ওয়াশিংটনে জ্ঞানবাহন শীর্ষক প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত
- প্রকাশের সময় : ০১:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯
- / ৩৪১ বার পঠিত
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিশেষ প্রতিনিধি: ওয়াশিংটন ডিসির ভার্জিনিয়ায় ‘জ্ঞানবাহন’ শীর্ষক প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা নামে মতবিনিময় এক সভা হয়েছে। গত ২৪ জুন রোববার সন্ধায় জ্ঞানবাহন-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. বদরুল হুদা খানের নিজ বাসভবন ভার্জিনিয়ায় খান বাগানে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদুত হ্যারী কে টমাস সহ কমিউনিটির গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা অনুষ্ঠানে ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদ ড. বদরুল হুদা খান ও জ্ঞানবাহন-এর এডুকেশনাল কোওর্ডিনেটর আমেনা শাহিন উপস্থিত দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
জ্ঞানবাহন হচ্ছে সাধারণ বহন মতোই, তবে এই বাহনে যাতায়াত করতে করতে শেখাও যায়। এসব গাড়িতে যুক্ত আছে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয় উপকরণ। রয়েছে কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ওয়েবক্যাম, সাউন্ড সিস্টেম। বাহনটির ভেতরটাকে অনেকটি ঘরের কাঠামো দেওয়া হয়েছে। শেখানো হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, হাতের কাজ, সাধারণ আইনসহ জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন বিষয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ন্যূনতম শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন ড. বদরুল হুদা খান।
জ্ঞানবাহন নিয়ে মানুষের প্রশ্নের কৌতুহল মেটাতে আয়োজিত প্রশ্নের জবাবে বদরুল হুদা বলেন, জ্ঞান বাহনের একজন ড্রাইভার থাকবে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি। সে যেখানে যাবে মানুষের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করবে। তিনি বলেন, জ্ঞানবাহনের ড্রাইভারকে নানাধরণের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তাদেরকে আনলাইনের ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ও শিক্ষা প্রদান করা হবে। তবে শিক্ষাই পাশাপাশি চা-আড্ডার ব্যবস্থাও থাকবে জ্ঞান বাহনে।
বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, জ্ঞানবাহনে গ্রামের মতো একটা পরিবেশ বিরাজ করবে। তবে তার ভিতরেই মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হবে। জ্ঞান বাহরে সকল ধরণের তথ্য থাকবে, সেখান থেকে শিখতে পারবে মানুষ। এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, একটি টিভি চ্যানেলে সারা বিশ্বে প্রতিনিধি দেয়া সম্ভব না। কিন্তু আমি আশাবাদী এই ‘জ্ঞান বাহন’ সারাবিশ্বে প্রতিটি কোনায় কোনায় এর জ্ঞান বাহক পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য সাবেক রাষ্ট্রদুত হ্যারীকে টমাস বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক আন্তরিক ও হেল্পফুল। দেশটি আগের থেকে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সবক্ষেত্রে খুব দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে। আমি বাংলাদেশকে কখনো ভুলতে পারবো না। এসময় তিনি ড. বদরুল হুদার জ্ঞান বাহনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
জ্ঞান বাহনের প্রশংসা করে সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, জ্ঞান বাহনটি হচ্ছে আমার কাছে মনে হয় সচেতনতার এক ম্যাসেজ। এটা সামাজিক আন্দোলনও বটে। তিনি এসময় পরামর্শ দিয়ে বলেন, যে সমস্ত গ্রামের জ্ঞান বাহন যাচ্ছে, সেখানে পুথিগত বিদ্যার বাহিরে মানুষকে শিখাতে হবে। সবমিলিয়ে জ্ঞান বাহন এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশাই রইলো।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন বাংলাদেশ বেতার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রধান প্রযোজক এ.কে.ম আসাদুজ্জামান, এনটিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার মুমতাহিনা রিতু ও ভয়েস অফ আমেরিকায় কর্মরত সাবরিনা চৌধুরী ডোনা।
প্রশ্ন উত্তর পর্বের মাঝে মাঝে গান গেয়ে অনুষ্ঠানকে বিনোদনময় করে রাখেন বদরুল হুদার সহধর্মীনি ড. সিমা খান।