নিউইয়র্ক ০২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বলিউডের প্রার্থীদের হার-জিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৩২৭ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক: ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে যিনি জয়ী হতে যাচ্ছেন, সেই শ্রীমতি ইরানি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। গত চার দশক ধরে আমেথি থেকে জয়ী হয়ে আসছেন গান্ধী পরিবারের প্রার্থীরা। হিন্দি ধারাবাহিক কিউ কি সাঁস ভি কাভি বহু থির তুলসি খ্যাত শ্রীমতি ইরানি বিজেপিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। আর বলিউড তারকা শত্রæঘœ সিনহা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিহারের পাটনা সাহিব আসনে প্রার্থী হলেও তাকে আগের দলের কাছেই হারতে হচ্ছে। তার স্ত্রী পুনম সিনহাও উত্তর প্রদেশের লক্ষেণৗ থেকে সমাজবাদী পার্টির টিকিট নিলেও সুবিধা করতে পারেননি।
এদিকে বিজেপির বিপুল জয়ের মধ্যেও হারতে চলেছেন বিজেপি প্রার্থী বলিউডের আরেক তারকা জয়াপ্রদা। তাকে হারতে হচ্ছে পুরনো দল সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর কাছে। উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর সিকরি থেকে নির্বাচন করে কংগ্রেসের ভরাডুবিতে বাড়তি যোগ হচ্ছেন রাজ বাব্বর।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাই উত্তরে কংগ্রেসের টিকিট নিয়েছিলেন রঙ্গিলা তারকা উর্মিলা মাতন্ডকার। এই আসনে হারতে যাচ্ছেন তিনিও। সঞ্জয় দত্তের বোন প্রিয়া দত্তও পাঞ্জা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে হেরেছেন।
কংগ্রেসের পাঞ্জা প্রতীক নিয়ে ভোটে নামা অধিকাংশ তারকারা হারতে চলেছেন। তবে বিজেপির টিকেট যারা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে জয়াপ্রদা বাদে অন্য সবাই জয়ের দিকে এগোচ্ছেন।
বিজেপির হয়ে জিততে যাচ্ছেন অভিনেত্রী কিরণ খেরও। আর অভিনেত্রী কাম পরিচালক হেমা মালিনি উত্তর প্রদেশের মাথুরা থেকে বিজয়ী হয়েছেন।
হেমা মালিনির অভিনেতা স্বামী ধর্মেন্দ্র প্রচারে যোগ দেয়ায় তার নির্বাচনী লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে। হেমা বলেন, গত পাঁচ বছরে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি বহু কাজ করেছেন।
অপরদিকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন অভিনেতা থেকে রাজনীতিতে আসা দীপক অধিকারী (দেব)। নিজ আসনে বিজেপির প্রার্থী ভারতী ঘোষকে হারিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজয়ী হন। দেব পেয়েছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ভারতী ঘোষ ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩ ভোট পেয়েছেন। এর আগে টালিউডের এ অভিনেতা ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইয়ের সতানত রানাকে ২ লাখ ৬০ হাজার ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্ম নেয়া দেব ‘অগ্নিশপথ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। তিনি দুই বাংলার দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যমতে, নুসরাত বিজেপি প্রার্থী স্বায়ন্ত বসুর থেকে দুই লাখ ৮২ হাজার ৯৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপির স্বায়ন্ত বসু ও কংগ্রেসের কাজী আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে লড়েছেন। গত কয়েক বছর ধরেই এ আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
নুসরাতকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই তাকে নিয়ে বিরোধী পক্ষ ব্যাপক অপপ্রচারে নামে। তাকে নিয়ে অশ্লীল ছবি বানিয়ে তা ইন্টারনেটে ট্রল করেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে নতুন আসা এই অভিনেত্রী বিজয়ী হতে যাচ্ছেন।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। তিনি প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪৯৯ ভোটে জিতেছেন। মিমির প্রাপ্ত ভোট ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯১৯ ভোট। তার বিপক্ষে দাঁড়ানো বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৪২০ ভোট। অন্যদিকে বামেদের প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য পেয়েছেন ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৭৩ ভোট৷ নোটায় ভোট দিয়েছেন ১৩ হাজার ৯২ জন। ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের মালা রায় জিতেছেন। (যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বলিউডের প্রার্থীদের হার-জিত

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯

বিনোদন ডেস্ক: ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে যিনি জয়ী হতে যাচ্ছেন, সেই শ্রীমতি ইরানি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। গত চার দশক ধরে আমেথি থেকে জয়ী হয়ে আসছেন গান্ধী পরিবারের প্রার্থীরা। হিন্দি ধারাবাহিক কিউ কি সাঁস ভি কাভি বহু থির তুলসি খ্যাত শ্রীমতি ইরানি বিজেপিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। আর বলিউড তারকা শত্রæঘœ সিনহা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিহারের পাটনা সাহিব আসনে প্রার্থী হলেও তাকে আগের দলের কাছেই হারতে হচ্ছে। তার স্ত্রী পুনম সিনহাও উত্তর প্রদেশের লক্ষেণৗ থেকে সমাজবাদী পার্টির টিকিট নিলেও সুবিধা করতে পারেননি।
এদিকে বিজেপির বিপুল জয়ের মধ্যেও হারতে চলেছেন বিজেপি প্রার্থী বলিউডের আরেক তারকা জয়াপ্রদা। তাকে হারতে হচ্ছে পুরনো দল সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর কাছে। উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর সিকরি থেকে নির্বাচন করে কংগ্রেসের ভরাডুবিতে বাড়তি যোগ হচ্ছেন রাজ বাব্বর।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাই উত্তরে কংগ্রেসের টিকিট নিয়েছিলেন রঙ্গিলা তারকা উর্মিলা মাতন্ডকার। এই আসনে হারতে যাচ্ছেন তিনিও। সঞ্জয় দত্তের বোন প্রিয়া দত্তও পাঞ্জা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে হেরেছেন।
কংগ্রেসের পাঞ্জা প্রতীক নিয়ে ভোটে নামা অধিকাংশ তারকারা হারতে চলেছেন। তবে বিজেপির টিকেট যারা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে জয়াপ্রদা বাদে অন্য সবাই জয়ের দিকে এগোচ্ছেন।
বিজেপির হয়ে জিততে যাচ্ছেন অভিনেত্রী কিরণ খেরও। আর অভিনেত্রী কাম পরিচালক হেমা মালিনি উত্তর প্রদেশের মাথুরা থেকে বিজয়ী হয়েছেন।
হেমা মালিনির অভিনেতা স্বামী ধর্মেন্দ্র প্রচারে যোগ দেয়ায় তার নির্বাচনী লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে। হেমা বলেন, গত পাঁচ বছরে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি বহু কাজ করেছেন।
অপরদিকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন অভিনেতা থেকে রাজনীতিতে আসা দীপক অধিকারী (দেব)। নিজ আসনে বিজেপির প্রার্থী ভারতী ঘোষকে হারিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজয়ী হন। দেব পেয়েছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ভারতী ঘোষ ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩ ভোট পেয়েছেন। এর আগে টালিউডের এ অভিনেতা ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইয়ের সতানত রানাকে ২ লাখ ৬০ হাজার ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্ম নেয়া দেব ‘অগ্নিশপথ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। তিনি দুই বাংলার দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যমতে, নুসরাত বিজেপি প্রার্থী স্বায়ন্ত বসুর থেকে দুই লাখ ৮২ হাজার ৯৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপির স্বায়ন্ত বসু ও কংগ্রেসের কাজী আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে লড়েছেন। গত কয়েক বছর ধরেই এ আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
নুসরাতকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই তাকে নিয়ে বিরোধী পক্ষ ব্যাপক অপপ্রচারে নামে। তাকে নিয়ে অশ্লীল ছবি বানিয়ে তা ইন্টারনেটে ট্রল করেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে নতুন আসা এই অভিনেত্রী বিজয়ী হতে যাচ্ছেন।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। তিনি প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪৯৯ ভোটে জিতেছেন। মিমির প্রাপ্ত ভোট ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯১৯ ভোট। তার বিপক্ষে দাঁড়ানো বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৪২০ ভোট। অন্যদিকে বামেদের প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য পেয়েছেন ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৭৩ ভোট৷ নোটায় ভোট দিয়েছেন ১৩ হাজার ৯২ জন। ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের মালা রায় জিতেছেন। (যুগান্তর)