হোয়াইট হাউসের সামনে মেট্রো ওয়াশিংটন আ. লীগের প্রতিবাদ : স্মারকলিপি প্রদান
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
- / ৪৪৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রিয়া সাহার তথা কথিত ‘মিথ্যা অভিযোগ’-এর প্রতিবাদে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ হোয়াইট হাউজের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সমাবেশ শেষে ট্রাম্প প্রশাসন বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়েছে বলে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে জানা গেছে। খবর ইউএনএ’র।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিস্থ হোয়াইট হাউসের সামনে গত ২২ জুলাই সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলে এবং সমাবেশ শেষে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। সমাবেশে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন, সহ-সভাপতি আজাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক এম নবী বাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল, সদস্য আলমগীর, রিমন, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এম রবিউল ইসলাম রাজু, সাধারণ সম্পাদক সর্বজিৎ দাস তূর্য, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান, সহ-সভাপতি আবু সিদ্দিক সাজ, সদস্য সেতু, বাগডিসি’র সভাপতি সালাউদ্দিন, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফেরাম যুক্তরাষ্ট্র-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশকারীরা ব্যানার হাতে প্রতিবাদ জানায় এবং বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার এবং শাস্তি দাবী জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের বুকে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। দেশের এই ভাবমূর্তিকে কুলষিত করতে তথাকথিত প্রিয়া সাহা যে নির্জলা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে তারই বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ সমাবেশ। এই সমাবেশের মাধ্যমে আমরা ট্রাম প্রশাসনকে জানাতে চাই যে, দু-চারটি কুচক্রীর কাছে আমরা মাথানত করবো না। বক্তারা মেট্রো ওয়াশিংটনে বসবাসরত দেশপ্রেমিক প্রতিটি সচেতন নাগরিককে ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে স্বত:স্ফূর্তভাবে প্রিয়া সাহার মিথ্যাচারের জবাব দেয়ার উদাত্ত আহবান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেছেন যে, ‘বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু গুম হয়েছে। এমনকি তার নিজের বাড়িতেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তার ভিটে-মাটিও দখলে নিয়েছে।’ তার এই বক্তব্যে দেশ ও প্রবাসে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবাদের ঝড় উঠে।