নিউইয়র্ক ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পরিচয়পত্র পেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫
  • / ১৬৫৮ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশের নয়া স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার তিনি মহাসচিবের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। মাসুদ বিন মোমেন হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের চতুর্দশ স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
বাংলাদেশ মিশন সূত্রে জানা গেছে, পরিচয়পত্র পেশকালে স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মহাসচিব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনেও বাংলাদেশ আরো বেশী সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী বছরের সাধারণ পরিষদ বৈঠকের অব্যবহিত পূর্বে অনুষ্ঠিতব্য অভিবাসন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করেন। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগেশন এন্ড ডেভলাপমেন্ট’ এর সভাপতি হিসেবে অভিবাসন ও উন্নয়নে নেতৃত্ব প্রদান করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের সাথে তাঁর নিজ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে বাংলাদেশে তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি আগামী বছর ‘ওয়ার্ল্ড হিউম্যানেটারিয়ান সামিট’ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘে এলডিসি গ্রুপের সভাপতি, শান্তিরক্ষা, পিস বিল্ডিংসহ টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। পরিচয়পত্র পেশকালে মিসেস বান কি মুনও উপস্থিত ছিলেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি অটিজম সচেতনতা সৃষ্টি ও এর প্রতিরোধে মিসেস বান কি মুনের আগ্রহের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আগামী বছর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।
পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে স্থায়ী প্রতিনিধির পতœী ফাহমিদা জেবীন, মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরেশ্লাভ জেনকা উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পরিচয়পত্র পেশ

প্রকাশের সময় : ১১:২২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশের নয়া স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার তিনি মহাসচিবের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। মাসুদ বিন মোমেন হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের চতুর্দশ স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
বাংলাদেশ মিশন সূত্রে জানা গেছে, পরিচয়পত্র পেশকালে স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মহাসচিব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনেও বাংলাদেশ আরো বেশী সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী বছরের সাধারণ পরিষদ বৈঠকের অব্যবহিত পূর্বে অনুষ্ঠিতব্য অভিবাসন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করেন। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগেশন এন্ড ডেভলাপমেন্ট’ এর সভাপতি হিসেবে অভিবাসন ও উন্নয়নে নেতৃত্ব প্রদান করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের সাথে তাঁর নিজ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে বাংলাদেশে তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি আগামী বছর ‘ওয়ার্ল্ড হিউম্যানেটারিয়ান সামিট’ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘে এলডিসি গ্রুপের সভাপতি, শান্তিরক্ষা, পিস বিল্ডিংসহ টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। পরিচয়পত্র পেশকালে মিসেস বান কি মুনও উপস্থিত ছিলেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি অটিজম সচেতনতা সৃষ্টি ও এর প্রতিরোধে মিসেস বান কি মুনের আগ্রহের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আগামী বছর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।
পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে স্থায়ী প্রতিনিধির পতœী ফাহমিদা জেবীন, মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরেশ্লাভ জেনকা উপস্থিত ছিলেন।