নিউইয়র্ক ১২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রত্যাখান করে এবং নিন্দা জানায়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • / ৪২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: “সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে”। গত ৭ অক্টোবর বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের উপায়’ শীর্ষক জাতিসংঘের এক প্লেনারি সভায় বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এ প্রসঙ্গে তিনি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্নমূখী কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী সকল আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের সাথে যুক্ত। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী আইন-২০১২’ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯’ প্রণয়নসহ ব্যাপকভিত্তিক প্রয়াস গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস দমনে ‘সমগ্র সমাজ কেন্দ্রিক’ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি, কমিউনিটির অংশগ্রহণ, সন্ত্রাস প্রতিরোধ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার সামর্থ্য বৃদ্ধিসহ জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য ২০০৬ সালে গৃহীত ‘জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল’-কে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান ধারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং জাতিসংঘ সন্ত্রাস দমন কৌশলে যে সকল বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা বাস্তবায়নার্থে উদ্ভাবনী সমাধানের সন্ধান করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং এসকল প্রবণতা নির্মূল করার লক্ষে চলমান ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ক ব্যাপকভিত্তিক কনভেনশন’ অতিদ্রæত সম্পন্ন করার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাÐ মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্ভরযোগ্য অংশীজন হিসেবে থাকবে মর্মে প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
কোভিড-১৯ এর কারণে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এই সভা সংক্ষিপ্ত আকারে এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রত্যাখান করে এবং নিন্দা জানায়

প্রকাশের সময় : ১০:০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

নিউইয়র্ক: “সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে”। গত ৭ অক্টোবর বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের উপায়’ শীর্ষক জাতিসংঘের এক প্লেনারি সভায় বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এ প্রসঙ্গে তিনি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্নমূখী কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী সকল আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের সাথে যুক্ত। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী আইন-২০১২’ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯’ প্রণয়নসহ ব্যাপকভিত্তিক প্রয়াস গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস দমনে ‘সমগ্র সমাজ কেন্দ্রিক’ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি, কমিউনিটির অংশগ্রহণ, সন্ত্রাস প্রতিরোধ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার সামর্থ্য বৃদ্ধিসহ জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য ২০০৬ সালে গৃহীত ‘জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল’-কে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান ধারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং জাতিসংঘ সন্ত্রাস দমন কৌশলে যে সকল বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা বাস্তবায়নার্থে উদ্ভাবনী সমাধানের সন্ধান করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং এসকল প্রবণতা নির্মূল করার লক্ষে চলমান ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ক ব্যাপকভিত্তিক কনভেনশন’ অতিদ্রæত সম্পন্ন করার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাÐ মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্ভরযোগ্য অংশীজন হিসেবে থাকবে মর্মে প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
কোভিড-১৯ এর কারণে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এই সভা সংক্ষিপ্ত আকারে এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।