক-দেড় মাসে আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। যাঁরা পাঠিয়েছেন, তাঁরা বেশির ভাগই নারী উদ্যোক্তা এবং তাঁরা কেউই আমার পূর্বপরিচিত নন।’

রুনা খান আরও বলেন, ‘আমি দেশি শাড়ি ভালোবাসি বলে তাঁরা নিজেদের তৈরি জামদানি, মসলিন, মণিপুরি, সুতি, গয়না, ব্যাগ, টিপ ভালোবেসে আমাকে পাঠিয়েছেন। একেকটা ১২ হাতের শাড়িতে যে পরিমাণ ভালোবাসা আমার জন্য জড়ানো থাকে, তা ১২ কোটি কটু মন্তব্যও ধুয়ে দিতে পারে! আবার, আজ সকালেই বাড়িতে এল দেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র। দেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আজীবন স্বাধীনতা দিবস-বিজয় দিবসে সম্মানিত রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে আমার বাড়িতে আমন্ত্রণপত্র আসবে, এটা আমি কর্মগুণে অর্জন করেছি…!’

দীর্ঘ পোস্টে রুনা খান আরও জানান, ‘উদ্যোগী মানুষেরা (নারী-পুরুষনির্বিশেষে) তাঁদের মেধা-শ্রম-ভালোবাসায় তৈরি পণ্য দিয়ে সাজার জন্য যে উপহারসামগ্রী আমাকে পাঠান, সেটাও আমি কর্মগুণে অর্জন করেছি…!’ এ সময় এক বছরে খুদে বার্তায় বিশ্বের নানা প্রান্তের বাঙালিদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা, মুগ্ধতা আর প্রশংসাবার্তার কথাও স্মরণ করেন অভিনেত্রী। বলেন, সেসব বার্তা দেখলে পরশ্রীকাতরদের দল মরেই যাবেন।

সমালোচকদের কড়া বার্তা দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই ৪১ বছরের জীবনে, শুধু আমার কর্মগুণে অর্জিত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, এত সৃজনশীল মানুষের ভালোবাসা, শান্তিপূর্ণ-প্রেমময় ব্যক্তিজীবন, এত এত প্রাপ্তির মাঝে সীমাবদ্ধ মানসিকতার পরশ্রীকাতর লোকদের (সে তিনি যেই হোন না কেন) মানহীন মন্তব্যে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। এ ছাড়া ঈর্ষা দেখে সময় নষ্ট করবার মতো সময় আমার হাতে নেই! নাক অবধি ভালোবাসায় ডুবিয়ে রেখেছে আমাকে, আমার প্রিয়জনেরা, ভালোবাসায় ডুবছি-ভাসছি, জীবনে সময় বড়ই কম, বাকি সময়টুকু কর্মে আর ভালোবাসায় কাটাতে চাই…।’ সূত্র : প্রথম আলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৪০-এ এসে আমার নবজন্ম হয়েছে: রুনা খান

প্রকাশের সময় : ০১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

তিনি সিসিমপুরের রুনা খান। বিটিভিতে প্রচারিত ছোটদের অনুষ্ঠানটি তাঁকে নিয়ে গেছে খ্যাতির চূড়ায়। এরপর বহু নাটকে দেখা গেছে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে। সন্তান জন্মের পর ওজন বেড়ে যায় তাঁর। শুরু হয় রুনা খানের নতুন সংগ্রাম। ওজন কমানোর মিশনে নামেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। নিজেকে পছন্দনীয় করে তুলতে বহু কাঠখড়ও পোড়াতে হয়। বহু বছর পর অবশেষে সফল হলেন রুনা। গেল বছর ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। তবে ওজন কমানোর পর থেকে অভিনেত্রীকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা–সমালোচনাও। ওজন কমানোর পর বিভিন্ন ফটোশুট করতে শুরু করেন রুনা খান, যা একেবারেই পছন্দ হয়নি সমালোচকদের। আর সেই সমালোচনা চলছে এখন পর্যন্ত।

এত দিন সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক কথার উত্তর দিয়ে আসছিলেন অভিনেত্রী। এবার সরব হলেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের পাঠানো শাড়ি-গয়না আর বিশেষ রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণপত্রের ছবি পোস্ট করেন রুনা খান। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সেদিন অ্যাওয়ার্ড শোতে সাংবাদিকেরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “পাবলিকের নেতিবাচক কমেন্ট আপনার ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে কি না?”’ উত্তর দিতে গিয়ে রুনা বলেন, ‘ভাই, আপনাদের একটা সত্যি কথা বলি, ৪০-এ এসে আমার নবজন্ম হয়েছে…! নিচে যে ছবি-ভিডিও পোস্ট করেছি, এই ছবির ভালোবাসা শুধু গত এক-দেড় মাসে আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। যাঁরা পাঠিয়েছেন, তাঁরা বেশির ভাগই নারী উদ্যোক্তা এবং তাঁরা কেউই আমার পূর্বপরিচিত নন।’

রুনা খান আরও বলেন, ‘আমি দেশি শাড়ি ভালোবাসি বলে তাঁরা নিজেদের তৈরি জামদানি, মসলিন, মণিপুরি, সুতি, গয়না, ব্যাগ, টিপ ভালোবেসে আমাকে পাঠিয়েছেন। একেকটা ১২ হাতের শাড়িতে যে পরিমাণ ভালোবাসা আমার জন্য জড়ানো থাকে, তা ১২ কোটি কটু মন্তব্যও ধুয়ে দিতে পারে! আবার, আজ সকালেই বাড়িতে এল দেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র। দেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আজীবন স্বাধীনতা দিবস-বিজয় দিবসে সম্মানিত রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে আমার বাড়িতে আমন্ত্রণপত্র আসবে, এটা আমি কর্মগুণে অর্জন করেছি…!’

দীর্ঘ পোস্টে রুনা খান আরও জানান, ‘উদ্যোগী মানুষেরা (নারী-পুরুষনির্বিশেষে) তাঁদের মেধা-শ্রম-ভালোবাসায় তৈরি পণ্য দিয়ে সাজার জন্য যে উপহারসামগ্রী আমাকে পাঠান, সেটাও আমি কর্মগুণে অর্জন করেছি…!’ এ সময় এক বছরে খুদে বার্তায় বিশ্বের নানা প্রান্তের বাঙালিদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা, মুগ্ধতা আর প্রশংসাবার্তার কথাও স্মরণ করেন অভিনেত্রী। বলেন, সেসব বার্তা দেখলে পরশ্রীকাতরদের দল মরেই যাবেন।

সমালোচকদের কড়া বার্তা দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই ৪১ বছরের জীবনে, শুধু আমার কর্মগুণে অর্জিত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, এত সৃজনশীল মানুষের ভালোবাসা, শান্তিপূর্ণ-প্রেমময় ব্যক্তিজীবন, এত এত প্রাপ্তির মাঝে সীমাবদ্ধ মানসিকতার পরশ্রীকাতর লোকদের (সে তিনি যেই হোন না কেন) মানহীন মন্তব্যে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। এ ছাড়া ঈর্ষা দেখে সময় নষ্ট করবার মতো সময় আমার হাতে নেই! নাক অবধি ভালোবাসায় ডুবিয়ে রেখেছে আমাকে, আমার প্রিয়জনেরা, ভালোবাসায় ডুবছি-ভাসছি, জীবনে সময় বড়ই কম, বাকি সময়টুকু কর্মে আর ভালোবাসায় কাটাতে চাই…।’ সূত্র : প্রথম আলো।