নিউইয়র্ক ০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে ক্যাপিটেল হিলের সামনে বিক্ষোভ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২৭৮ বার পঠিত

ওয়াশিংটন: বাংলাদেশের প্রাচীনতম সংবাদপত্র দৈনিক সংগ্রাম-এর সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল আসাদের মুক্তি, সংগ্রাম অফিস ভাঙচুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভিপি নূরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা এবং বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ওয়াশিংটনস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ওয়াশিংটন ক্যাপিটেল হিলের সামনে গত ১ জানুয়ারী ‘ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি রাইটস ইন বাংলাদেশ’ (এফডিআরবি) এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের বক্তব্য রাখেন হাসনাত সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মান্না, আবু বকর সিদ্দিক, মাহমুদুল কবির। পরিচালনা করেন আহসানুর রহমান।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, একজন বয়োবৃদ্ধ প্রবীণ সম্পাদকের উপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা যে অসভ্য ও ববর্রতার পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ’ নামক সংগঠনের আড়ালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেআইনিভাবে দৈনিক সংগ্রাম অফিস ঘেরাও করে রাখে। কিন্তু পুলিশ একটি গণমাধ্যমের অফিসের নিরাপত্তায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে সন্ধ্যার দিকে সংগ্রাম অফিসে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় অফিসে থাকা দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু পরে এসে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো আক্রান্ত সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছে। এতটা সময় নিয়ে হামলা ও পুলিশের দায়িত্বহীন আচরণে প্রমাণ হয় এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের ইশারাতেই করা হয়েছে। একটি গণমাধ্যমের অফিসে এমন পরিকল্পিত হামলা ফ্যাসিবাদী সরকারের বিকৃত রূপকে জাতির সামনে আরেকবার উন্মোচন করল। কোন সভ্য সমাজ বা দেশে এ ববর্রতা কল্পনাও করা যায় না। সরকার ও পুলিশের সরাসরি মদদের ফলে অসভ্যতা ও ববর্রতার নজিরবিহীন তান্ডব চালাচ্ছে আওয়ামী অভিশপ্ত সন্ত্রাসীরা। আমরা ছদ্মবেশী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর বর্বর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেছিল। কিন্তু সেটার কোন বিচার হয়নি। এসব হামলা শুধু নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর নয় বরং দেশের পুরো গণমাধ্যমের উপর হয়েছে। আমরা অবিলম্বে প্রবীন সাংবাদিক আবুল আসাদের মুক্তি ও হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত বিচারের দাবী জানান।
তারা বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারের হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নামে আরো বেপয়ারা হয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। ডাকসু কক্ষে বাতি নিভিলে পিটিয়ে ডাকসু ভিপি নুরকে আহত করেছে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নামে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ডাকসু ভবনের জানালার গ্লাস, ভিপির কক্ষের কম্পিউটার, চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলা হয় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুজনকে।
তারা বলেন, নুর গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছে। যা অসত্য, মিথ্যা তার প্রতিবাদ করেছে। দেশে গণতন্ত্র হত্যা করা হলে কি প্রতিবাদ করা যাবে না? এটাই কি আমাদের স্বাধীন দেশ। নুরদের কারণেই দেশ থেকে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, অন্যায় দূর হবে। সেই ভয় থেকেই সরকার নুরদের ওপর বারবার নির্যাতন করেছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে ক্যাপিটেল হিলের সামনে বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০

ওয়াশিংটন: বাংলাদেশের প্রাচীনতম সংবাদপত্র দৈনিক সংগ্রাম-এর সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল আসাদের মুক্তি, সংগ্রাম অফিস ভাঙচুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভিপি নূরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা এবং বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ওয়াশিংটনস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ওয়াশিংটন ক্যাপিটেল হিলের সামনে গত ১ জানুয়ারী ‘ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি রাইটস ইন বাংলাদেশ’ (এফডিআরবি) এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের বক্তব্য রাখেন হাসনাত সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মান্না, আবু বকর সিদ্দিক, মাহমুদুল কবির। পরিচালনা করেন আহসানুর রহমান।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, একজন বয়োবৃদ্ধ প্রবীণ সম্পাদকের উপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা যে অসভ্য ও ববর্রতার পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ’ নামক সংগঠনের আড়ালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেআইনিভাবে দৈনিক সংগ্রাম অফিস ঘেরাও করে রাখে। কিন্তু পুলিশ একটি গণমাধ্যমের অফিসের নিরাপত্তায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে সন্ধ্যার দিকে সংগ্রাম অফিসে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় অফিসে থাকা দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু পরে এসে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো আক্রান্ত সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছে। এতটা সময় নিয়ে হামলা ও পুলিশের দায়িত্বহীন আচরণে প্রমাণ হয় এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের ইশারাতেই করা হয়েছে। একটি গণমাধ্যমের অফিসে এমন পরিকল্পিত হামলা ফ্যাসিবাদী সরকারের বিকৃত রূপকে জাতির সামনে আরেকবার উন্মোচন করল। কোন সভ্য সমাজ বা দেশে এ ববর্রতা কল্পনাও করা যায় না। সরকার ও পুলিশের সরাসরি মদদের ফলে অসভ্যতা ও ববর্রতার নজিরবিহীন তান্ডব চালাচ্ছে আওয়ামী অভিশপ্ত সন্ত্রাসীরা। আমরা ছদ্মবেশী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর বর্বর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেছিল। কিন্তু সেটার কোন বিচার হয়নি। এসব হামলা শুধু নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর নয় বরং দেশের পুরো গণমাধ্যমের উপর হয়েছে। আমরা অবিলম্বে প্রবীন সাংবাদিক আবুল আসাদের মুক্তি ও হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত বিচারের দাবী জানান।
তারা বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারের হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নামে আরো বেপয়ারা হয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। ডাকসু কক্ষে বাতি নিভিলে পিটিয়ে ডাকসু ভিপি নুরকে আহত করেছে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নামে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ডাকসু ভবনের জানালার গ্লাস, ভিপির কক্ষের কম্পিউটার, চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলা হয় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুজনকে।
তারা বলেন, নুর গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছে। যা অসত্য, মিথ্যা তার প্রতিবাদ করেছে। দেশে গণতন্ত্র হত্যা করা হলে কি প্রতিবাদ করা যাবে না? এটাই কি আমাদের স্বাধীন দেশ। নুরদের কারণেই দেশ থেকে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, অন্যায় দূর হবে। সেই ভয় থেকেই সরকার নুরদের ওপর বারবার নির্যাতন করেছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।