ক্রীড়া ডেস্ক : রোববার (২৭ মার্চ) রাতে জ্যামাইকার বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় কানাডার ফুটবল ইতিহাসে গত কয়েক যুগের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে স্মরণীয়। কারণ এক হালি গোলের ব্যবধানে জয়ের মধ্য দিয়ে যে তারা ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিল।
বিশ্বকাপে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের নিয়মিত তিন প্রতিনিধি মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কোস্টারিকা । কিন্তু এবার কাতার বিশ্বকাপ পেতে যাচ্ছে নতুন কিছু। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ খেলার পর কেটে গেছে দীর্ঘ ৩৬ বছর। এতদিন নিজেদের বিশ্বকাপ খেলা থেকে দূরে থাকতে হয় বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে না পেরে। তবে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সবার আগে মূলপর্বে জায়গা করে নিল ম্যাপল পাতার দেশ কানাডা।
রোববার রাতে টরোন্টোতে জ্যামাইকাকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে কাতারের টিকিট কাটে কানাডা। দীর্ঘ সময় পর বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ায় বেজায় খুশি কানাডার কোচ জন হের্ডম্যান।
হের্ডম্যানের যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না কাতারে যাচ্ছে তার দল, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি এই বিশ্বাসটা ছড়িয়ে দিয়েছি কিন্তু যখন এটা সত্যিই ঘটে গেল, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
‘কানাডিয়ান…আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জিতেছি, আমাদের ছেলে আলফানসো ডেভিস বায়ার্ন মিউনিখে খেলে, আমাদের অনেক ছেলেরা ইউরোপের শীর্ষস্তরে খেলে। এখন আমাদের এমন কানাডিয়ান আছে, যারা বিশ্বকাপ খেলতে যাবে।’
কানাডাকে ফুটবলের দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় দিতে ভালো লাগে হের্ডম্যানের, ‘আমরা এমন একটা ফুটবলের দেশ, যারা সারাজীবন এটাই চেয়েছে। আমরা এই সম্মানটুকু চেয়েছি। এটা চেয়েছি মানুষ বিশ্বাস করুক কানাডা ফুটবলের দেশ, সেটা প্রমাণও করে দিয়েছি।’
বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচটি এখন কানাডার জন্য স্রেফ নিয়মরক্ষার। ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের শীর্ষস্থানটি সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে কানাডা। ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হলেও গোলগড়ে পিছিয়ে তিনে আছে মেক্সিকো । বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলা দেশটির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পানামা ও কোস্টারিকা।
এই চার দলের মধ্যেই হবে লড়াই হবে সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার। কাতারের টিকিট পাবে দুটি দল। চতুর্থ হওয়া দলটি প্লে-অফে মুখোমুখি হবে ওশেনিয়ান অঞ্চলের কোনো প্রতিপক্ষের।
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপের পর কাতার হতে যাচ্ছে কানাডার ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
হককথা/এমউএ