নিউইয়র্ক ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশে নর্থ ক্যারোলিনায় পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৮৩৩ বার পঠিত

রালী (নর্থ ক্যারোলিনা) থেকে ইউএনএ: যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফাস্ট ফ্লাইট’ খ্যাত অন্যতম অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলিনায় ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশে নর্থ ক্যারোলিনায় পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে। এই রাজ্যের অধিকাংশ স্থানে ২১ আগষ্ট মঙ্গলবার ঈদুল আযহা পালিত হলেও কোথাও কোথাও ২২ আগষ্ট বুধবার ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে। তবে অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশীরা মঙ্গলবার ঈদ পালন করেছেন। ইসলামিক এসোসিয়েশন অব রালী (আইএআর) প্রতিষ্ঠিত অন্যতম জামে মসজিদ আইএআর মসজিদে ঈদুল আযহার তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক নর-নারী সপরিবারে ঈদের নামাজ আদায় করেন। উল্লেখ্য, রলি নর্থ ক্যারোলিনার রাজধানী আর এই রাজ্যের রালী, ডুরহাম, ক্যারি, মরিস ভিল, ফেইডভিল প্রভৃতি শহরে তিন শতাধিক বাংলাদেশী পরিবারের বসবাস। খবর ইউএনএ’র।
নর্থ ক্যারোলিনা ষ্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত আইএআর মসজিদে ঈদুল আযহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এরপর সকাল ৯টা এবং ১১টায় যথাক্রমে ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে একত্রে ৫ হাজার মুসল্লী নামাজ অঅদায় করতে পারেন। রং বে রং এর বাহারী পোষাক পরে শিশু-কিশোর-কিশোরী থেকে সর্বস্তরের নর-নারী ঈদের জামাতে শরীক হয়ে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দল-মত নির্বিশেষে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রতিটি জামাত শেষে মসজিদ ক্যাম্পাসেই শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য ফ্রি ছিলো নানা ধরনের খাবার আর বেলুন বিতরণ। ঈদের জামাত শেষে অনেকে মুসল্লীরা গ্রোসারীর মাধ্যমে আর ফার্ম থেকে কুরবানী দেন। এজন্য ঈদের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত অনেককেই ফার্মে অপেক্ষা করতে হয় কোরবানী সম্পন্ন করতে। বিশেষ করে যারা গরু কোরবানী দেন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ফার্মে অপেক্ষা করে কোরবানীর মাংস নিয়ে বাসায় ফিরেন।
ঈদুল আযহার নামাজ শেষে বিকেলে নর্থ ক্যারোলিনার ক্লাটন সিটির ‘এ-ওয়ান কাস্টম মিটস এলএলসি’ ফার্মে গিয়ে দেখা যায় সেখানে দেশী-বিদেশী যারা খাসী কোরবানী দিয়েছেন তারা লাইন ধরে কোরবানীর মাংস সংগ্রহ করে বাড়ী ফিরছেন। আর সন্ধ্যর ৭টার পর থেকে গরু কোরবানীর পর মাংস সংগ্রহ শুরু হয়। সরজমিনে ‘এ-ওয়ান কাস্টম মিটস এলএলসি’ ফার্ম পরিদর্শনকালে দেখা যায় বিশাল এই ফার্মে প্রচুর গরু খাসী-ছাগল মজুদ রয়েছে। ফার্মে কোরবানীর কাজে সহায়তার জন্য ৫/৬জন স্টাফ অবিরাম কাজ করে চলেছে। তারা মেশিনে মাংস কেটে সিরিয়াল নম্বর ধরে কোরবানীদাতার নম্বর ডেকে ডেকে মাসং বুঝিয়ে দিচ্ছেন। দেখা গেলো ১০/১২জন প্রবাসী বাংলাদেশীরা ফার্মের সামনে অপেক্ষা করছেন গরু কোরবানীর জন্য। তারা কয়েকজন মিলে-মিশে গরু কোরবানী দিচ্ছেন। কোরবানীদাতারা তাদের গাড়ীর সাথে মাংস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সাথে নিয়ে আসার পাশাপাশি কেউ কেউ তাদের ছেলে-মেয়েদেরও সাথে নিয়ে আসেন। কোরবানী হতে সময় লাগবে ভেবেই কেউ কেউ তাদের শরীকদের কথা ভেবে চা-কফি, বিস্কুট আর চটপটি সাথে নিয়ে এসে ভাগাভাগী করে খাচ্ছেন আর গল্প-গুজব করে সময় পার করেন। এছাড়াও বিকেলে বা সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা একে অপরের বাসায় গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশে নর্থ ক্যারোলিনায় পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত

প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৮

রালী (নর্থ ক্যারোলিনা) থেকে ইউএনএ: যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফাস্ট ফ্লাইট’ খ্যাত অন্যতম অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলিনায় ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশে নর্থ ক্যারোলিনায় পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে। এই রাজ্যের অধিকাংশ স্থানে ২১ আগষ্ট মঙ্গলবার ঈদুল আযহা পালিত হলেও কোথাও কোথাও ২২ আগষ্ট বুধবার ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে। তবে অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশীরা মঙ্গলবার ঈদ পালন করেছেন। ইসলামিক এসোসিয়েশন অব রালী (আইএআর) প্রতিষ্ঠিত অন্যতম জামে মসজিদ আইএআর মসজিদে ঈদুল আযহার তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক নর-নারী সপরিবারে ঈদের নামাজ আদায় করেন। উল্লেখ্য, রলি নর্থ ক্যারোলিনার রাজধানী আর এই রাজ্যের রালী, ডুরহাম, ক্যারি, মরিস ভিল, ফেইডভিল প্রভৃতি শহরে তিন শতাধিক বাংলাদেশী পরিবারের বসবাস। খবর ইউএনএ’র।
নর্থ ক্যারোলিনা ষ্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত আইএআর মসজিদে ঈদুল আযহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এরপর সকাল ৯টা এবং ১১টায় যথাক্রমে ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে একত্রে ৫ হাজার মুসল্লী নামাজ অঅদায় করতে পারেন। রং বে রং এর বাহারী পোষাক পরে শিশু-কিশোর-কিশোরী থেকে সর্বস্তরের নর-নারী ঈদের জামাতে শরীক হয়ে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দল-মত নির্বিশেষে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রতিটি জামাত শেষে মসজিদ ক্যাম্পাসেই শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য ফ্রি ছিলো নানা ধরনের খাবার আর বেলুন বিতরণ। ঈদের জামাত শেষে অনেকে মুসল্লীরা গ্রোসারীর মাধ্যমে আর ফার্ম থেকে কুরবানী দেন। এজন্য ঈদের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত অনেককেই ফার্মে অপেক্ষা করতে হয় কোরবানী সম্পন্ন করতে। বিশেষ করে যারা গরু কোরবানী দেন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ফার্মে অপেক্ষা করে কোরবানীর মাংস নিয়ে বাসায় ফিরেন।
ঈদুল আযহার নামাজ শেষে বিকেলে নর্থ ক্যারোলিনার ক্লাটন সিটির ‘এ-ওয়ান কাস্টম মিটস এলএলসি’ ফার্মে গিয়ে দেখা যায় সেখানে দেশী-বিদেশী যারা খাসী কোরবানী দিয়েছেন তারা লাইন ধরে কোরবানীর মাংস সংগ্রহ করে বাড়ী ফিরছেন। আর সন্ধ্যর ৭টার পর থেকে গরু কোরবানীর পর মাংস সংগ্রহ শুরু হয়। সরজমিনে ‘এ-ওয়ান কাস্টম মিটস এলএলসি’ ফার্ম পরিদর্শনকালে দেখা যায় বিশাল এই ফার্মে প্রচুর গরু খাসী-ছাগল মজুদ রয়েছে। ফার্মে কোরবানীর কাজে সহায়তার জন্য ৫/৬জন স্টাফ অবিরাম কাজ করে চলেছে। তারা মেশিনে মাংস কেটে সিরিয়াল নম্বর ধরে কোরবানীদাতার নম্বর ডেকে ডেকে মাসং বুঝিয়ে দিচ্ছেন। দেখা গেলো ১০/১২জন প্রবাসী বাংলাদেশীরা ফার্মের সামনে অপেক্ষা করছেন গরু কোরবানীর জন্য। তারা কয়েকজন মিলে-মিশে গরু কোরবানী দিচ্ছেন। কোরবানীদাতারা তাদের গাড়ীর সাথে মাংস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সাথে নিয়ে আসার পাশাপাশি কেউ কেউ তাদের ছেলে-মেয়েদেরও সাথে নিয়ে আসেন। কোরবানী হতে সময় লাগবে ভেবেই কেউ কেউ তাদের শরীকদের কথা ভেবে চা-কফি, বিস্কুট আর চটপটি সাথে নিয়ে এসে ভাগাভাগী করে খাচ্ছেন আর গল্প-গুজব করে সময় পার করেন। এছাড়াও বিকেলে বা সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা একে অপরের বাসায় গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।